মানুষ জাগবে কবে?
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০২ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:৩৯:৪৮ সন্ধ্যা
ছোটবেলার আলিফ লায়লার কথা মনে করি আর হাসি।হাফপ্যান্ট পড়া সিন্দাবাদ আর স্বল্প বসনার(শুধু মাত্র বক্ষবন্ধনী আর কোমর বন্ধনী পরিহিতা) তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে সে জাদু ভেঙ্গে আল্লাহর দিন কে কায়েম করতে দেশ থেকে দেশে ঘুরত।আর তার মধ্য দিয়ে বক্ষযুগল বেশ দৃশ্যমান ছিল।ইসলাম কায়েমের কি নমুনা!
আমার মনে হয় তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই আজকালকার ইসলামিক কথিত জঙ্গিগুলো কথিত ইসলামীস্ট।
প্যরিস থেকে গুলশান,সেই সাথে তাদের গুরু আইএসআইএস সবাই জীবনে নামাজ ঠিক মত পড়ে নাই,কেমনে পড়তে হয় সেটাও জানে না তারাই মদের বোতল হাতে,দুই বগলের নীচে দুইটা দুইটা সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড নিয়ে নারায়ে তাকবীর দিয়ে নাকি বিশাল ইসলাম কায়েম করতে যায়।
সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর গতকালকের ভাষণ শুনে আরও হাসি পাচ্ছে,এরা নাকি হুরদের পাবার জন্য দৌড়ের উপর আছে।
আমরা মুসলমানরা কতটা বলদ!
আমাদেরকে বুঝিয়ে যাচ্ছে আর আমরা বুঝতেছি তাই।আবার আমরাই এই টার্ম গুলো নিয়ে ব্যাপক সোচ্চার হয়ে নিজেরা নিজেরাই জঙ্গি খুঁজি,পাই,টকশো করি।
মাননীয়ে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের বলতে চাই,আপনাদের মত ক্ষমতাশীল মানুষেরাই রাষ্ট্রযন্ত্র কে কাজে লাগে দিনের পর দিন,বছরের পর বছর,দশকের পর দশক,শতাব্দীর পর শতাব্দী একটি টার্ম কে ভিন্নখাতে মানে মুসলমানদের দিকে ঠেলে দিয়ে ইসলামকে কলঙ্কিত করেছেন।অথচ ইসলামের কোথাও সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই।
প্রতিরোধের স্থান আছে কিন্তু যেখানেই মানুষ সন্ত্রাসী কাজ করছে সেখানেই ইসলামকে টেনে আনছেন আপনারা,বলদ বানাচ্ছেন আমাদের আর ক্ষমতাকে আপনাদের জন্য চিরস্থায়ী করে নিচ্ছেন।
২০০১ সাল থেকে এইসব কথিত জঙ্গিপনা শুরু হয়েছিলো এবং আজ পর্যন্ত এই জঙ্গিপনা থেকে মুসলিমরা কিভাবে উপক্রিত হয়েছে,শুধু ধ্বংস ছাড়া?
তবুও আমরা বুঝি না,আর সেই সুযোগ গুলো আপনাদের মত ক্ষমতাশীল লোকগুলো ব্যাবহার করে আমাদের বিরুদ্ধেই আমাদের থেকে দিচ্ছেন।আমাদের রক্ত দিয়েই আমাদের ধ্বংস করছেন।
ওহে মানুষ কবে জাগবে ?
বিষয়: রাজনীতি
৯০৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ সিনবাদ কি কোন ওলি আউলিয়া ছিলেন ?
আপনি কি ঐ জিনিসটা দেখতেই তাড়াতাড়ি পড়াশুনা শেষ করে টিভির সামনে বসতেন?
তারাও যেমন অলি আওলিয়া ছিল না কিন্তু তাদের নামে ইসলাম আল্লাহ্ বলা হত,তেমনি জঙ্গিরাও ইসলামিক কিছু না,তাদের নামেও ইসলামিক অনেক কিছু দেখানো হয়। তাই এই প্রকাশ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন