এই ধরপাকড় ও দমনপীড়ন রাজনীতিকে আরও সংঘাতসংকুল করে তুলবে, এতে সন্দেহ নাই।
লিখেছেন লিখেছেন কিছু ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৩:১৪:৪৮ দুপুর
এই ধরপাকড় ও দমনপীড়ন রাজনীতিকে আরও সংঘাতসংকুল করে তুলবে, এতে সন্দেহ নাই। যেসকল শ্রেণী, শক্তি বা গোষ্ঠি বাংলাদেশকে দীর্ঘকাল শাসন করছে তারা আজ অবধি একটি স্থিতিশীল নির্বাচনকেন্দ্রিক উদার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে পারে নি। এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদের ভূমিকা মুমূর্ষু ব্যবস্থাকে কফিনে পুরে দেওয়া। সেই কাজ করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও হিংস্রতার যে-চেহারা আমরা দেখছি তা নতুন কিছু নয়। ক্ষমতাসীন শক্তির এখনকার চেহারা নতুন কোন অভিজ্ঞতা নয়। কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করবার সঠিক পথ কি হবে? অনেকে তর্ক করতে পারেন যে ক্ষমতাসীন থাকার সময় বিএনপিও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের দাবিদাওয়া এভাবেই দমনপীড়ন করে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এই তর্কের সত্যাসত্য বিচার হতেই পারে। কিন্তু যাঁরা এই তর্ক তুলছেন তারা আসলে বলতে চান, বিএনপি যেহেতু এভাবেই ক্ষমতাসীন থাকার সময় দমনপীড়ন করেছে, অতএব মহাজোট সেই একই ভাবে এখন বিএনপিকে দমন করবে, সম্ভব হলে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। মহাজোট মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে, এটাই এখন স্পষ্ট হচ্ছে। আওয়ামি লীগকে সংগ্রাম করেই তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করতে হয়েছে, অতএব এখন আঠারো দলীয় জোটকেও তার চেয়েও শতগুণ বেশি রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের পছন্দের নির্বাচনকালীন সরকার আদায় করে নিতে হবে। নির্বাচনসর্বস্ব উদার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল বহাল রাখার দায় দুই পক্ষের কেউই নিতে চায় না। এর আরও সরল অর্থ হচ্ছে, রাজনীতির দুই প্রধান প্রতিপক্ষের কেউই সাংবিধানিক রাজনীতির চর্চা করে না, এবং করতেও চায় না। যদি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাংবিধানিক, নিয়মতান্ত্রিক বা আইনী রাজনীতির চর্চা করার ক্ষেত্রে অনীহা থাকে তাহলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের নিরসন অসম্ভব।
বিষয়: রাজনীতি
৯৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন