খাদিজা,ভিডিও ও বাস্তবতা।
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৫ অক্টোবর, ২০১৬, ০২:১৮:১২ দুপুর
যারা আজকে খাদিজার কোপানোর সময়ের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও করার সমালোচনা করছেন তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই,আপনি হলে সেখানে কি করতেন?
আর বোন বলে ডাকছেন?
তনুকেও তো ডেকেছিলেন,কোথায় সেই বোনের প্রতি আপনার দায়িত্বশীলতা?
ঢং?
ফেইসবুকে সহজ ইস্যু নিয়ে কঠিন মায়াকান্না দেখিয়ে বোঝাতে চাইছেন আপনি খুব বিশাল !
দেশ,সমাজ,আশেপাশে নানা ঘটনা যখন একের পড় এক ঘটে যাচ্ছে তখন আপনি শুধু মুখে কুলুপ এঁটেই বসে থাকেন না বরং ক্ষেত্র বিশেষ কৌশলের কথা বলে এড়িয়ে গিয়ে আপনি বুক ফুলিয়ে বলেন আমি ভাই রাজনীতির মধ্যে নাই,ঝামেলার মধ্যে নাই,পেটের ধান্দা করি।
এসব বলেন কেন জানেন?
কারণ জালিমের সামনে ওইসব বললে পিঠের চামড়া থাকবে না,কিন্তু এইখানে বা তনুর ইস্যুতে বা রাজনের ইস্যুতে কথা বললে চাপ কম ভাব বেশী দেখানো যাবে আর তাই এখানে আপনার গলার জোরের কারণে কয়েকদিন ফেইসবুকে আসাই যেন দায় হয়ে যায়।
এইবার অন্য একটা বিষয় বলি --- বাংলাদেশের মুসলিমদের এক বিশাল অংশ তাবলীগের খুব ভক্ত।কারণ সুবিধাবাদ ধর্মের চমৎকার এক আয়না হল তাবলীগ।দুনিয়া এস্ফার অস্ফার হয়ে যায় আর তারা নাকি জিকির দিয়ে সব উলটিয়ে ফেলবে এবং তারাও অন্যায় দেখে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের সব চিন্তা বাদ দিয়ে মাথা নিচু করে এস্তেগফার পড়তে থাকে ---
আর এটা হল সেইরকম তাবলীগী ঘটনা --- কোপায় আর সবাই মাথা নিচু রেখে ভিডিও করে,তাতে হায় হায় মাতম করা যাবে পিঠ ও বাঁচানো যাবে আর এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে সারাজীবন রূপবান এর মত গল্প করা যাবে।
তো সব ঘটনায় যদি এরকম প্রশিক্ষণ হয় তবে প্রতিবাদের ভাষা ভিডিও এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তার জন্য এত চিল্লাফাল্লা করে কোন লাভ নাই।
যারা চিল্লাফাল্লা করছেন তারা এমন না যে বাংলা সিনেমার নায়ক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।লেজ গুটিয়ে এক কাজই করতেন,এখন ধুর থেকে ভাব মারেন?
এর পড় ট্যাকনিক্যাল কথায় আসি,
নিরাপত্তাহীনতার দেশ বাংলাদেশ,অন্যায় করেও একমাত্র সরকারী দলের কেউ ছাড়া আর হিন্দু ছাড়া কেউ নিরাপত্তা পাবে তো দূরের কথা,সরকারের পক্ষ থেকে সমবেদনাও যেখানে পাওয়া যাবে না এমনকি সাধারণ পাবলিককেও সাথে পাওয়া যাবে না সেখানে কার হিম্মত হবে প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ার?কিছু একটা হলে সেও তো শেষ আর শেষ না হলে পরেরদিন দেখবে তার নামেই মামলা হয়ে গেছে আর তখন সেই জনগণই বলবে এরকম করার কি দরকার ছিল !
ক্রিকেট খেলায় আজ থেকে ১০ বছর আগে যে ছেলেটি তার অগ্রজদের আউট দেখে বলতো এভাবে কেন খেলল ওভাবে কেন মারলো না,সেই ছেলেটিই আজ ঠিক একই রকম আউট হয়ে অজুহাত দাড় করায় আর বলে এত সহজ নাকি !
জী ভাইজান এত সহজ না,মাঠে নিজে একটা কিছু করে বলেন যে আমি এই সাহসী কাজ করেছি আপনারাও করেন,দর্শক সারিতে বসে বহুত বড় পালোয়ান হওয়া যায়।বাস্তবে জিরো পাওয়ার জন্যও যোগ্যতা লাগে।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক্ষেত্রে পলাশীর যুদ্ধের সময় নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন ইংরেজ বাহিনী ধরে নিয়ে যায় সে সময়ের ঘটনা স্মর্তব্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন