মঙ্গলের অমঙ্গল
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৫ এপ্রিল, ২০১৭, ০২:৩৫:৫৬ রাত
দোকানে গেলাম মরিচ আর টমেটো কেনার জন্য,দোকানের মালিক বলছে ইলিশ নিবেন না নববর্ষ উপলক্ষ্যে?
কিছুটা আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাকিয়ে বললাম ব্যাস্ততায় ভাত খাওয়ার সময়ই পাওয়া যায় না সেখানে নববর্ষ দিয়ে কি করবো!
বেচারা মুরুব্বী আমার দিকে রাগ করলনে।
যাই হউক বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
ভাবতে থাকলাম তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা এখন কি!
আর সেই সাথে কাল সকালে তো মঙ্গল শোভাযাত্রা!
সম্ভবত ৩/৪ দিন আগে দেখলাম স্কুল থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে এর আয়োজন করা হচ্ছে।
ইলিশ আর পান্তা ভাতের ভণ্ডামির বিলাসিতা আর মানবতার গালে চড় মারার কথা বাদ দিলাম।সরাসরি রাজনীতিতে আসি।তবে হ্যাঁ কথা বললেই আপনাদের রাজনীতি মনে হয় যখন তা সত্যের পক্ষে বলা হয়।আর সেই জন্য আগেই বলে নিচ্ছি চুলকানির উপসর্গ হলে চুলকান কিন্তু বুঝটুকু অন্তত নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন প্লীজ।
নববর্ষ বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের অংশ।সম্রাট আকবরের আমল থেকে চলে আসা এই বাংলা বর্ষের প্রথমদিন হালখাতার জন্য আর খাজনা আদায় এর জন্য ব্যাবহ্রত হয়েছিল।পরে ১৯১৭ সালে ব্রিটিশদের জয় কামনা করে পূজা ও কীর্তন হয়েছিল।কিন্তু সেটার সাথে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য না বরং একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সম্পর্ক ছিল।
এর ১৯৩৮ সালেও এরকমটি ওই গোষ্ঠী কর্তিক হয়েছিল।
মূলত মেলা,পিঠা পুলি বানানো এসবই নববর্ষের ঐতিহ্যের সাথে জড়িত থাকলেও ক্রমান্বয়ে এক শ্রেণীর পল্টিবাজেরা এর মধ্যে অন্য ধর্মের সংস্কৃতিকে ঢুকানো শুরু করে।
অদ্ভুত ছবি আর অদ্ভুত স্টাইল জীবন ধারার মানুষ হল চারুকলা ইন্সটিটিউট এবং তারা প্রথম ১৯৮৯ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা এর আয়োজন করে।মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে ঐতিহ্যের সম্পর্ক কোথায় আর এই যাত্রা যেহেতু একটি ধর্মের চিহ্ন বহন করে সেহেতু এটাকে মোটেই সার্বজনীন বলার কোন অবকাশ নেই।
তাই জোর করে যারা চাপিয়ে দিয়েছেন তারা ইসলামের কিছু বললে বা করলেই সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ খুঁজে অথচ তারা দিনের পর দিন এসব আকাম কুকাম চাপিয়ে দিচ্ছে এটাকে কেন উস্কানি আর ষড়যন্ত্র বলা হবে না!
তার উপর স্কুলে স্কুলে বাধ্যতামূলক করা হলে সেটা নিতান্তই ইতরামি এবং উস্কানি।কারণ একজন মুসলমান কখনোই মঙ্গল শোভাযাত্রার অংশ হতেই পারে না।স্বাধীনভাবে যদি নিজস্বতা বজায়ই না রাখা যায় তবে সাম্প্রাদিয়ক আসলে কারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিবেন আশা করি।
স্কুলে হিজাব পড়লে কুলাঙ্গার মিডিয়া গুলো রিপোর্ট করতে পারে তবে মঙ্গলে কেন অমঙ্গলের সত্য কথা নিয়ে হাজির হতে পারে না!
নববর্ষ পালনের নামে নিত্য নতুন ভণ্ডামি আর ঐতিহ্য কে হত্যা করে অপসংস্কৃতি ঢুকানোর সমস্ত চেষ্টার প্রতি ঘৃণা জানাই।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধর্ম যার যার উৎসব সবার - এসব ভোংভাং দিয়ে তাদেরকে কনফিউজড করা যায় না যেমনটা মুসলমানদের করা যায়।
আর ইলিশের মত এত দামী মাছ কখনই সাধারণ মানুষের ঐতিহ্য হতে পারে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন