মোল্লা

লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৫৫:১৯ দুপুর

মোল্লারা ঘুরে মসজিদে মসজিদে

ঘরে ঘরে চলে যৌনতা

প্রতিরোধের দাবী নীরবে কাঁদে

ধর্মের চলে মৌনতা।

জিকিরে জিকিরে ফিকির উঠে

দরগা,খানকা মসজিদে

খলিফা তুমি মুসলিম ভবে

ফতোয়া,ভাষণ পদে পদে।

গাট্টি পোটলা কাঁধে কাঁধে

দ্বীনের দাওয়াত দুনিয়ায়

সুন্নতের খোঁজ দাঁড়ি টুপিতে

সন্তান মদে মুখ চোবায়।

নিপীড়িত জন কেঁদে হাহাকার

সুদী কারবারীর আগমন

নজর নীচে,ওষ্ঠ ভরা জিকির

এড়িয়ে খোঁজে জান্নাতি ধন।

বিধানের বাণী কাফের নিয়ে আয়

অভাবের ঘরে যতনে

পর্দা,ফতোয়া আরও কিচ্ছা কাহিনী

ধর্ম কি শুধু কেতনে ?

মোল্লার কাম বিধান রচিবে

সমাজ ধর্ম সবের

মসজিদে বসে তসবিহ শুধু

নির্দেশ নাই রবের।

এ জাহান তোমার,খলীফা তুমি

হিতকর হবে শাসক

অধর্মরে তুমি ভালোবাসা শিখাইবে

ধর্ম নয়তো পোশাক।

বিষয়: বিবিধ

৯৩৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

379644
১১ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:৫৬
তরবারী লিখেছেন : কবিতাটির একটু ব্যাখ্যা দেয়ার ইচ্ছে হল।তাই দিচ্ছি।
আজকাল ধর্ম মানে ইসলামকে মসজিদের দেয়ালে বন্দী করে দেয়া হয়েছে।গাট্টি পোটলা বেঁধে বেঁধে মসজিদে মসজিদে দৌড়া দৌড়ী হচ্ছে আর সেখানে জিকির এর মাতম উঠছে,কিন্তু বাইরে পাপের যেন মহাসমারোহ শুরু হয়েছে।
যেখানে আল্লাহ্‌ আদেশ করেন নামায শেষে বেড়িয়ে যাও এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে অন্যায়কে উৎখাত করতে প্রচেষ্টা চালাতে মুসলমানদের হুকুম দেয়া হয়েছে সেখানে সব বাদ রেখে শুধু এস্তেগফার,জিকির আর ফতোয়া দেয়া কাজ হয়ে গেছে মুসলিমদের।
যেখানে মুসলিমরা সমাজ শাসন করে সমাজে সমতা বিধান করবে,গরীবের দুঃখ ঘুচাবে,অন্যায় দূর করবে সেখানে তারা শুধু পর্দার ফতোয়া আর হারামের ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে।
এই সুযোগে কাফের,বেদ্বিন রা সমাজে এসে সুদ দিয়ে হউক আর অন্যায় করে হউক নিজদের বানানো শয়তানী বিধান চালু করে ফেলছে।অথচ মোল্লারা চোখ নিচু করে ঘৃণার ভাব নিয়ে জিকির করতে করতে মসজিদের পানে ছুটছে।
এটা মোল্লাদের দায়িত্ব না।
মোল্লারা সুন্নাত খুঁজে সুবিধাবাদে - আর দাঁড়ি টুপিতে --- ফরজ দায়িত্বের ব্যাপারে পরিপূর্ণ গাফেল ---
গাট্টি পোটলা বাহী মসজিদে মসজিদে ঘুরে আর তারই সন্তান নষ্টের শিরোমণি হচ্ছে ---
আনুষ্ঠানিকতায় সে বড় বুজুর্গ --- কিন্তু শয়তানের সংবিধানকেই আসলে সে বাস্তবায়ন করছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File