জঙ্গি হামলা আর ড্রামা
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৩ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৫৯:১৭ দুপুর
নরঘাতক ক্রসফয়ার স্পেশালিস্ট ওসি সালাহউদ্দিন ও ডিবি এসি রবিউলের নির্মম মৃত্যু কাম্য নয়।গোপালগঞ্জের ওসি সালাহউদ্দিন সন্ত্রাসীর চেয়েও বড় ত্রাস ছিল সাধারণ জনগণের জন্য।তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত বিচারবিহীন এ ধরনের মৃত্যু চাই না সেই সাথে এহেন কর্মকাণ্ডের চরম নিন্দা জানাই।
কথিত বন্দুকযুদ্ধের মত ছেলেখেলা সব কিছু নয়,এমনটা পুলিশের বোঝা উচিত।বন্দুকযুদ্ধ এক পক্ষীয় সাজানো,তাই পুলিশ কখনোই আহত হয় না,কিন্তু এটা সন্ত্রাসী কাজ,এটা বোঝা উচিত ছিল।
এদের মৃত্যু যতটা না বিচলিত করেছে তারচেয়ে ভয়ঙ্কর হল নতুন প্রেক্ষাপট সৃষ্টির স্পেইস নিয়ে।২ জনের মৃত্যুর মাধ্যমে সাধারণ আরও হাজার হাজার মানুষের উপর যে অত্যাচারের ষ্টীমরোলার চলবে তা হবে আরও লোহমর্ষক এবং সেটাই সবচেয়ে উদ্বেগ ও কষ্টের বিষয়।
বহির্বিশ্ব বিশেষ করে ভারত আর আমেরিকা ইতিমধ্যে জায়গা চাচ্ছে যা আধিপত্যবাদিদের চিরায়ত সিস্টেম এবং যদি তা সত্যি প্রস্তাব আকারে চলে আসে তবে কোল দিয়ে দেয়া সরকার সেটাও দিতে বাধ্য থাকবে যা আরেকটি ইরাক অথবা আফগানিস্তান তৈরি করবে এবং সেই কুরুক্ষেত্রের জ্বালানী কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণই হব।
একাত্তর টিভি নারায়ে তাকবীর আবিষ্কার করে ফেলেছে,ভারত ইন এডভান্স খবর দিয়েছে অনেক দূর থেকে,আমারিকাকে আইএসআইএস ইতিমধ্যে কনফার্ম করেছে তাদের কাজের অগ্রগতি।সব যদি তাদের হাতেই থাকে তবে পিছনের কুশীলব কারা?
উদ্ধাকৃত কেউ কেউ বলেছে জিম্মিকারিদের হিন্দি এবং ইংলিশ বলতে শোনা গেছে,যদি তাই হয় তবে একাত্তর টিভির প্রত্যক্ষদর্শী কারা?
জঙ্গিদের উদ্যেশ্য কি ছিল?নাকি স্ক্রিপ্ট রেডি হয় নি এখনো?সবাই কোন ম্যাসেজ বা আস্কিং ছাড়া আসলো,খেললো আর মারা গেলো-এটা খুব বেশী সাদামাটা নাটক নয়তো নাকি দক্ষতা অদক্ষতার প্রথম সাময়িক এসিড টেস্ট এর মাধ্যমে বার্ষিক পরীক্ষার আগমনী বার্তা?
উদ্ধার অভিযানে সরকারী ভূমিকা বা পুলিশের শারীরিক বা কর্মকাণ্ডের ভাষা কোনটাই সিরিয়াস ছিল বলে পরিলক্ষিত হয় নি এমনকি এ ধরনের উদ্ধার কার্জে যে ড্রেসআপ বা ব্যাকআপ দরকার সে ধরনের কোন প্রস্তুতিও দেখা যায় নি,এটা কি ইচ্ছাকৃত নাকি কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে যাওয়া?
দুঃখজনক ঘটনায় চরম ঘৃণা আসলেও প্রধামন্ত্রির বক্তৃতার একটি অংশকে কোট না করলেই নয় "নামাজ পরে এমন ভাবে জিঘাংসা মূলক হত্যাকাণ্ড করতে পারে?যা দেখে গা শিউরে উঠে"
প্রথমত নামাজ পরে এ খবর আপনাকে কে দিয়েছে?দ্বিতীয়ত আপনিও তো ফরজ নামাজ শুধু না তাহাজ্জুদও পড়েন,তারপরেও ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টবার লগি বৈঠার মাধ্যমে যে চরম অবমাননামূলক হত্যাকাণ্ড করেছিলেন সেটা কিভাবে পেরেছিলেন এবং আজ পর্যন্ত সে জন্য কি নুন্যতম কোন ক্ষমা প্রার্থনা পর্যন্ত করেছেন?
তবুও জাতীয় সঙ্কটে বিভেদ নয় দেশকে ভালোবেসে এক হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই কিন্তু শঙ্কার বিষয় হল ক্ষমতাশীলরা যদি টেবিলের নিচ দিয়ে পর্দার আড়ালে দেশের কর্তিত্বভার অন্যের হাতে সমর্পণ করে দিয়ে থাকে তবে ঐক্যবদ্ধতার আহবান বা প্রত্যাশা চটকদার কথা বই আর কিছু নয়।
বিষয়: রাজনীতি
৯০২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অবাক লাগে বাংলাদেশের ঘটনা বাংলাদেশের মিডিয়া জানার আগে জানছে ভারত , আমেরিকা , বৃটেন ও কাতারের টিভি !
নাসিম - কামাল শিবিরকে দায়ি করছে । বাংলাদেশের মানুষ নাসিমদের এই বড়ি ভালই খাবে । বিদেশিদের কি ঠ্যাকা পড়েছে এই বড়ি খাওয়ার ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন