সংলাপের পথ প্রশস্ত হবে।
লিখেছেন লিখেছেন কিছু ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:১০:২২ দুপুর
দুই নেত্রীর মাঝে ফোনে কথা বলাকে সংলাপের সূচনা বলা চলে। যে কেউই বোঝে এই সংলাপ দুই নেত্রীর নিজেদের ইচ্ছেয় হয়নি। এটা হয়েছে বাইরের চাপে। এখানে রয়েছে নাগরিক সমাজ, দেশের মানুষ এবং বিদেশিরা। তারপরও এই ফোনে কথা বলাকে একটি ভালো সূচনাই বলা চলে। তবে এই ফোনের পরেই থেমে যাওয়া নয়; বরং এই প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মসূচি প্রয়োজন। দুই পক্ষ থেকেই যদি ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তাহলে এই ফোনে কথা বলা অর্থবহ হবে। তা না হলে শুধু একটি ফোনে অচলাবস্থার পরিবর্তন ঘটবে না। আমাদের নেতাদের মনে রাখতে হবে জনগণের নিজস্ব রায় রয়েছে। তাদের মতামত রয়েছে, তাদের ওপর নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ জোর করে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। তাই দেশের চলমান সংকট নিরসনের যে উদ্যোগের সূচনা হয়েছে তার শুভ সমাপ্তি ঘটাতে হবে। আর এটা করতে হলে উভয় দলকেই ছাড় দিতে হবে, নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে হবে। পারস্পরিক যে অবিশ্বাসের দেয়াল গড়ে উঠেছে তা ভাঙতে হবে। তা হলেই শুধু নির্বাচন নিয়ে চলমান অচলাবস্থার অবসান সম্ভব। দীর্ঘদিন পর দুই নেত্রী কথা বলেছেন, এতে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। এখন এই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বও তাদের। তারা যদি বিভেদ ভুলে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যান, তাহলেই সংকট উত্তরণের যে সূচনা হয়েছে তা চূড়ান্ত রূপ পাবে। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আজকের যে মুখোমুখি অবস্থান, নির্বাচন নিয়ে যে অচলাবস্থা এবং নির্বাচনকে ঘিরে যে সহিংসতা তা সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত শঙ্কা-উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে। সাধারণ মানুষের এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করতেই হবে। তাদের স্বস্তি দিতে হবে। আর দায়িত্ব পালনের জন্যই নিজেদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি করেছে প্রধান দুই দল, সেই দূরত্ব কমাতে হবে। তা হলেই ফোনে কথা বলার সুফল মিলবে। সংলাপের পথ প্রশস্ত হবে।
বিষয়: রাজনীতি
৮০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন