প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা চাননা
লিখেছেন লিখেছেন নাজিব মুন্না ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:৩৬:১৬ রাত
আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর সাথে টেলিফোনে কথা বলার সময় ক্যামেরা সামনে রাখা, পরে তা টিভিতে প্রচার করায় টেলিফোনের উদ্দেশ্য নিয়েই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যেখানে আলাপ হয়েছে দুইজনের মধ্যে, সেখানে একজনকে না জানিয়ে তার বক্তব্য মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়ে একদিকে যেমনি বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে অন্যদিকে ‘তথ্য অধিকার আইন’ ও লংঘন করা হয়েছে। তাই তথ্য অধিকার আইনে বেগম খালেদা জিয়া ইনু ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রাখেন।
আসলে সরকার কর্তৃক সৃষ্ট সংকটের সমাধানে সরকার মোটেই আন্তরিক নয়। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে এই সংলাপ সংলাপ খেলা। যখনই বিরোধী দল কোন কার্যকর আন্দোলনের দিকে যায় তখনই তিনি আলোচনা, সংলাপ, সমঝোতার কথা বলে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চান। আবার বিরোধী দল যখন সমঝোতার আশায় কঠোর কর্মসূচি থেকে দূরে থাকে তখন তিনি এবং তার নেতারা বলেন ‘ এদের আন্দোলন করার মুরোদ নেই’ অথবা ‘এসবই কেবল আষাঢ়ের গর্জন’।
জনগণের কাছে এখন একটি বিষয় পরিস্কার যে প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা চাননা। সমঝোতা হলে, সব দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে তার একদলীয় নির্বাচন করার খায়েস পূর্ণ হবেনা। আর একদলীয় নির্বাচন করতে না পারলে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবেনা। আসলে প্রধানমন্ত্রী এবং তার দল আওয়ামীলীগ নিজেদের খুব চালাক মনে করেন আর জনগণকে মনে করেন খুব বোকা। কিন্তু এই বোকা জনগণই যে এখন আঙুল বাঁকা করে ঘি তুলতে জানে তা টানা তিনদিনের সফল হরতাল পালন করে বুঝিয়ে দিয়েছে। অতএব সাধু সাবধান।।
বিষয়: রাজনীতি
৮৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন