শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক।
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:৩২:১৪ সকাল
ক্লাশের প্রথম ছাত্রটি সুপার ব্রিলিয়ান্ট কিন্তু দেশের জন্য সে খুব কম কাজেরই।
এড়া পুঁথিগত বিদ্যার স্বর্ণ একেকজন তবে দেশ আর দেশের উন্নতির কারিগর পিছনের ছাত্ররাই।
ট্যেলেন্ট খুঁজতে গেলে তাদের মধ্যেই খুঁজতে হবে।
তবে রেজাল্ট খুঁজলে তাদের মধ্যে পুঁথিগতবিদ্যার রেজাল্ট খুঁজে ফাও শুধু সময় নষ্ট হবে।
একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।----- বিল গেটস।
আমি কোন কঠিন কাজ করার জন্য সবসময় একজন অলস বাক্তিকে পছন্দ করবো, কারন সে ওই কাজটি করার একটি সহজ উপায় বের করবে।-- বিল গেটস।
একজন সফল উদ্যোক্তা বা অর্থনীতির চাকা কে যারা ঘুরায় তাদের কয়জন পাবেন ক্লাশের প্রথম ছিল?
যাই হউক কাউকে বড় করা আর ছোট করার উদ্যেশ্যে কথাগুলো বলি নাই।
কথাগুলো বলার পিছনে কারণ হল মূল্যায়ন জিনিষটা রেজাল্টের উপর নির্ভর করে না।
রেজাল্ট কে অতিরিক্ত প্রাধান্য দেয়া মানে একটা জাতিকে খোঁড়া করে দেয়া।কারণ রেজাল্ট ভালো না এই শুনতে শুনতে ছেলেটি বা মেয়েটি একসময় তার সাহস ই হারিয়ে ফেলে যার পরিণতি অনেক গুলো স্পিরিট সম্পন্ন প্রতিভা অঙ্কুরেই আশাহত ভীতু স্বপ্নহীন হয়ে যায়।
গতকাল ও ২ জন আত্মহত্যা করলো জেএসসি এর রেজাল্ট ভালো না হওয়ায়।
এটা কি শিক্ষা নাকি বোঝা !
অথচ একটা রেজাল্ট হয়তো একটা স্তেইজের জন্য কিছুটা ভাইটাল কিন্তু এটা মানে জীবন বা সমৃদ্ধি না।এটাকে স্বীকার করতেই হবে।
শিক্ষা নীতি পরিবর্তন সময়ের মৌলিক দাবী,শিশুদের এবং এই কচি প্রাণদের বাঁচতে দিতে হবে এবং তাদেরকে স্বপ্ন দিতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৯১৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন