জঙ্গি টু হোয়াট ?
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ০২:৪৫:৫০ দুপুর
জঙ্গি শব্দটি বাস্তবিক অর্থে যতটা না তাত্ত্বিক তারচেয়ে বেশী রাজনৈতিক।মুসলিম ক্ষমতালোভী শাসক গোষ্ঠীর এই শব্দটিকে লুফে নেয়ার অনেকগুলো তাৎপর্যপূর্ণ কারণ আছে।
প্রথমত আধিপত্যবাদিদের আধিপত্যবাদ কে স্থায়িত্ব দিতে একদল অনুগত লোক দরকার যাদের উপর ক্ষমতার প্রতিফলন ঘটিয়ে নিজদের ক্ষমতাবান প্রমাণ করা যায় আবার তা করতে গিয়ে সরাসরি বিষবাষ্প ঢেলে দেয়াও অসম্ভব।তখন ক্ষমতাশীলদের মধ্যে আদর্শিক অলিখিত মৌন চুক্তি হয়।
যার মাধ্যমেই দেশের শাসক নিজ দেশের জনগণকে দমিয়ে রাখতে জঙ্গি শব্দটার প্রয়োগ করে।আর আধিপত্যবাদিরা তো এটারই রূপরেখা দিয়ে দেয়।
কিন্তু এর ফলে যে এক গোষ্ঠী খতিগ্রস্থ হয় তা কিন্তু নয় বরং এই শব্দটা কিন্তু একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে যায়।
কেমন করে?
ভেবে দেখুন,জঙ্গিদের কাজ কি?উদ্যেশ্যবিহিন ভায়োলেন্স সৃষ্টি করা।ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে দেশের আভ্যন্তিরন পরিস্থিতিকে নষ্ট করে সরকারের স্থায়িত্বের কন্টিনিউয়াস প্রসেস কে বেগবান করে আবার বিদেশি শক্তিকে আমন্ত্রণ জানায় নির্বিগ্নে সাহায্যের ছুতোয় দেশে প্রবেশ করতে।
এক ঢিলে দুই পাখি মেরে ফেললে কিন্তু একটা বিষয় ছিল কিন্তু এর মাধ্যমে পরবর্তীতে যে কোন রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন কে ভায়োলেন্স আখ্যা দিয়ে তার কার্যক্রম এবং তার সাথে জড়িত কুশীলবদেরকেও জঙ্গি আখ্যা দিয়েই মূলত একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
যা বাংলাদেশে সহ ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশগুলোতে করা হয়েছে।
প্রথমত ছোটখাটো দেশীয় জঙ্গির উত্থাপনের মাধ্যমে আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কানেকশন এবং তার সাথে দেশের বিরোধী দল গুলোর যে কোন রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও ভায়োলেন্স আখ্যা দিয়ে সবকিছুকে জঙ্গি বানিয়ে ফেলেছে।
এতে করে কেউ রাস্তায় নামতে চাইলেও জঙ্গি ট্যাগ নিয়ে বিচার ছাড়াই সরাসরি গুলি খেয়ে মরতে চায় না বা মরলেও কোন উদ্দেশ্য সাধিত হবে না এটাই যেখানে চূড়ান্ত সেখানে আন্দোলন নামের চাকায় জং ধরে গেছে।
আর আপনি আমি না চাইলেও প্রকারন্তরে একনায়ক শাসক ই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
আর একেই বলে সুই হয়ে ঢোকা আর ফাল হয়ে বের হওয়া।
বিষয়: রাজনীতি
৭৪৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন