বিবেক কবে জাগ্রত হবে !
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৮ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৫২:১৪ দুপুর
ধর্ম বা ধর্মীয় শিক্ষা জঙ্গিবাদ এর জন্য দায়ী বা জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় বা উৎসাহিত করে এমন কথা যারা বলে তারা মুসলমান নয়।যারা এধরনের কথা প্রচার করে তাদের উচিত নিজেদেরকে অমুসলিম ঘোষনা দিয়ে তারপর এই ব্যাপারে কথা বলা।
জঙ্গিবাদ শব্দের অপপ্রয়োগ ই তিল কে তাল করে আজকের এই ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
লাদেন থেকে শুরু করে শায়খ আব্দুর রহমান পর্যন্ত প্রত্যেক কথিত জঙ্গী ইসলামবিরোধী শক্তির সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক থেকে সৃষ্টি এবং তাদের সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পর্কিত।
নিজের ঘর থেকে বিষ ছুড়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অন্য ঘরকে ধ্বংস করা এসব জঙ্গি সৃষ্টির কারণ।এবং তার সাথে একটা ব্র্যান্ড তৈরি করে সেই ব্র্যান্ড এর নামে জনপদের পর জনপদ,দেশের পর দেশ তথা মুসলিম দেশ ও তার ভিতরকার প্র্যাকটিসিং মুসলমানদের ধ্বংস করার অজুহাত তৈরি করা হয় নানা সময়ে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত দের ঠেকাতে এবং আফগান,পাকিস্তান ও আমেরিকার সমন্বয় তৈরি করতে ওসামা বিন লাদেন ছিল মুল সমন্বয়কারী এবং অস্ত্র ও ট্রেনিং দিয়ে তাকে সবচেয়ে সহায়তা করে লাদেন।আজকের তার এই পরিচিতি তুলে আনে আমেরিকা নিজের হাত ধরে এবং এক সময় স্বার্থবিরোধী হয়ে গেলে তাকে সহ পুরো আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা হয়।পালিয়ে যাওয়া ল্যাংড়া খোঁড়া লাদেনের নামে ইরাক,আফগানিস্তান এবং কায়দা করে পাকিস্তান কে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
তেমনিভাবে শায়খ আব্দুর রহমান আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা মির্জা আজমের ভগ্নিপতি ছিল।সে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তার নাম দিয়ে আজ পর্যন্ত ইসলামিক দলগুলোর উপর নির্যাতন হচ্ছে এবং মসজিদ মাদ্রাসা কে সেন্সরড করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে আইএসআইএস এর সৃষ্টিকর্তা ইসরাইল আমেরিকা এবং এদের নাম ধরে সারা দুনিয়ায় মুসলিম দেশগুলোকে একের পর এক আক্রমণে নিঃশেষ করে দেয়া হচ্ছে।
অত্যান্ত আশ্চর্যের বিষয় হল এইসকল জঙ্গি গোষ্ঠী গুলো অত্যান্ত ভয়ঙ্কর হওয়া সত্ত্বেও এরা কোন দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় নাই বা যেতে পারে না বা সেই ক্ষমতাও তাদের নাই।তারা সবসময় পলাতক অদৃশ্যমান কিন্তু অত্যান্ত কথিত ভয়ঙ্কর এবং তাদের নামে সংঘটিত নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে দেশে দেশে লাখ লাখ লোক হত্যা করা হয়,একতরফা যুদ্ধ করা হয় কিন্তু দুই একজন মাথা কে দমন করার কোন চেষ্টাই কারো পক্ষ থেকে করা হয় না।এসব আসলে কি প্রমাণ করে?
পৃথিবীব্যাপী মুসলিমরা নির্যাতিত অথচ চূড়ান্ত অপবাদে আক্রান্ত।যে কোন কথিত হামলায় সারা বিশ্বব্যাপী দুই চারজন মরলেও এক ইরাকে আক্রমণ করে আমেরিকা ২ লাখের অধিক সাধারণ লোককে হত্যা করেছে।২/৪ জনের মৃত্যু যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম হয় তবে লাখ লাখ লোক হত্যাকাণ্ডে কেন বিবেক জাগ্রত হয় না?
অমুসলিমের চেয়েও বড় আধুনিক অথচ নামে মুসলিম লোকজনই এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন আক্রমণের পর স্পষ্ট হয়ে গেলেও এদের নামে ইসলামী জঙ্গি শব্দের প্রয়োগই প্রমাণ করে ইসলাম কে কোণঠাসা করে রাখা এবং ইসলামকে ধ্বংস করাই এসব শব্দ প্রয়োগ ও অপবাদের মুল লক্ষ্য।
সর্বশেষ বাংলাদেশের ঘটনায় কথিত জঙ্গিদের সবাই অতি আধুনিক এবং ক্ষেত্রবিশেষ অনইসলামিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত লোকজনের নামে "নাড়ায়ে তাকবীর" শ্লোগান শব্দটি ব্যাবহার করে বিনাকারনেই কোটি কোটি সত্যিকারের মুসলিমকে অপমান করেছে অত্যান্ত সুনিবিড়ভাবে।
এর পর ও কি মানুষের বিবেক জাগ্রত হবে না?
বিষয়: রাজনীতি
৯৩৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অন্যদিকে কেউ যদি আমাকে আঘাত করতে এগিয়ে আসে তাহলে সে ব্যাপারে বলা আছে যে তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিরোধ করবে এবং হত্যা করার জন্য প্রয়োজন হলে , যেটা সাধারণত যুদ্ধের ব্যাপারেই বলা হয়েছে ।
যুদ্ধে তো একপক্ষ আরেক পক্ষকে কতল করবেই এবং এটা নিজ নিজ দলে প্রশংসার দাবীদার ।
নিরীহ নিরস্ত্র মানুষদের বিনা কারণে হত্যা করে পশ্চিমারা । আক্রান্ত না হলে মুসলমানেরা কখনও এরকম হীন কাজে পা বাড়ায় না , এটা শরিয়তের খেলাপ ।
আর আইএস হত্যা করছে তো শুধু মুসলমানদের । এতে কিভাবে তারা ইসলামকে কায়েম করবে ?
এতে মুসলমানদের ক্ষতি হচ্ছে আর লাভ হচ্ছে পশ্চিমাদের ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন