সংখ্যা,ঝগড়া,বাগড়া !
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২৮ মে, ২০১৭, ১০:২৬:৩৭ রাত
সাধারণ জনগণকে একটা মারাত্মক সন্দেহ আর দ্বিমুখী সমস্যায় ফেলে ইসলামের বুকে পেরেক মারার সর্বশেষ দায়িত্বগুলো পালন করছে আলেম উলামারা।জানি না উনারা জ্ঞাতসারে নাকি অসচেতনভাবে এই কাজটি করছেন।
অত্যান্ত বেদনার সাথে লক্ষ্য করা যায় যে,কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কিছু ফালতু বিষয় দিয়ে এমনভাবে ঢেকে দেয়া হচ্ছে যে আম তো পচে যাচ্ছে,ছালার অস্তিত্বও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রামাদান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কারের মাস আর পাপীদের পাপ মোচনের মাস।তাকওয়া অর্জনের মাস রামাদান যেখানে বেশী বেশী ইবাদতের জন্য চেষ্টা আহবান আর উৎসাহের কথা বলা হবে সেখানে এখানেও এক ধরনের কাঁদা ছুড়াছুঁড়িতে বিরক্ত মানুষ বিপথে যাচ্ছে অজান্তেই।
তারাবীহ ২০ না ৮?
এটা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ?কেউ যদি ২০ পড়ে তবে সমস্যা কোথায় আর কেউ ৮ পড়লে সমস্যা কোথায়?
মুল আলোচনা তো এটাই হওয়া উচিত ছিল যে,২০ পড়েন আর ৮ পড়েন আর ৪০,ব্যাপার না।তবে অবশ্যই সালাত যেভাবে আদায় করতে হয় সেভাবে করুন।অরাত্তিলিল কুরাআনা তারতিলা অর্থাৎ তারতিলের সহিত সুন্দর ভাবে তিলাওয়াত করে কিরাত পড়ে নামাজ পড়ুন।ঠুকাঠুকি তে সংখ্যা বাড়তে পারে কিন্তু তা সওয়াবের বদলে গুনাহ হবে বরং।
এই আলোচনা ছেড়ে ৮/২০ এর উলঙ্গ ঝগড়া সুযোগ সন্ধানী নামাজী বা দুর্বল ঈমানের অধিকারী মানুষের মসজিদ মুখী হতে যে বাগড়া দিচ্ছে তার দিকে খেয়াল কে করবে?
আমিন জোরে না আস্তে,হাত বুকে না পেটে না কাঁধে,তাকবীরের হাত কানে না কাঁধে উঠাবে এসব নিয়ে প্রতিনিয়ত যে তর্ক আর ঝগড়া হচ্ছে তার কারণে কত মানুষ যে ইবাদতই ছেড়ে দিচ্ছে তার খবর কি এসব আলেম উলামারা জানেন?
ফরজ কাজ গুলো বাদ দিয়ে নফল মুস্তাহাব আর এখতেলাফের বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত যে সন্দেহ আর ফিতনা সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে আমি হালকা পাতলা ইসলাম জেনেও যেখানে সন্দেহে পড়ে যাই,যারা নিতান্তই অজ্ঞ বা এ ধরেনর চর্চা করে না তাদের যে কি অবস্থা তা মাঝে মাঝে দেখে শুধু আফসোস করি।
"আল ফিত্নাতু আশাদ্দু মিনাল কাতল" - ফিতনা বা গোলযোগ সৃষ্টি হত্যার চাইতেও জঘন্য।
আর এই ফিতনা উভয় পক্ষই মসজিদে করছে অত্যান্ত ইমানি দায়িত্ব মনে করে।
পাবলিক যেখানে নামাজই পড়ে না সেখানে তার ফিকির না করে ঝগড়ার জিকির করে লোকজন খেদানোর কাজ চলছে।
শীলে পাটার এই ঘষাঘষিতে ইসলাম যে কোথায় যাচ্ছে আর বিশেষ করে কোমল মন যে কিভাবে একের পর এক নাস্তিক হচ্ছে তার জবাবদিহি হাশরের ময়দানে বিজ্ঞ আলেম উলামা গন দিতে পারবেন?
ছোট্ট একটা উদাহরণ দিচ্ছি,তৎকালীন সরকার (১৮/১৯ বছর আগে) এর নির্দেশে বায়তুল মোকাররম মসজিদে পুলিশ জুতা পায়ে ঢুকে লাঠি পিটা করে একের পর এক রক্তাক্ত করতে থাকলে এক বাচ্চা তার বাবার উপর আক্রমণ হলে বলতে থাকে আমি জানতাম না মসজিদে আসলে মার খেতে হয়,পুলিশ ভাই আর মারবেন না আমি আর আমার বাবাকে নিয়ে কখনোই মসজিদে আসবো না।
কোমলমতি মনগুলো এভাবেই তৃষ্ণা বিতৃষ্ণার স্বাদ নেয় অবুঝের মত আর হয় নাস্তিক।যার ফল আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি অথচ মোল্লারা দিন দিন যেন প্রতিনিয়ত কামড়াকামড়িতে বেশী ব্যাস্ত হয়ে যাচ্ছেন।
(পরিবর্তনের সিস্টেম আছে,তবে বাহাস করে ইসলাম কখনো দাওয়াত দিয়েছে বলে আমার জানা নেই,আর এর মাধ্যমে সমাধান হয়েছে বলেও আমি জানি না এবং নফল আর এখতেলাফের বিষয় কে এত গুরুত্ব দেয়ার এমন ইসলামিক বিধান কোথায় আছে?
বিষয়: বিবিধ
৭৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন