প্রতিহিংসার আগুন
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৬ মে, ২০১৭, ০১:০২:৪৩ দুপুর
প্রতিহিংসা কে কখনো বিচার বলা চলে না।বিচার তো সেটাই যা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে আর অন্যায় কে প্রতিহত করে সমাজ থেকে তার মূলোৎপাটন করে।
প্রতিহিংসার আগুন যেভাবে দাউ দাউ করছে তাতে করে মুক্তির সূর্য আকাশে উদিত হবে এমন সম্ভাবনা কখনোই ছিল না বা থাকবে এমন আশাও বোকামি ছাড়া কিছুই না।
সেই প্রেক্ষিতে পূর্বের রায় বহাল কে সম্ভাব্য বেটার পরিস্থিতি যেমন বলা চলে তেমনি এমন আশঙ্কাও মাথায় রাখা উচিত যে শয়তান চকচক কিছু দেখিয়েই ভেল্কিবাজি টা করে।
অতীতে এমন টা যেমন হয়েছিল ১৭৫৭ তে বা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ এ কিংবা ১৯৯৬ সালে তেমনি এমন কিছু প্রতিনিয়ত করার পরিকল্পনা সরকারের সকল সময় আছে এটা সহজেই প্রতীয়মান।
তবে মৌসুম বুঝা যেহেতু দায় তাই ঝড় বৃষ্টি কোনদিকে দিয়ে আসবে এমনটা অনুমান করাই কঠিন।
ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না বরং সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ যে করছে এমনটা খোদার কাছে প্রমাণ করার জন্যই মাধ্যম।ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে খোদাতায়ালা ভালো মনে করলে দুনিয়াবি বিজয় দান করবেন আর ভালো মনে না করলে দিবেন না।এটা সফলতার মানদণ্ড বা মঞ্জিল না।এটা একান্তই আল্লাহ্র অনুগ্রহ।তবে মুল তো সেটাই যা মৃত্যুর পরের জন্য নিহিত।সেই বিচারে জুলুম নির্যাতন এর শিকার তো বরং সফলতার বিষয়।তাতে অবিচারের দড়ি গলায় ঝুললেও যেমন শান্তি (যার গলায় ঝুলে তার জন্য প্রযোজ্য) তেমনি স্রস্টার কাছে প্রমাণিত হওয়াটাও সৌভাগ্যের।
তবে যারা সাধারণ আমাদের মত তাদের কাছে প্রেরণা গুলো বেঁচে থাক বহু বছর এমন কামনাই সকলে করি।আর তাই তো এই অবিচারের পরও শোকরিয়া যে জীবন্ত একজন মানুষকে এখনো কল্পনা করতে পারি।
এই আদালতে ভবিষ্যতের রায়ে অবিচারকদের ফাঁসী হবে এমন স্বপ্ন দেখি না বা এমনটা আশাও করি না বরং অবিচারকরা ভুলে বুঝে ভালো পথে ফিরে আসুক এমন দোয়া আর কামনাই তো মানুষের মানবিক নৈতিক গুন।তবে অভাগাদের যদি ভাগ্য না বদলায় তবে শেষ বিচারের আদালত যে রায় দিবে তা যে কত ভয়ঙ্কর হবে তা যদি তারা জানতো !
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন