কিছু প্রশ্ন?
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৫ জুলাই, ২০১৬, ০৪:৪৫:০১ বিকাল
বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যের পুলিশ আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুইটাই একরকম।কাহিনীর শেষ দিকে এসে "কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না" দিয়ে লাশ সংগ্রহের কাজ করে।
যাই হউক এটা অবশ্য তাদের দোষ না,কারণ পরিচালক এমনটাই করতে বলে।এরকম বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও দেশের পরিচালক সেনাবাহিনী কে এমনভাবেই স্ক্রিপ্ট বাই স্ক্রিপ্ট যেতে বলে।এই যেমন বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডের সময় বিডিয়ার প্রধান শাকিল বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালে সেনাবাহিনী কে পরিচালক যেতে দিলো না।স্ক্রিপ্টে তো লিখা নাই সেনাবাহিনী যাবে,স্ক্রিপ্টের লিখা সবাই মরবে,তো স্ক্রিপ্ট ওভারটেক করাটা চরম বেয়াদবি হবে এইভাবে ইতিহাস হল সে গল্প,কালকেও একই কাহিনী।
জিম্মি হল দেশ,পুলিশ এসে রাস্তায় মার্চপাস্ট করলো,সবাইকে মরতে দিলো,মারতে দিলো।যখন সবাই ক্লান্ত হয়ে ঘুমালো তখন সেনাবাহিনী সফল অভিযান এর নেতৃত্ব দিলো।সেনাবাহিনীর জন্য বাজেট আরেকটু বাড়ানো যায় না?
হামলা কেন বা কোন প্রেক্ষাপটে তার কোন নিশানাই এখনো দেখলাম না,কারো কোন উত্তর নেই।তোতাপাখির মত কিছু বুলি যে যার স্বভাবমত আওরিয়ে যাচ্ছে।একাত্তর টিভি নারায়ে তাকবীর নিয়ে হাজির, কবির সাহেব জামাত আর বিবিসি,সিএনএন সেই সাথে সকল খবরের মা ভারতীয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো আইএসআইএস নিয়ে হাজির।সব যদি পরের বাড়ির যদু মদু দিয়ে চালিয়ে দেয়া যায় তাহলে আর দোষী খোঁজার কোন দরকার আছে?
আমার ঘরে গতকাল রাতে চুরি হয়েছে,আজ সকালে আমি জানতে পারলাম প্রতিবেশীর মাধ্যমে।আমার শরীরের জামা খুলে নিয়ে গেছে পর্যন্ত আর সেটাও সকালে প্রতিবেশীর কাছে জানলাম।অসম্ভব তীক্ষ্ণ আমার প্রতিবেশী।বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডের সময় ও বাংলাদেশ জানার ৪/৫ ঘণ্টা আগেই তারা জেনে গিয়েছিল এবং কনফার্ম করেছিল এডভান্স সংবাদ,মৃত্যু আর বাকী সব।গতকালও ভারত ঘরের ভিতরের খবরও সরবরাহ করেছে।এমন অসম্ভব ভালো প্রতিবেশী থাকলে শত্রু দূর থেকে কাউকে আনতে হয় না।
কথিত কমান্ডো অভিযান যদি ১৩ মিনিট স্থায়ী হয় তবে তার শুরু কেন হত্যাকাণ্ডের পর হয়েছিল?আর শেষদিকে কমান্ডো অভিযানে শুধু জঙ্গিই মারা গেলো?একজন ও সাধারণ মানুষ মারা গেলো না?কিভাবে সম্ভব?কারণ জঙ্গিরা অন্তত নিজেদের বাঁচাতে অন্যদেরকে তো ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করার কথা!তাই না?
জঙ্গিরা কোন শর্ত দিলো না,কোন কথা বলল না,কোন ঢাল ব্যাবহার করলো না বাচার জন্য,শুধু মরার জন্য আসলো।তাহলে তাদেরকে কি সুস্থ বলা যায়?কারণ শুধু মরার আর মারার জন্য তারাই যায় যারা সাইকো।
জঙ্গি ঘটনায় ভারতীয় দূতাবাস বেশ ব্যাস্ত ছিল,সেখানে বিনা চেকিংয়ে কয়েকটি গাড়ির প্রবেশ ও বহির্গমন ঘটেছে।সেগুলোর সদুত্তর কোথায়?
জঙ্গিদের পরিচয় এর ব্যাপারে প্রথম অবস্থায় কোন তথ্যই জনগণকে জানানো হয় নি,যাদের ব্যাপারে এসব বলা হচ্ছে তারা তো সে রেস্টুরেন্ট এর কাস্টমার ও হতে পারে।তবে কি পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এদেরকে করা হয়েছে বলির পাঠা।মরণোত্তর বলির পাঠা হয়ে অন্যের দোষগুলোকে তাদের সাথে সাথে কবরে পাঠিয়ে দেয়া হল?
রেস্টুরেন্ট সহ এত ভিআইপি এলাকার সিসি ক্যামেরা গুলোর ফুটেজ কোথায়?সেগুলো থেকেই তো একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।কেন সবকিছু নিয়ে ছলচাতুরী করে হাইড এন্ড সিক গেইম খেলা হচ্ছে?
হাসান মাহমুদ সাহেব আর শাহরিয়ার কবির তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছে জামাত এবং বিএনপির কাজ।এমন তথ্য পাওয়ার পর কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বিস্তারিত তথ্যের জন্য?
যে ছেলেগুলোর ছবি দেয়া হয়েছে সেটি যদি সত্যি হয় তবে তারা কোন মাদ্রাসা থেকে পড়ুয়া না এবং তাদের চেহারা বা পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে মুটামুটি স্পষ্ট যে তারা ইসলামের সাথে সবসময় দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে,এমন ছেলে গুলোকে ইসলামিক বলে সরকার যে ইসলামকেই ধ্বংস করতে চাচ্ছে তা বুঝতে বাঙ্গালীর আর কতদিন প্রয়োজন?
"ডিম পাড়ে হাঁসে,খায় বাঘডাশে"
বিষয়: রাজনীতি
১০৩৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই এখনো গ্রেপ্তার করছে না।
তবে শাহবাগিরা এখন আর জামাতি জামাতি জিকির করছে না।
তারা বুঝে পেলেছে তাদের সঙ্গী সাথি ব্লগারদের কে কারা জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশদের দক্ষতা দেখা যায় বিশেষ অভিযানের সময় নিরীহ মানুষকে গ্রেফতারের মধ্যে । সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সামনে পড়লে তাদের একসাথে ছোট+বড় বের হয়ে যায় ।
- সরকার চাইছে না সরকারের আব্বা হুজুর চাইছে ওয়াশিংটন থেকে?
- বাংগালী কোন দিন কিছুই বোঝে না, বুঝতেও চায় না - তাদের জন্ম জীবন ও মৃত্যু সবই আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোন রব এর জন্য।
এক্সেপশান বাদে।
ধন্যবাদ!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন