এলিয়েনস ও একটি শিক্ষা-২

লিখেছেন লিখেছেন নিশা৩ ১০ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৪২:৫১ সকাল

জানালার বাইরে বড় আক্রিতির তিনটা উড়োজাহাজ আকাশে উড়ছে। সুতোয় বাধা কি যেন লেজের মত পিছনে উড়ছে। আমাদের বাড়িটার পেছনে বেশ বড় একটা খেলার মাঠ। বাচ্চা ছেলেরা সব সময় খেলা-ধুলা করে। আজ তাদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।

কাছাকাছি আকাশে এবার তারা। এতক্ষনে দেখলাম পিছনে উড়ন্ত বস্তগুলো। সবগুল ই সাদা। ট্যাক্সি-ক্যব সাইজের। সিলিন্ডার আক্রিতির। তিনটি সাদা বস্তই এয়ারপ্লেনগুলো খেলার মাঠে ছেড়ে দিল। যেন সুতো থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলল। দুরে থেকেই। এরপর চলে গেল দুর আকাশে। যেন তাদের কাজ শেষ।

মাঠে ছেড়ে যাওয়া জিনিষগুলে এখন দ্রিষ্টি সীমায়। প্রত্যেকটি অত্যন্ত জটিলাক্রিতির যন্ত্র বলে মনে হলো। পরিচিত কোন কিছুর সাথেই সাদ্রিশ্য করা যাচ্ছেনা। অজানা বস্ত। অজানা আশণ্কা।

কখন যে মাহি কাছে এসে দাড়িয়েছে বুঝতেই পারিনি। সিলিন্ডার এর মতো জিনিষগুলোতে সূরযের আলো পড়ছে। ওদের নিজস্ব উজ্জ্বল লাইট বাল্ব আর সূরযের আলো মিলে মাঠটাকে রোদেলা দূপুরের রুপ দিয়েছে।

মাহির দিকে তাকাতেই ও আমার চোখে ভয় দেখতে পেল। ও কিছু না বলে মাঠে তাকালো। পরিস্থিতি বুঝতে চায়। দেখলো আরমাডিলোর মত জন্ত। প্রায় তিন ফুট। গায়ের রংটা কুনো ব্যং এর মত। মুখের চামড়া ঝলসানো। চোখদুটো পরিপূর‍্ন গোলাক্রিতির। বেশ কিছু এরকম জন্ত আমাদের বাড়িটা ঘিরে ফেলল। প্রত্যেকের হাতেই ধাতব লাঠি।

ইত:মধ্যে আরেকটি সিলিন্ডার ক্যাব থেকে নামল অন্য একটি প্রজাতি। এরা মাএ দু'জন। ছ'ফুট লম্বা। পা থেকে মাথা পর‍্ যন্ত ধাতবে মোড়া। আয়রনম্যান টাইপ। রোবোটিক চালচলন। এদের হাতেও ধাতব দন্ড।

মাহিকে বল্লাম, "এদের হাত থেকে মনে হয় বাঁচা যাবে না। এস কালেমা পড়ে নেই - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্।"

হঠাৎ পিছনে কি শব্দ হলো! জানালাটাকে পিছনে রেখে ঘুরে দাড়ালাম। মাঝের সিলিন্ডার থেকে নেমে আসা দু'জন আমাদের সামনে দাড়িয়ে। কিভাবে এল? দরজা কি খোলা ছিল? আতন্কে কিছু মনে করতে পারলাম না।

"তোমরা কে? কি চাই আমাদের কাছে?" মাহি সাহসিকতা দেখালো। প্রশ্ন করতে গিয়ে ওর কন্ঠটা কি একটু কেঁপে গেল?

"আমরা প্রিথিবীর বাইরের জগৎ থেকে এসেছি।তোমাদের নিয়ে যেতে চাই কিছু পরীক্ষা-নীরীক্ষার জন্য।" উত্তর এলো একজন এলিয়েন থেকে। পরিষ্কার বাংলা ভাষা। ধাতব কন্ঠস্বর না। মানুষের মতই।

কন্ঠ স্বাভাবিক। কিন্ত চোখদুটো শীতল। চোখগুলো বলছে, স্বেচ্ছায় এলে ভাল। তা নাহলে হাতের দন্ডগুলো তো আর এমনি আনিনি। প্রয়জন হলেই দেখবে এর কা্রয ক্রম।

মহান স্রষ্টার স্রিষ্টি কৌশল দেখে মনটা আপনাতেই তার দরবারে নত হলো। যোগাযোগের কি অদ্ভুদ ব্যবস্থা! আর তা যে কত প্রকারের। মুখের ভাষা বলছে একধরনের তথ্য অথচ চোখ বলে দিচ্ছে অন্তরনিহিত ভাব!

বল্লাম, " তোমরা কি হুমায়ূন আহমেদের নাম জান? জানবে কিভাবে? তোমরা তো আর মানুষ নও।সে একজন লেখক। তার দু' একটা গল্প আছে এলিয়েন নিয়ে। ওই এলিয়েন গুলো খুব ভাল। তার গল্প পড়লে এলিয়েন এর সাথে সাক্ষাত করতে ইচ্ছে হয়।" কি যে ভাবছি আর কি যে বলছি কিছুই যেন বুঝতে পারছি না। ভয়ে-আতন্কে নার‍্ভগুলো কি বিকল হয়ে গেলো?

বিষয়: বিবিধ

১১৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File