প্রধানমন্ত্রী অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছেন। তাই ১০ জন অনির্বাচিত উপদেষ্টা রাখা নৈতিক অবস্থান থেকে ঠিক নয়
লিখেছেন লিখেছেন কিছু ২৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:০৫:৫২ সকাল
রাষ্ট্রের রুটিন দায়িত্ব পালনে এত বিপুল সংখ্যক মন্ত্রী ও উপদেষ্টার কী প্রয়োজন ? উপদেষ্টারা কার্যত দেশের শাসন বিভাগের অংশ হিসেবে পরোক্ষ ভাবে কাজ করছেন। রাষ্ট্রের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য ২৯ সদস্যের মন্ত্রি সভার পর উপদেষ্টাদের কোনো দরকারই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছেন। তাই ১০ জন অনির্বাচিত উপদেষ্টা রাখা নৈতিক অবস্থান থেকে ঠিক নয়। নির্বাচন কালীন মন্ত্রিসভার আকার কমানো হলেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়িয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কারণ, গত তিনটি রাজনৈতিক সরকারের আমলে এত বিপুলসংখ্যক উপদেষ্টা ছিল না। আওয়ামী লীগের আগের আমলে (১৯৯৬-২০০১) প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিল তিনজন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে একজন উপদেষ্টা ও দুজন রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ দেন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেন। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কালীন মন্ত্রিসভা গঠনের পর তিনি আরও তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেন। আগে কখনো অনির্বাচিত উপদেষ্টাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাখা হতো না। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে শুরুতে ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে এবং সংসদেও প্রশ্ন উঠেছিল। এ ছাড়া সংবিধানে উপদেষ্টার বিধান না থাকায় এবার সরকারি কার্যবিধি পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসেন এবং সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মন্ত্রণালয় ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া আছে। উপদেষ্টারা মন্ত্রীর সমান বেতন-ভাতা, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তাঁরা মন্ত্রীর মতোই পতাকাবাহী গাড়িতে চড়েন।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন