এলিয়েনস ও একটি শিক্ষা-১
লিখেছেন লিখেছেন নিশা৩ ০৯ মার্চ, ২০১৪, ০৯:০৫:৪০ সকাল
বিছানায় শুয়েই বুঝতে পারলাম প্রআকৃতিক প্রয়োজন। দ্রুত টয়লেট এর দিকে অগ্রসর হই। একি! দরজাটা বন্ধ ওপাশ থেকে। নক করতে করতে বললাম, আজ তাহলে তুমিই প্রথম। কি বেশি সময় লাগবে নাকি?
-মাএই না ঢুকলাম। ওপাশ থেকে জবাব এল।
মনটা দমে গেল।ভাড়াটের টয়লেট ব্যবহার করা ছাড়া এখন উপায় নেই। দ্রুতপায়ে পাশের ঘরে গিয়ে কলিংবেল
টিপলাম। ভাবি দরজা খুললেন।
-আস্ সালামু আলাইকুম। আপনাদের টয়লেটটা একটু ব্যবহার করতে পারি? মনের অস্বস্তিটা ঢেকে কোনরকমে বল্লাম।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম। এক্ষুনি আমিও যাব ভাবছিলাম।
-অসুবিধা নেই। আমি তাহলে অপেক্ষা করি।
ভাবি জবাব না দিয়ে ছোটঘরে ঢুকে পড়লেন। ছোটঘরটা আসলেই ছোট। বাড়ির প্লান যে করেছে সে লোকটা আসলে একটা জিনিয়াস। নইলে এতটুকু জায়গায় একটা টয়লেট বানাতে পারতনা। গোসলের জায়গাটা বানিয়েছে আলাদা করে। এতে করে বসবাসকারিদের প্রয়জন মেটান সহজ হয়। গোসলের সময় টয়লেট টা আটকানো থাকেনা।
দু'বছর আগে এ বাড়িটা আমরা কিনেছিলাম। আমরা মানে আমি আর মাহি। একটা ফ্যামিলি ভালভাবে বসবাস করা যায়। একটা টয়লেট কাম বাথ, আর একটা ডিটাচড।
কিনার কিছুদিনের মধ্যেই বাড়িটা বড় আর ফঁাকা লাগতে লাগলো আমার কাছে। মানুষ আর টাকার লোভ দুটো ই পেয়ে বসল। দু'জনেই সিদ্ধান্ত নিলাম। ভাড়া হোক।
অনেকেই এলো। আমাদের মতই একজোড়া স্বামি-স্ত্রীর ঘর পছন্দ হলো। মাঝখানে পা্রটিশান উঠলো। এপাশে দু'ঘর ও বাথ কাম টয়লেট। ওপাশে দু'ঘর ও আলাদা গোসলখানা ও ছোটঘর।
দিনের বেলা পুরো ঘরটাই আমাদের মহিলাদের। কোনও অসুবিধা নেই। মাঝে মাঝে সমস্যা হয় পুরুষরা ঘরে ফিরার পরে। যতই সুসম্পরক থাকুক অন্যের ঘরে গিয়ে টয়লেট ব্যবহার করতে কি যে সংকোচ লাগে। নিরুপায় হয়েই যাই। এছাড়া জায়গাটা ছোট বলেই হয়ত মনে ভয় থেকেই যায়। যতই সতরকো হয়ে বসি না কেন "অপবিএতার ছিটে-ফোঁটা থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর মনে হয়।
ভাবীর ঘরে ঢুকতেই প্রথম রুমটাতে দেখলাম ভাই আসরের নামায পড়ছে। ইস্! তাইতো আসরের নামাযে তো আমাদের দেরী হয়ে গেল। খুব আফসুস হল প্রথম ওয়াক্তেই নামাযটা ধরতে না পেরে।
দুপুরে খেয়ে একটু ঘুমিয়েছি। এতটা সময় যে পেরিয়েছে মনেই হয়নি। ভাইকে দেখে আর ঘরে ঢুকলাম না। নিজের ঘরে ফিরে এলাম। জানালা ধরে দাড়ালাম। বাইরে দির্শটি। কখনো এপায়ে ভর রাখছি, কখনো অন্যপায়ে। অপেক্ষায় আছি। মাহি বেরুলে আমি যাব।
বিষয়: বিবিধ
১০৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন