এলিয়েনস ও একটি শিক্ষা- শেষ অংশ
লিখেছেন লিখেছেন নিশা৩ ১১ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৩৯:৫১ সকাল
ইত:মধ্যে দন্ডটি সরিয়ে নিলে স্বস্তি পেলাম। ব্যাখ্যা করলাম, এটি ঠান্ডা অনুভুতি এ জন্য যে আমরা ধরেই নিয়েছি আমরা ম্রিত্যুর মুখে দাড়িয়ে আছি। তাই জীবনের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোন কিছুই যেন কোন ব্যাপার না। এটিই অনুভুতিশুন্যতা।"
"এবার অন্য আনুভুতিটি জানতে চাইলে আমাকে মাহির কাছে যেতে দাও।" দ্বিতীয় এলিয়েনটি সরে দাড়াল।
"একমাএ ভালবাসার ছোঁয়ায় এর সির্ষটি হয়।" বলতে বলতে আমি মাহির পাশ ঘেঁষে দাড়ালাম আর ওর হাতটা শক্ত করে ধরলাম।আমাদের চেহারার রংটা বদলে গেল। আতন্কের পরিবর্তে এক নির্ভরতা, নিশ্চয়তার ছায়া যন্ত্রগুলো দেখতে পেল।কিছু মুহুর্তের ব্যাবধানে এই পরিবর্তনে ওরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো।রেকর্ড করতেও যেন ভুলে গেল।সম্বিত ফিরে পেয়ে দন্ডটি উঁচু করল দ্বিতীয় জন। একটু থমকে গেল। যেন এই সুন্দর দ্রিশ্যটিতে ছন্দপতন চায় না। অত:পর মাহি ব্যাথায় সামনের দিকে ঝুঁকে গেলো।
পরীক্ষা শেষ হলো। এবার ওরা দ্বন্দে পড়লো। আমাদের নিয়ে কি করা। ওদের ওপর হুকুম ছিল আমাদের নিয়ে যেতে।কিন্ত সে প্রয়োজন তো মিটে গেল। ওদের জিজ্গাসার জবাবেই জানালায় নকের শব্দ হলো।
জানালার ওপাশে পঁচিশ-ছাব্বিশ বছরের এক তরুনী। এস্ট্রোনমার এর পোশাক পরিহিত। গলা আর মাথা শুধু অনাবির্ত। হুবুহু মানুষের আকর্তি।চুলের রং হলদেটে। চোখের মণি দু'টি বিশালা আকর্তির। গাঢ়, ঘন কালো। চেহারায় নেতর্ই ত্বের ছাপ।
ওর হাতে একটা লেজার গান। আমাদের জানালর পাশ থেকে সরে যেতে বলল। গানটি তাক করল জানালার কাঁচে। উদ্দেশ্য কাঁচটি ভেন্গে সরিয়ে ফেলা। মনে হচ্ছে প্রযুক্তিতে এরা যত অগ্রসর বুদ্ধিমত্তায় ততি পশ্চাদপর।সর্বন্নত প্রজাতিটিত আশরাফুল মাখলুকাতের আর্কিতিকে পছন্দ করেছে।
আমি জানালার আরো কাছে এগিয়ে এলাম। দু'হাতে ওটার একপাল্লা বামদিকে ঠেলে দিলাম। এরপর নেটের স্ক্রীনটাও সরিয়ে দিলাম। মেয়েটা গানটা পকেটে পুরলো।আমাদের উদ্দেশ্য হ্যালো বলল।
ও বলল যে আমাদের সব কথপকথনি সে শুনেছ। হাত ইশারায় রোবট এলিয়েনদের বেরিয়ে যেতে বল্ল।বলল যে, তাদের সাথে যাওয়ার আর কোন প্রয়োজন নেই আমাদের। ইত:মধ্যে উড়জাহাজ তিনটি ফিরে এলো। সিলিন্ডার তিনটিকে সংযুক্ত করল।
তরুনীটি তার সাথীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিলো। "নেক্সট ডেস্টিনেশন সেট কর। চার্চিল চিকেন। সেলিব্রেট করব।" মেয়েটি আমাদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে তার নির্ধারিত সিলিন্ডার এর দিকে রওনা দিলো। ওর হাসি আর হাত নেড়ে বিদায় নেয়া দেখে মনে হলো ও যেন আমাদের কতদিনের পরিচিত।
বড় একটা শ্বাস নিলাম।জানালা থেকে সরে এলাম। চোখ আটকে গেল দেয়াল ঘড়িতে। আসরের নাময তার মধ্যবেলায়।
প্রথম বেলার আসর মিস্ হয়েছে! আজ না হয় একটু বেশী ঘুমিয়েছি। কিন্ত জেগে থাকলেও তো মনে হয় আরো তো সময় আছে নামায পড়ার। এখুনি পরেই যাচ্ছি। অথচ অনিশ্চিত আমাদের জীবন। অজানা আমাদের ভবিষ্যৎ। একটু পরের কথা আমরা কেউই জানিনা।
আজ যদি মির্ত্যু হতো তাহলে কি জবাব দিতাম আল্লাহ্ এর কাছে? ঘুমের জন্য নামায পড়া হয়নি এ কথা কি বলা যেত? অন্তরটা ভয়ে কেঁপে উঠল। আর কখন যেন এমন না হয় সে বাপারে সর্তক থাকার এবং সময়মত সবসময় নাময পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আল্লাহ্ এর কাছে মনে মনে সাহায্য চাইলাম।
এবার নামাযের কথা মনে হতেই অযুর কথা মনে হলো। অযুর কথা মনে হতেই মনে পড়ল প্রাকির্তিক প্রয়জনের কথা। কি আশ্চর্য! নিজকে একদম ভুলে গেলাম।
এদিকে মাহি হাসিমুখে বলে, "আমি বেশি সময় নেইনি। অনেকক্ষন ধরে তোমার জন্যে খালি পড়ে আছে কিন্ত।"
আমিও হাসিমুখে দ্রুত পবিএতা অর্জনের দিকে অগ্রসর হই। আরেকবার নিজকে ভুলতে চাই। সচেতনভাবে। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে নয়। মহান পবিএ সত্তার সামনে। সমর্পিত হতে চাই।সম্পূর্নরুপে।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিছু অংশ বাদ পড়েছিল। যোগ করে দিলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন