ঝি কে মেরে বউকে শিখানো
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৫ মার্চ, ২০১৭, ০৪:৩৭:৩৯ রাত
“ঝি কে মেরে বউকে শিখানো”
প্রবাদটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত।
রাজনীতি বা ক্ষমতা নীতি যাই বলুন না কেন এই টার্মটিতে এই প্রবাদ বহুকাল থেকেই প্রচলিত হয়ে আসলেও আমরা বউ গুলো এতোটাই গণ্ডারের চামড়া সমৃদ্ধ কিনা বা গায়ে একেবারে এসে না পড়লে দেখবো না শুনবো না টাইপের কিনা তাই আমাদের শিখার সময় সুযোগ কখনোই আসে না যতক্ষণ না এস্ফার অস্ফার এর অবস্থায় আমরা না পড়ি।
বিগত ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে অমুসলিম বুদ্ধিজীবী,মিডিয়া,ক্ষমতাশীলরা ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য নানা চটকদার তকমার বিশ্বব্যাপী উন্নত ফলাফল পেয়ে আসছে দারুণভাবে।
সন্ত্রাসের সাথে মুসলিম আর এর পর তার স্থানে দাঁড়ি,টুপি ইত্যাদি নানা কিছু এমন সুকৌশলে জুড়ে এগুলোকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে যে এই অবয়ব গুলোই সবচেয়ে বড় লাইভ হরর মুভি হয়ে গেছে।
কোরআন ঘর থেকে বের করে দিবে এমন হয়নি,মাদ্রাসায় গিয়ে মদ্রাসা সরাসরি তুলে দিবে এমন হয় নি,বা মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে পানশালা তৈরি করে ধ্বংস করেনি।
কোরআনের জিহাদের আয়াতের বিকৃতি করে তুলে দিয়ে মনে দাগ ফেলেছে,কাউকে ধরে তার সামনে ইসলামী বই রেখে ছবি তুলে ইসলামী বই তথা কোরআনকে আতঙ্কের গ্রন্থ বানিয়েছে।মসজিদে বোমা হামলা হবে এই করে মসজিদ বিমুখী করেছে।
কাউকে বলেনি এসব করো না,তবে মানুষ নিজেই ভয়ে এসব কিছু ত্যাগ করছে।কারণ সাধারণ মানুষ তো এর জ্ঞান রাখে না তাই তাদের মিডিয়া যা গিলাচ্ছে সেই গিলে ফাঁদে পড়ছে।
বিগত সময়গুলোতে নানা ছুতোয় আক্রমণ হয়েছে।আর সর্বশেষ “ইনশাআল্লাহ” - শব্দ দিয়েই একজনকে বানিয়ে দেয়া হল জঙ্গি এবং নিশ্চিত ধরে রাখেন আগামী দিন থেকে এদেশের মানুষের মুখ থেকে ইনশাআল্লাহ শব্দটিও উঠে যাবে।
হয়তো কোন একদিন খালেদা জিয়াকেই এই শব্দ ব্যাবহারের জন্য জঙ্গি হিসেবে এরেস্ট করা হবে।
তুরস্কে কামাল আতার্তুক এসে সব নিষিদ্ধ করেছিল আর বাংলাদেশে ইসলাম আপনাআপনিই নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে ভয়ে।
সাত বোঁচরও আগে বন্ধুকে বলেছিলাম সাথে একটা কোরআন শরীফ নিয়ে এসো,সে আনেনি ভয়ে আর আগামীকাল থেকে বাচ্চারা আর বলবে না ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের এত শিখানোর পরেও শিখেন না।তবে জাগবেন কবে?
প্রলয় বাড়ি হিসেব করে আসে না,গুরি গুরি বৃষ্টি দেখে যারা প্রটেকশন নেয় না তাদের রক্ষা একমাত্র প্রভু ছাড়া কে করতে পারে!
বিষয়: বিবিধ
৯২৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন