কি আজব !
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২১ আগস্ট, ২০১৬, ০৬:১৯:২৯ সন্ধ্যা
নিঞ্জা,চলো নামাজ টা পড়ে নেই,নামাজের সময় হয়ে গেছে।
এই যে একটা কথা বল্লা?শোন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।এটা পালন যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
মধু শোন নামাজ না পড়লে কি হবে আমার ঈমান শক্ত আছে।আর আমার ইচ্ছা যখন হবে বা হয় তখন আমি পড়ি।তুমি টেনশন নিয়ো না।
কি বল নিঞ্জা?বাড়াবাড়ি কি করলাম?নামাজের সময় হয়েছে তাই বললাম চল।ওই যে দেখো ওই আপুও নামাজের সময় হয়েছে,মসজিদে ঢুকছে।
এই যে মধু আবার মাথাটা নষ্ট করে দিলে?এই যে মহিলাটা বোরকা না কি হিজাব পরেছে এটা কেন?এটা তো নারীর স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে।এখনো কি সেই মধ্য যুগ আছে?
এটাও তোমার প্রশ্ন?বোরখা আবার তোমাকে কি করলো?
এটা যার যার অভিরুচি।তাকে তো জোর করে পড়িয়ে দেয়া হয় নাই,বিধান,সে মেনে নিয়েছে,নিঞ্জা।
মধু এটা ঠিক বললে না,সে কেন এটা পড়বে,সে কেন নিজেকে শৃঙ্খলে বন্দী করবে?আমরা আধুনিক হয়ে তো কাউকে এই বন্দী দশায় থাকতে দিতে পারি না।
এটাকে বন্দিদশা বলছ কেন?কেউ যদি সংক্ষিপ্ত পোশাক পড়তে পারে তবে সে কেন এটা পড়তে পারবে না?-সে স্বাধীনভাবেই তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে?তাই নয় কি?
শোন তোমাদের এই এক সমস্যা।কোন পজিটিভ জিনিষ বুঝতে চাও না।আমিও তো মুসলিম।মধ্য যুগের সিস্টেম কি আধুনিক কালে চলে বল মধু?
এতে নেগেটিভের তো আমি কিছু পাচ্ছি না নিঞ্জা।বরং সে তাকে ঢেকে রাখছে।
কেন ঢেকে রাখবে সে?সে মানুষ?নারী পুরুষ কাঁধে কাঁধে চলবো।সবাই সবার বন্ধু হবে।কথায় কথায় আরও কিছু কথা এসে গেছে।এই যেমন ধরো চুরি করলে হাত কেটে দেয়া,ধর্ষণ করলে পাথর নিক্ষেপ,হত্যা করলে ফাঁসী দেয়া এসব কি?
এসব তো চূড়ান্ত অমানবিক,তাই না,মধু?
এসব নিয়েও তোমার আপত্তি?আচ্ছা,নারী আইন নিয়ে তোমার কি মতামত,নিঞ্জা?
দেখো,নারী পুরুষ সমান।তাই তাদের সবকিছু সমান সমান হবে,এটাই তো হওয়া উচিত।আগের যে ধর্মীয় আইন,সেটা আসলে কিছুটা অমানবিক।
ও আচ্ছা বুঝলাম।আচ্ছা নিঞ্জা,গট বছর তুমি রোজা কয়টা করেছিলে?
আসলে মধু,আমি একটু অসুস্থ,রোজা রাখতে পারি না।তবে রোজার মধ্যে আমি কখনোই খারাপ কিছু করি না।সবার সামনে খাই না।
হুম,ঈদ কেমন কাটলো পরে তোমার?
ওহ,অসাধারণ,একটা পাঞ্জাবী কিনেছিলাম ১৫ হাজার টাকা দিয়ে।আরও অনেক কিছু ছিল।ঈদের দিন অনেক ঘুরাঘুরি।বান্ধবীদের বাসায় গিয়েছি,ছাড়তেই চায় না।রাতে ওর বাসায় থাকতে বলেছিল।কিন্তু কেমন দেখায় না?তাই আর থাকি নাই,বুঝলে।
বাহ,বেশ তো।আচ্ছা আরেকটা কথা জিজ্ঞাসা করি,মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে তোমার মতামত কি?
তুমি কি আমাকে ইন্টারভিউ নিচ্ছ মধু?
না না নিঞ্জা,তোমার কথা শুনে ইন্টারেস্টিং মনে হল,তাই কৌতূহল হচ্ছে কিছু জানতে।তুমি এটাকে অন্যভাবে নিয়ো না।
ও আচ্ছা,তাহলে ঠিক আছে,শোন মাদ্রাসা শিক্ষার কি প্রয়োজন এই যুগে?বিজ্ঞানের যুগ,আধুনিক যুগ,ক্যারিয়ারের যুগ।আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাভাবনা করা উচিত।আমিও তো মুসলমান,আবার বাবা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে,ছোটবেলা থেকে কখনোই দেখি নাই ইসলামের বাইরে আমরা কিছু করেছি।আমিও তো ইসলাম জানি।কিন্তু আমার ক্যারিয়ার তো গড়ছি।সেখানে মাদ্রাসা শিখে কি হবে বল?ইসলাম তো এমনি শিখা যায়,যায় না বল?
ও আচ্ছা,সে তো অনেক কঠিন চিন্তা,আচ্ছা নিঞ্জা,তাহলে ইসলামের কোন দিক টা আসলে তোমার ভালো লাগে?
ইসলাম হল শান্তির ধর্ম,আমি নিজেও মুসলমান।এতে খারাপ ভালোর আর কি আছে?
আমি আসলে তোমাকে নিয়েই কনফিউজড।কোনটাই তোমার ভালো লাগে না,মানতে চাও না,আবার বড় গলায় নিজেকে ডিফেন্ড করো।ইসলামের কিছুই মানো না,ভালো লাগে না,আবার নিজেকে মুসলিম ইমানদার মনে করো,আজব না?
এই জন্যই মধু,লোকে তোমাদের উগ্রবাদী বলে।তোমারা নিজেরা যা ভাবো সেটাকেই ভাবো সব,তোমরা আধুনিকতাকে মানতে চাও না।আসলেই তোমরা মূর্খ মধু,তোমার সাথে কথা বলা অর্থহীন।
তাই নাকি,নিঞ্জা?কি আর করার,ভালো থাকো,নামাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে,আমি গেলাম।
বিষয়: রাজনীতি
৯৭৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি তরবারি হইয়া ও তারে কিছুই করলেন না?
না জানলে শুনুন,
তরবারীর কাজ হলো নাস্তিকের.................
কেটে দেয়া।
বুঝলেন?
হু!
কাফেররা তা পালন না করায় রাসূল বিমর্ষ হয়ে গেলে আল্লাহ বলেন যে - আল্লাহ তার রাসূলকে শুধু মাত্র তাদেরকে ভয় দেখানো ও আশার বানি শোনানোর জন্য প্রেরন করেছেন । তাদের উপর দারোগা নিযুক্ত করেন নি । কারও ঈমান আনা না আনা আল্লাহর দয়ার উপর নির্ভর করে । নবীজীর চাচা আবু তালেবের কথা এখানে স্নর্তব্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন