জামায়াত ফর রাজনীতি
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৪:২৫:৩৪ বিকাল
এক স্বামীর বউ পিটানো অভ্যাস,যে কোন ছুতা ধরে বউ সে পিটাবেই,না হলে তার পেটের ভাত হজম হয় না।
তো একদিন বাসায় ফিরে বউকে পিটানোর জন্য কোন ছুতাই পাচ্ছে না।
এই নিয়ে টার মাথা গরম।এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে করতে দরজা খুলে বাইরে যাচ্ছিল।দরজার পাশেই একটা কুকুর শুয়ে ছিল।
মাথা খুলে গেলো,ঘরে ঢুকেই,হারামজাদি তুই কই?
কি হয়েছে,ডাকছো কেন?
হারামজাদি তরে নিয়ে আমার সংসারে যত অমঙ্গল,কুকুরটা বাইরে শুয়ে আছে আর তুই তারে একটা বালিশ দিলি না কেন,এই বলেই বউ এর পিঠে পড়তে লাগলো ধুম।
তো বাংলাদেশের রাজনীতি অনেকটা সেরকম।
জামায়াত তো ঐ বেটার বউ এর মত।এদের নিয়ে নিউজ না হলে সব টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে,রাজনিতিকদের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে,এদের না পিটালে আর এদের পিছে না দৌড়াইলে তো জীবন ও যেন পানসে হয়ে যাবে।
তাই সিনিয়র দের শেষ করার সাথে সাথেই মুরুব্বিয়ানে কেরাম তাদের ছুতো পেয়ে গেছে।মকবুল তো ইয়া বড় রাজাকার ছিল।এ তো আগের গুলার কমান্ডার ছিল।শুরু মাইর।
৬ বছরের সাথে আরও আগের ৩৯ বছরে যার নামটা এলাকার মানুষও জানতো না সেইই ৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিটের মাথায় ভয়ঙ্কর মানুষ হয়ে গেলো !
ছুতো পাওয়া গেলো তো!!
এটা তো গেলো এক দলের হিসাব।
দ্বিতীয় দলের অবস্থা দেখেন!
নয়া জামায়াত নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধ,শেখ মুজিব,শহীদ জিয়া,মাওলানা ভাসানি এদেরকে স্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।এ জন্য তাদের মনে সন্দেহের চুলকানি শুরু হয়েছে।কেউ কেউ ফাঁসী আর নির্যাতনের কথা নাকি জামায়াত ভুলে গেছে এমন কথাও বলেছে।
ঐ যে সেও ঐ স্বামীর আরেক রূপ।একদিন পাশে বসে মাথায় হাতও বুলায় নি,কিন্তু গত ৭ বছরে জোটগত ফায়দা নিলেও সময়ে অসময়ে জামায়াতকে ক্রমাগত বাঁশ দিয়ে গেছে এমনকি ২০১৪ সালের অবৈধ ইলেকশনেও জোরেশোরে প্রচার করেছিল যে জামায়াত নাকি আঁতাত করেছে,পরবর্তীতে নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলেছে যে আমাদের(বিএনপি) সাথে নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের যে চুক্তি!
মানে নির্বাচনের আগেই চুক্তি হয়েছিল নির্বাচনের অবস্থা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে!
মানে আওয়ামীলীগ আর বিএনপির আঁতাত! জী তাই,আঁতাত জামায়াতের সাথে না,বাকীরা মিলে হয়েছিল।বলির পাঠা হয়েছিল জামায়াত।
এই হচ্ছে সর্বদা "গরীবের বউ সবার ভাবী খ্যাত"-জামায়াতের অবস্থা।যার যে দিকেই সুযোগ হয় সেদিক থেকেই খবরদারী,অপবাদ,মজা লওয়া,হালকা ভোগ,কিছু ব্যায়াম সব জামায়াতের উপর আর জামায়াত নিয়ে।
গরম টক শো এখন নরম!
কেন!
জামায়াত মাঠে ছিল না,আবার আওয়ামীলীগের পেইজগুলাও ঝিমাচ্ছে কাকের অভাবে,কারণ কাউয়াদের কেউ কা কা করার ছুতা পাচ্ছে না।এখন আবার জাগতেছে,কারণ চেয়ারটির নাম "রাজাকার",সেখানে ভারপ্রাপ্ত থেকে নির্বাচিত হয়ে বসেছেন।
একটু টিপস,মানে হালকা মলম।জামায়াত এর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে দৃষ্টি নিবন্ধন না করেন তাদের পক্ষেই এসব প্রশ্ন তোলা সম্ভব না আর বাকী সবাই এসব প্রশ্ন তুলবে,যার উত্তর দিয়েও শেষ করা যাবে না।কারণ আজকের নতুন আমির নয় জামায়াত এর প্রত্যেক নেতাই অতীতে এই কথাগুলো তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে স্বীকার,উচ্চারণ এবং তা বলিষ্ঠ ভাবেই উচ্চারণ করেছে।তাই আজকের বক্তৃতায় যারা আঙ্গুল তুলছে তাদের নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করতে বলছি।
আর পাঁচ পাঁচজনের বাঘাদের ফাঁসীর পরে আঁতাত!প্রতিবার একই অপবাদ আর একই ফাঁসীর ধারা।
কাদুম্বিনিকে আর কত বার মরিয়া প্রমাণ করতে হবে যে জামায়াত আঁতাত করে নাই।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১১২৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিরীহ মুসলমানদের মারা কি অন্যায় তথা মাফ চাওয়ার মত কাজ মনে করেন না !!
আপনাদের এই দাম্ভিক মানসিকতাই আপনাদেরকে তিলে তিলে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
হিন্দুদের সম্পত্তি যদি আওয়ামী লীগ দখলই করে তাহলে হিন্দুরা একচেটিয়াভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় কেন ? হিন্দুরা আমাদের দেশে সংখ্যা লঘিষ্ট হলেও মুসলমানদের চেয়ে বেশী বুদ্ধি রাখে এবং অনেক বেশী চালাক।
জামায়াত ভারতের সহায়তায় না হোক নিজেরা নিজেরাই পাকিস্তানী শোসকদের হাত থেকে মুক্তি পেতে একমত ছিল ?
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ঠেকাতে বা প্রতিরোধ করতে জামায়াত কি কোন কার্যকর ভূমিকায় অংশ নিয়েছিল ?
আর যাদের ফাঁসি হয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কি প্রুফ আনা ছাড়াই ফাঁসি হচ্ছে ?
ভারতের চাওয়াটাই কি জামায়াতের বিচারের আসল কারণ ? বাংলাদেশের মানুষদের কাছে গোলাম আযম , নিজামী , মুজাহিদ আগে থেকেই ডাকসাইটে রাজাকার ছিল না ? যারা এদের দ্বারা তাদের আপনজনদের হারিয়েছে তাদের কি বিচার চাওয়া অধিকার কখনই ছিল না ?
মূলত জামায়াতকে বিচারে আনা কঠিন হয়ে গিয়েছিল সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কারণে আর পাকিস্তানের বন্ধু আমেরিকার কারণে ।
চীনকে ঠেকাতে ভারতকে স্ট্র্যাটেজিক্যাল পার্টনার বানানো পাকিস্তানের 'বৈশ্বিক আব্বা হুজুর' আমেরিকার কাছে ভারত এতদ অন্চলে যে সাপোর্ট আমেরিকা থেকে চায় সেটাই পায় । যেটা ভারতের সুবিধা সেটা অবিসংবাদিতভাবে পাকিস্তান তথা জামায়াতের জন্য অসুবিধার ।
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে শত্রু হয়ে যায় বন্ধু আর বন্ধু হয়ে যায় শত্রু ।
আর বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতের উপর ভিতরে ভিতরে অনেক ক্ষ্যাপ্পা । তার বহিঃপ্রকাশ হতে পারছিল না অনূকুল রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিল না বিধায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন