নারী অধিকার,কেমন অধিকার!
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:২২:৪০ রাত
উপরের পানি নীচে গড়িয়ে পড়ে,সবসময়ই-- নীচের পানি কখনো উপরে যায় না।উপরের পানি-ই নীচে গড়ায়।তারমানে উপরের পানি তার সত্ত্বা আর স্বাতন্ত্র্যবোধ নিয়ে থাকে,নীচের পানি উপরের পানির উপর নির্ভরশীল।
যাই হউক এটা তো একটা বিষয় আছেই।
ইন্টারমিডিয়েট এ থাকতে(ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ) তখনকার গণিত শিক্ষক ধার্মিক ব্যাক্তি ছিলেন।আর স্মার্ট কলেজ বলে বাকী স্যার রা বিশেষ করে ম্যডাম রা বেশ স্মার্ট ছিলেন।
মিলাদ অনুষ্ঠানে স্যার বক্তৃতার মাঝে একটি উদাহরণ টানলেন,পৃথিবীর নিয়ম এমন ধ্রুব যে চাইলেই তা পরিবর্তন করা যায় না।যেমন একটি মুরগী যত চেষ্টা করুক না কেন সে একটা একটা মোরগের সমান হতে পাড়বে না,শৌর্যবীর্যে শক্তিমত্তায়,সৌন্দর্যে,আকারে,নেতৃত্বের গুণাবলিতে একটা মোরগ এর ধারে কাছেও একটা মুরগী যেতে পারে না।
এর সাথে আমার একটা কথা যোগ করি,যে ১০০ মুরগীর নেতৃত্ব কিন্তু একটা মোরগ দেয়,কিন্তু মোরগের দলের নেতৃত্ব কিন্তু মুরগী দেয় না।মুরগীর কাজ ডিম দেয়া,মোরগের অবস্থান মোরগের জায়গায়।
এটা প্রাকৃতিক নিয়ম,চাইলেই কি তার পরিবর্তন হয়ে যাবে?
এবার আসি একটা কথায়,
ছেলেরা মেয়েদের কোন পোশাক পড়লে তাকে হাফ লেডিস,হিজড়া বা মেয়েলি স্বভাবের বলে অভিহিত করা হয় এবং সাধারণত ছেলেরা মেয়েদের কিছু পড়ে না কিন্তু মেয়েরা দিব্যি ছেলেদের টাই,কোট,জুতা,আগড় বাগড় সব ব্যাবহার করে যায় এবং এগুলা পড়ে অহংকার দেখায়।পাশ্চাত্যেও মেয়েরা ছেলেদের অধীনতাকেই উপভোগ করে।
এসব ই কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়ম,উপর থেকে গড়ায়,নীচ থেকে উপরে গড়ায় না।এতে লজ্জা বা ছোট হওয়ার কিছু নেই।
কিন্তু নারী অধিকারের নামে বাংলাদেশে যে কিচির মিচির গুলো করা হয় তাতে কি আসলেই নারীদের মুক্তি মিলছে?
বরং এমন পরিবেশ সৃষ্টিই সবচেয়ে মুখ্য বিষয় ছিল যেখানে যে যার যার অধিকার আর অবস্থান নিয়ে সুন্দরভাবে থাকতে পারে।
যারা অধিকার আর স্মার্টের দোহাই দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে তারা কি নিজদের রক্ষা করতে পারছে নাকি আরও ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে আছে?
বিষয়: বিবিধ
৯৭৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সরকারী চাকরিতে তাদের জন্য কোটা আছে , বাসে আলাদা সিট আছে , প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা হতে গেলে এস.এস.সি. পাশ লাগে .....
এগুলো কি অধিকার ?
একই পোস্টে চাকরি করা কাউকে দূরে/দূর্গম জায়গায় পাঠানোর দরকার পড়লো কোম্পানী স্বার্থে - কাকে পাঠানো হয় , নারী কর্মীটিকে ?
অফিসে কাজের চাপ , সন্ধ্যা ৬ টার পরও থাকতে হবে । বসের কাছে কে এক্সকিউজ পায় , পুরুষ সহকর্মীটি ?
এমন কথা শোনা যায় - আমরা নারী , সবই পারি । নারীরা পুরুষদের সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
টিকিটের লম্বা লাইনে কি নারীরা নিয়ম মাফিক দাড়িয়ে অপেক্ষা করে , নাকি নারী হিসেবে আগে যাওয়ার চান্স নেয় ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন