আওয়ামীলীগের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড গুলো ৩ টি ক্যাটাগরিতে সাজিয়ে (রেফারেন্সসহ) পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হচ্ছে। (সর্বাধিক তথ্য সংবলিত এবং হালনাগাতকৃত)-সহযোগিতা কাম্য

লিখেছেন লিখেছেন সাগরের হাসি ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:১২:৫১ দুপুর

আওয়ামীলীগের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ৩ টি ক্যাটাগরিতে সাজানো এই তালিকা তৈরিতে আপনাদের সহযোগিতা কাম্য। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বাধিক তথ্য সংবলিত এবং হালনাগাতকৃত এই পোস্টটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সকলে সংগ্রহে রাখুন এবং শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। সম্ভব হলে পেজের মূল পোস্টে আরও এরকম তথ্য (রেফারেন্সসহ) কমেন্টে শেয়ার করে আমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে সাহায্য করুন।

আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী বামপন্থীদের ইসলাম বিরোধী উক্তি সংগ্রহঃ

১। তথাকথিত আল্লাহর শাসন দিয়ে কিছু হবেনা~আশরাফ

২। আগামীবার ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও তুলেদেব~সুরঞ্জিত

৩। কোরআনের তাফসিরের প্রকাশনা বন্ধ~সরকারী ডিজি শামিম আফজাল

৪। আগামীতে ক্ষমতায় এলে ধর্মের ছায়াটুকুও মুছে ফেলা হবে~ সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী

৫। ‘ধর্ম তামাক ও মদের মতো একটি নেশা’।~পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী

৬। রাসুল(সাঃ)কে কটুক্তি করা স্বাভাবিক বিষয়,এটানিয়ে হৈচৈ করা ঠিকনয়~তথ্যমন্ত্রী ইনু

৭। রাসুল সাঃ হিন্দুদের পূজার জন্য মসজিদের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন~ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

৮। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন ! সংসদে মহাজোট এমপি এমপি বাদল ~~ (৫/৩/১৩)

৯। মা দূর্গা গজে চড়ে এসেছিলেন বলে ফলন ভালো হয়েছে~ হাসিনা

(৫ অক্টোবর ঢাকার ঢাকেশ্বরী পুঁজামন্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেছেন (http://www.dailyjanakantha.com/news_view_all.php?nc=15&dd=2011-10-06 বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০১১, ২১ আশ্বিন ১৪১৮)

১০। গ্রামগন্জে ইসলামিক জলসা বন্ধকরতে হবে~পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

১১। মেয়েদেরকে বোরকার হাত থেকে রক্ষাকরতে হলে,তাদের নাচগান শিক্ষাদিতে হবে~হাসান মাহমুদ

১২। বোরকার ব্যবহার ৫০০%বেড়েগেছে,বন্ধ করতেহবে,~সজিব ওয়াজেদ জয়

১৩। সেনাবাহিনীতে কওমী মাদ্রাসার ছেলে বেড়েগেছে'(কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতি নেই)~সজিব ওয়াজেদ জয়

১৪। ২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু প্রধানমন্ত্রী চাই'~সজিব ওয়াজেদ জয়

১৫। সেনাবাহিনী থেকে ইসলামপন্থীদের বিতাড়িত করতে হবে~সজিব ওয়াজেদ জয়

১৬। কুতসিত চেহারা ঢাকতেই মেয়েরা বোরকা পরে~ডেপুটি স্পীকার

১৭। আমি মুসলিমও নই হিন্দুও নই~আশরাফ (২০১১ সালের ১৩ জুলাই এক অনুষ্ঠানে)

১৮। বঙ্গবন্ধু মদজুয়া হারাম করেছেন~নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান

১৯। কওমী মাদ্রাসার ছেলেরা কিচ্ছু জানেনা,উজবুক,এরা শুধু মুখস্থ করে~অর্থমন্ত্রী মুহিত

২০। কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গী প্রজননকেন্দ্র~আইনমন্ত্রী

২১। ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ এক গোলটেবিল আলোচনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম আফজাল বলেন, ‘পৃথিবীতে যত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রয়েছে, তার সবই ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নেই। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয়’।

২২। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ ব্যাপারে বৈঠকে বলেছেন- 'একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বিধান আর অন্যদিকে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখা সাংঘর্ষিক।

(০৪ মে ২০১১) http://www.kalerkantho.com/print_edition/?view=details&type=gold&data=Natok&pub_no=510&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=04-05-2011

২৩। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, 'সংবিধানে বিসমিল্লাহ বা কোনো রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারে না। (৪ মে ২০১১)

২৪। আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের দল হবার পরও দেশ থেমে ইসলাম ধর্মকে বাদ দিতে পারছেন না। -সুলতানা কামাল (6-9-13)

২৫। হুজুরদের কবর রচনা করবো:-রাশেদ খান মেনন--- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের পর তার উপস্থিতিতে মিছিলের শ্লোগান ছিল।

২৬। হেফাজতি হুজুররা লন্ডন আমেরিকা থেকে মদ বিক্রির টাকা এনে এদেশে মাদ্রাসা করছেন।~ সমাজ কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ

২৭। লাকুম দ্বীনুকুম অলিয়া দ্বীন.......বুখারী শরীফের হাদিস - শেখ হাসিনা

২৮। লাকুম দ্বীনুকুম অলিয়া দ্বীন..........দোয়ায়ে কুনুত - মতিয়া চৌধুরী

২৯। হেফাজতের দাবি মধ্যযুগীয় নিয়মের হয়ে যায় আর তাদের দাবি মানলে দেশ ১৪০০ বছর আগের সময়ে পিছিয়ে যাবে – হানিফ

৩০। হেফাজতের ১৩ট দাবি সংবিধানের সাথে সাংঘরসিক বিধায় মানা জাবে না – পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি

৩১। বাংলাদেশের সংবিধান সমকামীদের অধিকারের পক্ষে- পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপুমনি

(গত এপ্রিল মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে তিনিএ তথ্য জানান।)

৩২। বাংলাদেশের মুসলমানরা সংখ্যালঘিষ্ঠ – টকশোতে আওয়ামীলীগ নেত্রী রোকেয়া প্রাচী

৩৩। শুধু আওয়ামিলীগের কর্মিরাই রাসুলের উম্মত- মতিয়া চোধুরী

৩৪। মাদরাসার ছাত্র কমানোর আন্দোলন শুরু করেছি’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র জয় (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ইনকিলাব)

http://www.dailyinqilab.com/2013/09/14/133013.php

৩৫। বিসমিল্লাহ বলে বলির খাসির মাংস খাওয়া জায়েজ- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

(সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথা বলেন দপ্তর বিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ৭ আগস্ট, ২০১২)

৩৬। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত থাকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক; জিয়া সংবিধানকে ইসলামী ও পাকিস্থানিকরন করেছিলেন : শাহরিয়ার কবির (৭ অক্টোবর ২০১৩, রাত ৮টার ৭১ টিভির লাইভ টকশোতে)

৩৭। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ

আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে তার

জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, এগুলী মৌলবাদিদের ভন্ডামী , ধর্ম যেমন

ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে

মুন্তাসির আরো বলেন , বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত

“সুরা” গুলী লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী , এই সব ভন্ডামী থেকে

জাতীকে বাচাতে হবে।--- দেশ টিভিতে টকশোতে মুনতাছের মামুন (৮ অক্টোবর, ২০১৩)

৩৮। রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘ব্যাঙের ছাতার মতো কওমি মাদরাসাগুলো গজিয়ে উঠেছে’।

৩৯। গত ১০ ডিসেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেছেন, ‘রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন’।

(সব গুলোর রেফারেন্স আছে, ইন্টারনেটে সার্চ দিন, পেয়ে যাবেন)

***************************************************

বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী বড় বড় কিছু কাজের তথ্যঃ

** বাইতুল মোকাররমের সাবেক খতিব হক্বপন্থী মাওলানা নুরুদ্দীন কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বিতর্কিত ব্যক্তি মাইজভান্ডারী ভন্ড সালাহউদ্দীনকে খতীব নিয়োগ করে "ইসলাম- বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দলোনের কেন্দ্রবিন্দু বাইতুল মোকাররম" কে নিষ্ক্রিয় করণ**

** শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এদেশে সংবিধান থেকে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিস্থাপন**

**সংবিধান থেকে"রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" কে অপসারণ**

** কুরআন বিরোধী নারী-নীতিমালা প্রণয়ন।**

(নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করার কথা বলে সরকার ২০১১ সালের ৭ মার্চ মন্ত্রিসভায় কোরআন-সুন্নাহবিরোধী নারীনীতির খসড়া অনুমোদন করে পরে তা সংসদে পাশ করে)

** নাস্তিক বাম কর্তৃক ইসলামবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি প্রণয়ন**

(সরকার ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মাথায় অধ্যাপক কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করে। আলেম-ওলামাদের মতামত উপেক্ষা করেই সরকার শিক্ষানীতি চূড়ান্ত করে এবং ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর তা সংসদে পাস হয়।)

**শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বোরকাবিরোধী পরিপত্র জারি**

**ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড**

**বিভিন্ন ইসলামিক বইকে জেহাদি বইয়ের নামে অপপ্রচার**

**মহান আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান নিয়ে বিভিন্ন সরকারি মহলের কটূক্তি**

**ইমামদের প্রশিক্ষণে মার্কিন অর্ধনগ্ন তরুণীদের দিয়ে ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করায়।**

(সরকারের ইসলামবিদ্বেষী অপকর্মের আরেক ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মো. আফজাল। মাজার পূজারী এ ডিজি সারাদেশের ইমামদের নিয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে মার্কিন অর্ধনগ্ন তরুণীদের দিয়ে ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করায়। ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে কয়েকশ’ ইমাম ও খতিব অংশ নেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে কয়েকজন মার্কিন অর্ধনগ্ন তরুণীকে ডেকে এনে নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে বিতর্কিত ও ইসলামবিদ্বেষী ডিজি সামীম আফজাল। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার ছবিসহ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সারাদেশে আন্দোলনের ঝড় ওঠে। সরকার সামীম আফজালের বিরুদ্ধে এহেন কর্মের জন্য কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আন্দোলনকারী আলেমদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করে।)

** মাধ্যমিকে "ইসলাম ধর্ম শিক্ষা" কে ঐচ্ছিক করা**

** উচ্চ মাধ্যমিক থেকে থেকেও ঐচ্ছিক বিষয় ইসলাম শিক্ষা বিষয় বাদ** (শুনেছি, একটু খোঁজ নিতে হবে)

** ২০জন বোরকা পরিহিতা কে জেলে নিয়ে বোরকা খুলা করণ/ হাইকোর্টে বোরকায় বাধ্যতা নিষেধ রায় দিয়ে পরোক্ষভাবে উলঙ্গপনায় স্বাধীনতা প্রদান**

** প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'মা কালী' কে প্রশংসা করে আল্লাহর সাথে শিরক- “মা দূর্গা গজে চড়ে এসছে বলে ফসল ভাল হয়েছে”

** ডেপুটি স্পিকার শওকতের বোরকা অবমাননা/ কুৎসিত চেহারা ঢাকতেই নাকি মেয়েদেরকে বোরকা পরানো হয়**

** আল্লাহ/রসুল কে কটূক্তিকারী দের পদলেহন/নিরাপত্তা ও উত্সাহপ্রদান/ এমনকি বারবার জামিন দেওয়া**

** নাস্তিকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মিছিলে ওলামা ও সাধারণ মুসল্লীদের পুলিশি হামলায় হত্যা**

** প্রথম শ্রেণীর বাংলা বই থেকে "মহানবী (সা) এর ভালবাসা" গল্পটি উচ্ছেদ**

** দ্বিতীয় শ্রেণীর বই থেকে "সবাই মিলে করি কাজ" (খন্দক যুদ্ধের ঘটনা) অপসারণ**

** ৩য় শ্রেণীর বই থেকে"তুলিদুই হাত করি মোনাজাত" ও "হযরত আবুবকর" নিশ্চিহ্ন**

** ৪র্থ শ্রেণীর বই থেকে"হযরত উমর (রা)" উধাও**

** ৫ম শ্রেণীর বই থেকে"বিদায় হজ্ব" প্রবন্ধটির মূলোত্পাটন**

** মাদ্রসার বোর্ডের নবম-দশম বই এ আল্লাহর সন্তান আছে বলে উল্লেখ করা**

(বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর ‘বাংলা সাহিত্যের’ ১৯ নম্বর গদ্যাংশের ৯৪ নম্বর পৃষ্ঠায় মোহাম্মদ আকরম খাঁ রচিত ‘বিদায় হজ্ব’ অধ্যায়ে ‘অসাম্যের প্রতিবাদ’ প্যারার ৯৬ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় লাইনে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’ (নাউজুবিল্লাহ) লেখা হয়েছে “কুলপতি হজরত এব্র্রাহিম এই সহানুভূতি শিক্ষা ও সাম্যের শিক্ষাদানের জন্যই ‘ইতর-ভদ্র’ নির্বিশেষে ‘আল্লাহর সকল সন্তানকে’ আরাফাত ময়দানে সমবেত হইবার জন্য আহ্বান করিয়াছিলেন।” আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা সম্পূর্ণ শিরক। পবিত্র আল কুরআনে শিরক (আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা) কবিরা গুনাহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।)

সূত্রঃ http://www.amardeshonline.com/pages/printnews/2013/04/27/197753

** মহানবী স: কে ধর্ম নিরেপেক্ষ নবী বলা/ এবং মদীনাকে ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বলা**

** নবম-দশম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইতে দেবদেবীকে আল্লাহর সমকক্ষ করা এবং দেবদেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা পরোক্ষভাবে জায়েজ আখ্যায়িত করা**

(শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের মাধ্যমে ভয়াবহ শিরক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। ২০১৩ সাল থেকে নবম-দশম শ্রেণীর জন্য পাঠ্য ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের পাঠ ২৪-এর একটি বিষয় হলো ‘শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা’। পরিভাষার অধীনে একটি বিষয় হলো ‘হালাল-হারামের সংখ্যা’। হারাম-হালালের সংখ্যা বিষয়ে ৮২ পৃষ্ঠায় ১৭ ধরনের হারাম বস্তুর তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকার ৫ নম্বর ক্রমিকে লেখা হয়েছে ‘দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম’।

এখানে দেবদেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা না হলে সে পশুর গোশত খাওয়া হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মানে হলো দেবদেবীর নামে কোনো পশু উৎসর্গ করা হলে তার গোশত খাওয়া হালাল!

একই সাথে এখানে দেবদেবীকে আল্লাহর সমকক্ষ করা হয়েছে!

পবিত্র কুরআনে পশুর গোশত হারাম হওয়া বিষয়ে যে সুস্পষ্ট আয়াত রয়েছে, তারও সরাসরি বিপরীত পাঠ্যপুস্তকের এ বিষয়টি।)

সূত্রঃ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/08/190979

** মাদ্রাসায় আ.লীগের দেয়া আগুনে পুড়লো কোরআন শরীফ**

(১৯ সেপ্টেম্বর,২০১৩ ফেনী: ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের বালুয়া চৌমুহনী সংলগ্ন আল-হেরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেয়া আগুনে কোরআন শরীফ পুড়েছে।

সূত্রঃ http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/4/70512#.UjrWQ3_Rmho)

** রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল ও শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর স্ত্রী মাহবুবা খানম কল্পনা অর্ধশতাধিক ছাত্রীর জামার ফুলহাতার অর্ধেকটা দিয়েছেন।** (মে, ২০১৩)

** বাইতুল মুকাররম মসজিদের ভিতরে ঢুকে মুস্ললিদের উপর গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং বেধড়ক পিটুনি দেয় আওয়ামী পুলিশ** (ভিডিও অনলাইনে আছে)

**মাদরাসাছাত্র কমাতে জয়ের আন্দোলন**

(বাংলাদেশে মাদরাসাছাত্রের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে এবং মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটছে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করে তা হ্রাস করার জন্য প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় (যিনি পবিত্র ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে খ্রিস্টান নারীকে বিয়ে করে ঘর-সংসার করছেন) নতুন আন্দোলন শুরু করেছেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের ‘রূপকল্প-২০২১ : গত ৫ বছরের অর্জন এবং আগামী ৫ বছরের অঙ্গীকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, পঁচাত্তরের পর দেশে স্কুল তৈরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ওই সময় স্কুল বন্ধ করে দেয়ায় প্রতি তিনজন স্কুলছাত্রের বিপরীতে এখন একজন মাদরাসাছাত্র তৈরি হয়েছে। এটা কমিয়ে দিতে আমরা এরই মধ্যে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছি।)(১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ইনকিলাব)

** নামাজরত অবস্থায় রুকু থেকে মুসল্লী ধরে আনে চট্টগ্রামের পুলিশ** (ছবি অনলাইনে আছে)

** সারাদেশে দাড়ি-টুপি পরিধানকারী মানুষের প্রতি হয়রানি, নির্যাতন, দাড়ি ধরে টানাটানি করা (পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি আছে), মিথ্যা মামলায় জড়ানো এগুলো এই সরকারের চামচা পুলিশ গুলোই করেছে।**

**৫ মে হেফাজতের সমাবেশে যৌথ বাহিনীর অভিযান ও নির্বিচারে গণহত্যা**(অসংখ্য ছবি ও ভিডিও অনলাইনে আছে)

**ইসলামী আন্দোলনের পুরোধা মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে গৃহবন্দি করে রাখা, সরকারের চরম ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচক মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে সরকার দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি করে রাখে। সরকারি বাহিনীর জুলুম-নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার চিকিত্সাতেও বাধা দেয় সরকার। শেষ পর্যন্ত চিকিত্সাহীন অবস্থায়ই মারা যান বিশ্ববরেণ্য এ আলেমে দীন।**

**সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রখ্যাত আলেম ৯৩ বছর বয়স্ক আল্লামা শফিকে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মিথ্যাচার ও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক “তেতুল হুজুর” আখ্যা দেওয়া।**

**হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে ও রিমান্ডে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন এবং বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা**

** জামাতের গঠনতন্ত্রে “আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” কথাটা আছে বলে তা বর্তমান পরিবর্তিত সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক আখ্যা দিয়ে এদের নিবন্ধন বাতিল করা**

**জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা**

(সূত্রঃ http://mzamin.com/details.php?nid=Njk1NDI=)

** প্রকৃতপক্ষে রাজাকার না হওয়া স্বত্বেও মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জামাতের কেন্দ্রীয় নেতাদের শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশে ফাঁসি দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা**

** সারাদেশে জামাত-শিবিরের কর্মীদের মানুষ হিসেবেও মর্যাদাটুকু না দিয়ে অত্যাচার, নির্যাতন, গণহত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গনগ্রেপ্তার করা।**

** সারাদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং তাদের সকল অপকর্ম ক্ষমা করে দেওয়া।**

**দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক আল্লাহ, হজরত মুহাম্মদ (সঃ), এবং কুরআন অবমননা ঘটলেও সরকার এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।**

>> রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের দুইতলা (২৩১ নম্বর কক্ষ) থেকে নর্দমায় কুরআন শরিফ ছুড়ে ফেলে ছাত্রলীগ নেতা সূর্য কুমার রায়। সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। (২২ নভেম্বর, ২০১২, দৈনিক নয়াদিগন্ত। http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=47001 )

>> ২০১১ সালের ১৪ জুলাই টুঙ্গিপাড়ার জিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক শঙ্কর বিশ্বাস দশম শ্রেণীর ক্লাসে দাড়ি রাখা নিয়ে সমালোচনাকালে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে ছাগলের সঙ্গে তুলনা করে (নাউজুবিল্লাহ্)। এতে ওই ক্লাসের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে শঙ্কর বিশ্বাস টুঙ্গিপাড়া থেকে পালিয়ে যায়। যদিও পরে কোন বিচার হয় নি।

>> ২০১১ সালের ২৬ জুলাই ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মদন মোহন দাস মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এবং পবিত্র হজ নিয়ে কটূক্তি করে। সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গে এক সভায় সে মন্তব্য করে, এক লোক সুন্দরী মহিলা দেখলেই বিয়ে করে। এভাবে বিয়ে করতে করতে ১৫-১৬টি বিয়ে করে। মোহাম্মদও ১৫-১৬টি বিয়ে করেছে। তাহলে মুসলমানদের মোহাম্মদের হজ করা স্থান মক্কায় গিয়ে হজ না করে ওই ১৫-১৬টি বিয়ে করা লোকের বাড়িতে গিয়ে হজ করলেই তো হয়।– এরও কোন বিচার হয় নি।

>> মানিকগঞ্জে বিশ্বজিত্ মজুমদার কর্তৃক রাসুল (সা.)-এর জন্ম এবং পবিত্র কোরআন নিয়ে কটূক্তি, (সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

>> বাগেরহাটের এক হিন্দু কাবা শরিফের হাজরে আসওয়াদকে শিবলিঙ্গের সঙ্গে তুলনা,

(সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

>>খুলনার পাইকগাছায় আরেক হিন্দু মহান আল্লাহ সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য।

(সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

>> নেত্রকোনার চন্দ্রনাথ হাইস্কুল গেটের কোরআনের আয়াত সংবলিত সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা।

(সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

>> বাগেরহাটের কচুয়ায় এক হিন্দু কর্তৃক মহান আল্লাহর ছবি ব্ল্যাকবোর্ডে অঙ্কন করা,

(সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

>> সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে রাসুল (সা.) সম্পর্কে হিন্দু কর্তৃক চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন।

(সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

>>ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক হিন্দুর মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি**

(সংকলনে এম এ নোমান, দৈনিক আমার দেশ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩)

**কোরআনের আয়াত সংশোধনে হাইকোর্টে রিট করার ঘটনাও ঘটে এ সরকারের আমলে।**

(দেবনারায়ণ নামের জনৈক আওয়ামী লীগ সমর্থক ২০১০ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করে পবিত্র কোরআনের ‘কোরবানি’ সংক্রান্ত কয়েকটি আয়াত সংশোধনের প্রার্থনা জানায়। পবিত্র কোরআন সংশোধনের ঔদ্ধত্বপূর্ণ এ রিটটি হাইকোর্ট গ্রহণ করে শুনানির তারিখও ধার্য করে। ইসলাম ও মানবতার শত্রু দেবনারায়ণ তার আবেদনে উল্লেখ করেছে যে, কোরবানি সংক্রান্ত আয়াতটি ভুল (নাউজুবিল্লাহ)। এটি সংশোধন করতে হবে। রিট আবেদনের সঙ্গে দেবনারায়ণ সংশোধনের একটি খসড়া প্রস্তাবও জমা দেয়। রিট আবেদনে পরবর্তীতে অবশ্য হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে একটি আদেশ দেয়।)

** মসজিদের মাইক্রোফনে সেহরীর সময় ডাকাডাকি করায়, ইমামকে প্রাণদিতে হল একদল হিন্দু যুবকের হাতে।**- কোন বিচার হয়নি।

(গত ২১/০৭/২০১৩ তারিখে উত্তরখান থানার সামুরখানে ভোর রাতে ইমাম সাহেবকে ডেকে নিয়ে অনিল, মিখিলসহ আরও ৭-৮ জন নির্মম প্রহার করে। ইমাম সাহেবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে পরদিন ২২/০৭/২০১৩ তারিখে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে মসজিদ কমিটির সভাপতি ইমাম সাহেবকে তার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ জেলার জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, গত ৩১/০৭/২০১৩ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার অন্তর্গত এলাচী গ্রামে। নাম- মাওলানা মোহাম্মাদ আখের আলী। তিনি ময়নারট্যাক গিয়াস উদ্দীন সরকার বাড়ি মসজিদের ইমাম ছিলেন।)

**জানাজার নামাজের ভয়াবহ অবমাননা/ (ভয়ানক ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার রাজিব ওরফে থাবা বাবার জানাজার নামাজের নামে তিন তাকবিরের সাথে নারীপুরুষ, হিন্দু-মুসলিম একসাথে মিলে (বেশির ভাগই অজু ছাড়াই) তিন দিক থেকে ঘিরে ধরে ঠিক সূর্য ডোবার মুহূর্তে (যখন নামাজ পড়া হারাম) যে নামাজ পড়া হয়েছে তা কি প্রকারন্তরে নামাজ অবমাননা নয়?**

** রাজাকারের ড্রেস বোঝানোর নামে সারাদেশে ছবি ও মূর্তির মাধ্যমে বিদ্রূপাত্মকভাবে উপস্থাপন করে টুপি, দাড়ির ভয়ানক অবমাননা।**

**ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগের কথিত জাগরণ মঞ্চে ইসলামবিদ্বেষীরা বীভত্স মুখ এঁকে মাথায় চাঁদ-তারা খচিত টুপি এবং থুতনিতে দাড়ি দেখিয়ে পবিত্র ইসলামের অবমাননা করে। শাহবাগি ইসলামবিদ্বেষীরা ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান নিয়ে ব্যঙ্গ করে অভিনয় করে। তারা বোরকা নিয়েও ব্যঙ্গচিত্র আঁকে। ইসলামের বিধান পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে মাদকাসক্ত ও গাঁজাসেবী তরুণ-তরুণীদের দিয়ে পথনাটকে অভিনয় করানো হয়। এছাড়াও দাড়ি-টুপিধারী লোকদের বিশাল ছবি টানিয়ে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের দিয়ে তাতে জুতাপেটা করানো হয় শাহবাগের নাস্তিক ব্লগারদের কথিত ওই মঞ্চে।**

** সারা দেশে বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আমন্ত্রন। কোন কোন জায়গায় ছাত্রলীগের নামে আয়োজনেও মুলস্রোত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। এটা কি ইফতারের অবমাননা নয়?**

** আওয়ামীলীগ কর্তৃক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রচারণা যেমনঃ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন। এগুলো কি ইসলামের উপর সূক্ষ্ম আঘাতের চেষ্টা না?**

**ইসলামবিদ্বেষী ভারতীয় সেবাদাসদের নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিটিভিসহ সরকারি দলের সমর্থক মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত নাটক এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে দাড়ি ও টুপিধারীদের দিয়ে খারাপ চরিত্রগুলোতে অভিনয় করানো হয়। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও দাড়ি-টুপি এবং পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত ব্যক্তিকে বিশাল দ্বৈত্যের রূপ দিয়ে ভাস্কর্য ব্যবহার করা হয়। ইসলামের অনুসারী আলেম-ওলামাদের বিষয়ে জনমনে একটি খারাপ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।**

**২০১০ সালের ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইফার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। অনুষ্ঠানে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার সঙ্গে করমর্দনও করে ডিজি আফজাল। কাঙ্গালিনী সুফিয়ার একতারা এবং শরীর দুলিয়ে নাচ-গানে বিব্রত অবস্থায় পড়েন উপস্থিত ইমামরা**

**২০১০ সালের ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ইফার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে জাতীয় শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে হাম্দ ও নাতের বিচারক হিসেবে এমন শিল্পীদের আনা হয় যাদের অনেকেই ইসলামি সঙ্গীতের ধারার সঙ্গে পরিচিত নয়। এ নিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

** লালখান বাজার জামেয়াতুল উলূম আল ইসলামিয়া মাদরাসায় কেরোসিনের জ্বলন্ত চুলার পাশে থাকা পুরনো একটি আইপিএস ও কয়েকটি ব্যাটারী বিস্ফোরণের ঘটনাকে “বোমা তৈরি ও গ্রেনেড নাটক” সাজিয়ে লালখান বাজার মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় সরকার। মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী এবং মুফতি ইজহারের পুত্র হারুন বিন ইজাহারসহ ২৫ ছাত্র-শিক্ষককের নামে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা। এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের বিষয়ে চিকিত্সকদের দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগুনে তাদের শরীর ঝলসে গেছে। তাদের শরীরে কোনো স্পিল্গন্টার কিংবা বোমা বা গ্রেনেডের আলামত পাওয়া যায়নি। **

সূত্রঃ http://www.dailyinqilab.com/2013/10/09/137695.php

**বোরকাধারী পর্দানশীল মহিলাদেরকে হয়রানি**

>> ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল বরিশালের নিউ সার্কুলার রোডের এক বাড়িতে র্যাব হানা দিয়ে বোরকা পরে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য জড়ো হওয়ার অপরাধে ২১ নারীকে গ্রেফতার করে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জঙ্গি সংশ্লিতার কোনো তথ্য না পেয়ে ২১ পরহেজগার নারীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়। ঘটনার দীর্ঘ দু’মাস পর ২৩ জুন আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেয়।

>> একইভাবে বোরকা পরার অপরাধে ২০০৯ সালের ৩ জুলাই পিরোজপুর জেলার জিয়ানগরে ছাত্রলীগের বখাটে কর্মীদের প্ররোচনায় পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে তিন তরুণীকে গ্রেফতার করে। তারপর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে তিন তরুণীকে ঢাকায় টিএফআই সেলে নিয়ে আসা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা তরুণীদের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন অমর সিংহ। দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি থেকে অবশেষে তিন অসহায়, নিরপরাধ তরুণী মুক্তি পায়।

>> ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. একেএম শফিউল ইসলাম তার ক্লাসে ছাত্রীদের বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সে ক্লাসে মধ্যযুগীয় পোশাক ‘বোরকা’ পরা যাবে না এবং এটি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোনো পোশাক হতে পারে না বলে ফতোয়া জারি করে।

>> ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর ইডেন এবং বদরুন্নেছা কলেজে বোরকাধারী ছাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

>> ইডেন কলেজে বোরকা পরা ছাত্রীদের ধরে বোরকা খুলে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।

>> রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাইখুল ইসলাম জিয়াদ নামের এক শিক্ষক বোরকা পরায় তিন ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়।

**সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন মাদরাসায় হানা দিয়ে ইসলামি বই-পুস্তক ও পবিত্র কোরআন-হাদিসকে জিহাদি বই হিসেবে চিহ্নিত করে নিরীহ ছাত্রদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ ধারা এখনও অব্যাহত।**

**হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের পর সরকার বিভিন্ন কৌশলে মাদরাসাগুলোকে টার্গেট করে তা বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে কর্তৃপক্ষ মাদরাসা বন্ধ করে দিয়েছে। কোথাও আবার সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা বল প্রয়োগ করে মাদরাসা বন্ধ করে দেন। ইমাম এবং খতিবরা মসজিদে সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেই তাদের গ্রেফতার ও চাকরিচ্যুতিসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়।**

******************************************************

আওয়ামীলীগের অতীতের ইসলাম বিরোধী কাজ গুলোঃ

১। ১৯৫৫ সালে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' শব্দ থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামীলীগ করে ।

২। শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে “ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক” অর্থ পড় সে প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন। কোরআনের এই আয়াত তুলে দেন, ধর্মীয় শব্দ বলে।

৩। শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে “রাব্বি জিদনী ঈলমা” অর্থ “প্রভু আমায় জ্ঞান দাও”। কোরানেরএই আয়াতটিও তিনি তুলে দেন তাঁর প্রচন্ড ক্ষমতা বলে ধর্মীয় শব্দের অযুহাতে।

৪। “কবি নজরুল ইসলাম কলেজ”থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে, কবি নজরুল কলেজ করা হয়। অপবাদ দেন ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির।

৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের“সলিমূ্ল্লাহ মুসলিম হল” থেকে, মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে সলিমূ্ল্লাহ হল করা হয়, যা এখনও বিদ্যমান। অপবাদ ইসলাম ধর্মের। অথচ ভারতের মত কট্টর হিন্দুয়ানী দেশে ২০০শত বছরের পুরানো বিদ্যাপীট আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালেয় নামের সাথে মুসলিম শব্দ আজও টিকে আছে।

৬। ঢাকার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রোডের নাম পরিবর্তন করা লাগবে, তার স্থলে বসানো হল ইন্দিরা গান্ধীকে। ধরেই নিলাম ইন্দিরা গান্ধী একদা আমাদের বন্ধু ছিল, সে জন্যতো অন্য রোড ছিল। আবার জিন্নাহ তো আমাদের দোষমন ছিলনা। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তিনিই পাকিস্থান সৃষ্টি করেছেন, পাকিস্থান না হলে শেখ মুজিব কখনও বলতে পারতেন না - বাংলাদেশ।

৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরআল্লামা ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে সূর্যসেন হল করা হয়।

(ইকবাল মুসলিম জাগরনের কবি, তাঁর কবিতা মুসলিম সাহিত্য, মাদ্রাসা, হাজারোআলেমের হূদয়ে গুঞ্জরণ হয় আজো। মুসলিম জাতিকে গড়ে তূলতে ২৫ হাজার পংতির শুধু কবিতাই লিখেছেন। তিনিই প্রথমে বৃটিশ থেকে স্বাধীন করে আলাদা একটি মুসলিম ভূখন্ডের কথা বলেছিলেন ফলে তাকে পাকিস্থানের স্বপ্নদ্রস্টা বলা হয়। তিনি মৃত্যুবরন করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মানে পাকিস্থানের জন্মেরও বহু আগে। ইকবালের নাম নাহয় তুলে দেয়া হল, কিন্তু যার নাম তাঁর যায়গায় দেওয়া হল তিনি হলেন বিপ্লবী নেতা সূর্যসেন। সূর্যসেন চরম মুসলিম বিদ্ধেষী, তার দলে মুসলিম তো দূরের কথা, ব্রাহ্মন ব্যতীত কোন সাধারন হিন্দুকেও সদস্যও করা হত না। তিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কথা বলে যত ব্যক্তি হত্যা করেছেন, তার ৮০% ছিলেন মুসলিম।)

৮। শেখ মুজিবুর রহমান তাঁরশাসনকালে ধর্মনিরেপেক্ষতার অজুহাত তুলে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহর মত ছোট্ট কথাটিকেই ঝেঁটিয়ে বিদায় করেন।

৯। ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কুকুরের মাথায় টুপি পরা ছবি দেওয়ালে একে ইসলামী প্রতীকের অবমাননা।

১০। ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে ইসলামী দলগুলোকে ঢালাওভাবে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করা।

১১। ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদক শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক সাহেবকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা।

শেয়ার করুন এবং সংগ্রহে রাখুন। সম্ভব হলে আরও তথ্য রেফারেন্সসহ কমেন্টে যোগ করুন। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য।

বিষয়: রাজনীতি

৪৮৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File