বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বদরুলদের ভিডিও করার বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা। ==========================================

লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:৫১:২০ সকাল



খাদিজাকে যখন কোপানো হচ্ছে তখন বদরুলকে ভিডিও করা হচ্ছিলো।আর এটা নিয়ে মানুষের যত ক্ষোভ ঠিক বদরুলের পরিচয় নিয়েও একদল মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।তারা কারা সে কথা আলোচনার বিষয় না কিন্তু তাদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ মানে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খাদিজাকে নৃশংস ভাবে কোপানোর সাথে ছাত্রলীগের পরিচয় কে তুলে ধরা হচ্ছে এবং এই পরিচয় তুলে ধরা অবান্তর কারণ সন্ত্রাসীর পরিচয় সন্ত্রাসী,সে কোন গোষ্ঠী বিশেষের না- এটাই তাদের মুল বিষয়।

আমিও আপনার সাথে একমত তবে -

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে যে কোন জায়গায় ন্যূনতম যে কোন দুর্ঘটনায় এমনকি রানা প্লাজার বিল্ডিং ধ্বসেও ক্ষমতাসীন লোকজন প্রমানাদি তো দূরের কথা সংশ্লিষ্টতার কোন ছায়াও না দেখেই এক বাক্যে সেই ঘটনার দায় শিবিরের উপর চাপিয়ে দিয়েছে,দেয় এবং দিচ্ছে।আশ্চর্য হলেও এ কথা চূড়ান্ত সত্য আজ পর্যন্ত কথিত চরম ভয়ঙ্কর শিবির দের অপকর্মের একটা ভিডিও তো অনেক দুরে থাক একটা স্টিল পিকচার ও জাতির সামনে উপস্থাপন না করতে পারলেও দোষের ষোল আনাই শিবিরের উপর চাপিয়ে পত্রিকার হেডলাইন,টেলিভিশনের টক শো সর্বত্র শিবিরকে দোষী করার ক্ষেত্রে (প্রমাণ ছাড়াই) কই কখনো তো শুনী না যে সে একজন সন্ত্রাসী,তার দলীয় পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ না বরং সেই লোকদের মুখপাত্র শাহরিয়ার কবির আন্দাজে অভিযোগ করে বলেছে এসব জঙ্গি সংগঠন এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাস স্বাভাবিক মেনে নেয়ার মত ঘটনা!

বিশ্বজিৎ কে কোপানো,রামুতে মন্দিরে হামলা,ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোপাকুপি,২০০৬ সালের লগী বৈঠার অমানবিক তাণ্ডব সহ যে ভিডিও গুলো করা হয়েছে তা কি কোন প্রশ্ন বা কোন ইঙ্গিত কোন কিছুই বহন করে না?

আজ বদরুলের ভিডিও এর পড়েও হাসান মাহমুদ দের মত ব্যাক্তি বলছে ও ছাত্রলীগ না ও শিবির,রামুতে ঘটনার পর বলেছিল এই ঘটনায় যদিও আওয়ামীলীগের লোকজন দেখা গেছে তবুও এর দায় জামাত শিবিরের কারণ মাস্টার প্ল্যান নাকি জামাত করেছিলো এমন সব প্রমাণ থাকার পরও যে ব্যাক্তি বা দল ঢালাওভাবে জামাত শিবিরের নিন্দা আর ধ্বংস করার কথা বলতে পারে

প্রথমত তাদের জন্যই যে কোন ঘটনার ভিডিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরী।

দ্বিতীয়ত যে কোন ঘটনায় জামাতের বা শিবিরের নাম যদি উল্লেখ করা যায় প্রমাণ ছাড়াই সেক্ষেত্রে প্রমাণ সহ সন্ত্রাসীদের নাম এবং জন্মদাতা ছাত্রলীগ বললে যাদের গায়ে ফোসকা পড়ে তারা শয়তান এবং জাতির দুশমন কারণ তারা মিথ্যাবাদী আর সন্ত্রাসের লালনকারী।

তৃতীয়ত একটা জিনিষ লক্ষণীয় যে,বাংলাদেশে যে কোন ঘটনা ঘটলেই জনগণ একত্রে ছুটে গিয়ে ঘটনা থামাতে চেষ্টা করে কিন্তু এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের যে কোন ঘটনায় মানুষ দূর থেকে ভিডিও করার কারণ কি?কেন সামনে যায় না?

কারণ ছাত্রলীগ এতোটাই ভয়ঙ্কর যে হিংস্র প্রাণীও মনে হয় এতোটা ভয়ঙ্কর না যে কারণে মানুষ তাদের সামনে পড়তেও মারাত্মক ভয় পায় এবং ঘটনার অন্তত ভিডিও করে রাখে যাতে জাতীকে দেখাতে পারে এর বাইরে ছাত্রলীগের মত হিংস্র দের সামনে যাওয়ার হিম্মতটুকুও মানুষের নাই।

চতুর্থত,ভিডিও করেও যেখানে চিহ্নিত ছাত্রলীগকে বড় বড় নেতারা সন্ত্রাসী না বলে তার পরিচয়কে বরং শিবির বানিয়ে দেয় তখন শিবির বা মানবতাবাদীরা ছাত্রলীগের কেউ সন্ত্রাস করলে তাকে কেন শুধু সন্ত্রাসী বলবে,কেন ছাত্রলীগের পরিচয়টাকে বড় করে দেখাবে না?

পঞ্চমত,ছাত্রলীগের এত এত অন্যায়ের হাজার হাজার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যারা তাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে বা দেয় অথচ শিবিরের বিরুদ্ধে সকল কথিত বানোয়াট অভিযোগ সত্ত্বেও যারা শিবিরকে জঙ্গি বলে এবং নিষিদ্ধ করার মরণপণ চেষ্টা করছে তারা কতটা ভয়ঙ্কর তা জাতির বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন রেখে দিলাম!

ষষ্ঠ,এ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে কোন অপকর্মের যে কোন ভিডিও প্রকাশ পেলে সেখানে ছাত্রলীগের অপকর্ম আর গুণ্ডামি মাস্তানি খারাপ কাজই পাওয়া গেছে অথচ শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সমস্ত আয়োজন কিন্তু শেষ।বিবেকবান দের জন্য এটা কি কোন ম্যাসেজ না?

এতদসত্তেও যে লোকজন ছাত্রলীগের পক্ষে সাফাই গায় বা শিবির নিষিদ্ধের দাবী জানায় বা ছাত্রলীগের ভিডিও সামনে আনলে বলে এটা দলের নয় ব্যাক্তির বিষয় তখন সাফাই গায়কদেরকে কি ভাবে দেখবো?চূড়ান্ত বিবেকহীন চোখ থাকতেও কানা শয়তান?

যে প্রডাকশন দুর্গন্ধ আর ভীতিকর ছাড়া কিছুই দিতে পারে না তার পরিচয় আর ব্যাক্তির পরিচয় আলাদা করার আহবান জানানোর কারণ কি?লাইসেস্ন বাঁচানো?

অন্তত ভিডিও টাও জাতিকে সতর্ক করতে ভূমিকা পালন করে এবং সমাজে হিংস্র প্রাণীদের চিনতে সহায়তা করে তাই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বোবা প্রতিবাদ ভিডিও ও একটা মোক্ষম অস্ত্র এবং কোন কিছু না পারলে অন্তত এটা করাকেও বাহবা দেয়াই আমি আমার দায়িত্ব মনে করি।

বিষয়: বিবিধ

১০৪১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378435
০৮ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
হতভাগা লিখেছেন : এখন ছাত্রলীগ তাকে তাদের সংগঠনের লোক বলতে চাইছে না , কারণ তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নাকি জবে ঢুকলেই ছাত্রলীগত্ব অটোমেটিক বাতিল হয়ে যায় ।

আজ যদি বিএনপি জামায়াত তাকে কোপাতো তাহলে ছাত্রলীগ কি বসে থাকতো ?
০৯ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ০৫:১৮
313566
তরবারী লিখেছেন : একদম ঠিক
378454
০৮ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ০৫:৩১
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার লেখা,

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File