:: সমাজতন্ত্র তথা Communism-এর নাটের গুরু আশকেনাজি ইহুদিরাই!! :: ========================================
লিখেছেন লিখেছেন যৌননেত্রী ষেক্ষ হাষিণা ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:৩০:৪৫ রাত
ইহুদী দার্শনিকদের উর্বর শয়তানি মস্তিষ্কে জন্ম নেয়া মানবজাতির উপর বিপর্যয় আনয়নকারী আদর্শ বা দর্শন গুলির একটি হল সমাজতন্ত্র। কিন্তু এটা অধিকাংশ বামপন্থী যারা সমাজতন্ত্রের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত তারা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেনা। অনেক মুসলমান নামধারী সমাজতন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে ইসলামের উপর কলঙ্ক আরোপ করেছে। আসুন সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক সমাজতন্ত্রের গোপন ও নোংরা ইতিহাস।
১. সমাজতন্ত্রের যারা জন্মদাতা তাদের প্রায় সবাই ইহুদী। কার্ল মার্ক্স, ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, হেসে মোস হলেন সমাজতন্ত্রের অন্যতম তিন তাত্ত্বিক গুরু। কার্ল মার্ক্স জায়োনিস্ট আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
২. ভ্লাদিমির এলিচ লেলিন যার নেতৃত্বে ১৯১৭ সালে রাশিয়াতে বিপ্লবের নামে ইতিহাসের অন্যতম গণহত্যা ও অরাজকতা শুরু হয় ছিলেন একজন ইহুদী।
৩. রাশিয়া তে সমাজতন্ত্রের উত্থানের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপের ইহুদী ব্যাংকাররা অর্থায়ন করেছিল। মোট জনসংখার ২-৩% হলেও রাশিয়ার তৎকালীন কম্যুনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের ৫০%-এরও বেশী ছিল ইহুদীরা। জায়োনিস্ট আন্দোলনের বিরোধী জার [Czar] সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে ইহুদীরা পৃথিবীব্যাপী একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের পথে একধাপ এগিয়ে যায়।
৪. ১৯১৭ সালের তথাকথিত বিপ্লবের পর রাশিয়াতে ধর্মের উপর সবচেয়ে বেশী আঘাত চালানো হয়। লক্ষ লক্ষ চার্চ, মসজিদ ধ্বংস করে দেয়ে হয়, অনেকগুলী মদ খাওয়ার বারে পরিণত করা হয়। মধ্য এশিয়ার কোটি কোটি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় নাস্তিকতা। ইসলামের ন্যূনতম বিধি বিধান পালনের উপর জারি হয় কঠোর নিষেধাজ্ঞা। লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে ধরে নিয়ে পাঠানো হয় সাইবেরিয়াতে যেখানে নিষ্ঠুর আচরণের স্বীকার হয়ে অধিকাংশই মৃত্যু বরণ করে।
৫. পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দেশে কম্যুনিস্ট আন্দোলন সফল করার অগ্রনায়ক ছিল ইহুদী সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও ব্যাংকাররা।
৬. সারা পৃথিবীতে সমাজতান্ত্রিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করে প্রায় ২০ কোটির মত আদম সন্তান। শুধু স্তালিনের আমলেই মারা পড়ে ৫ কোটি, চীনে মাও সেতুং-এর আমলে হত্যা করা ৭.৫ কোটির মত। কম্বোডিয়ার খেমাররুজ কম্যুনিস্টদের হাতে মারা পড়ে ২০ লক্ষেরও বেশী কম্বোডিয়ান। এছাড়া আরও বহু দেশে চালানো হয় শত সহস্র হত্যাকাণ্ড।
৭. ধর্মের বিরুদ্ধে সমাজতন্ত্রের ক্রুসেড ঘোষণার একটি কারন হল এই আন্দোলন ছিল ইহুদীদের সারা বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তারের একটি নিকৃষ্ট হাতিয়ার। ইহুদীদের বা জায়োনিস্টদের এই স্বপ্নের চূড়ান্ত বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা হল ধর্ম। মানুষকে যদি ধর্মীয় নীতিনৈতিকতা থেকে দূরে সরানো যায় তবেই ইহুদীদের এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন অনেক সহজ হয়ে যায়।
৮. ইহুদীদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হল তারা কখনই কারো পক্ষে চূড়ান্ত অবস্থান নেয়না। বরং সব পক্ষের সাথেই তাদের সুসম্পর্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পৃথিবী যে দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে পড়ে (সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব ও পুঁজিবাদী বিশ্ব) তার দুটিতেই নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় আসীন হয় ইহুদীরা।
উদাহরণস্বরূপ আমেরিকাতে বর্তমানের যে দুটি প্রভাবশালী পার্টি আছে (ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান) তার দুটিতেই সমানতালে ইহুদীদের উপস্থিতি। ইহুদীরা কেন্দ্রিয়ভাবে খুবই সুসংঘটিত। তারা ঠিক করে রাখে কে কার পক্ষে থাকবে। তাই যেই অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হোকনা কেন ইহুদীদের প্রতি তার শর্তহীন আনুগত্য থাকতেই হবে। তাদের বেশ্যা না হতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কোন অবস্থানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব!!
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১২৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন