বাইম মাছ ও বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৭ মে, ২০১৬, ০৪:৩৬:৫৩ রাত
বাইম মাছ খুব চালাক,জেলে পুকুরে বা বিলে নামার সাথে সাথেই সে কাঁদার নিচে লুকায়।তার উপর গা যে রকম পিছলা তাতে ভাবে যে আমি বুঝি বেচে গেলাম।কাঁদা মেখে সাপের ভাব ধরে কত রকম ছলচাতুরী।
লাভ কি?
বাইম মাছ কিন্তু বিলুপ্ত প্রজাতির হয়ে যাচ্ছে,বেশী পিছলামি করলে পিছলাইতে পিছলাইতে কপুকাত হয়ে যেতে হয় সম্ভবত।
২০০৭ সালে গোয়ার্তমি,২০০৯ সালে গা বাঁচানোর চিন্তা থেকে দায়সারা নির্বাচন এবং এর পড় থেকে স্বপ্নের জগতে ভাসতে থাকা বিএনপি আর বাইম মাছের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না।
গতানুগতিক রাজনীতির মুখস্ত ভাষা,বাদাম খাওয়ার প্রতিযোগিতা,অন্যের কাঁধের উপর ভর দিয়ে ক্ষমতার মসনদের গন্ধ নেয়া,এই দূতাবাস থেকে ওই দূতাবাসে দৌড়ানো,নিন্দা আর তীব্র নিন্দার ঝড় তোলা,ঈদের পরের প্রস্তুতি নেয়া আর ৫ বছরের নিয়মিত ক্ষমতার পালাবদলের স্বপ্ন দেখে বিএনপি মূলত বাইম মাছের মত পিছলিয়ে গেছে।শরীক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মৃত্যুর জন্য দোয়া করেছে,এমনকি সরকারি দলের কাছে শরীক দলের লাশের বিনিময়ে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে আঁতাত ও করেছে যাতে নিজেদের দুর্গ বেচে উঠে,থাকে সবাই দুধে ভাতে।
পৃথিবীর ইতিহাসে বেইমানদের কোন জায়গা নেই,দুর্ভাগ্যের বিষয় বেইমানরা এই কথা টা কখনোই বিপদে পতিত হওয়ার আগে উপলব্ধি করতে পারে না।সাদ্দাম,গাদ্দাফি,পারভেজ মশারফ,ইয়াসির আরাফাত,হোসনি মোবারক কেউ পারেনি, বিএনপিও পারেনি।
নানা সময় আঁতাতের অভিযোগটা বিএনপি হরহামেশাই করে,কিন্তু অত্যান্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বর্তমান ভারমুক্ত পূর্ণ মহাসচিব নিজেই গর্ব ভরে স্বীকার করেন যে তারা অত্যান্ত সচেতনভাবে কয়েকজন এম্বাসেডর এর সমন্বয়ে আঁতাত করেছেন।আঁতাতের প্রতিশ্রুতি যখন রক্ষা করা হয়নি তখন বাচ্চাদের মত কাঁদতে কাঁদতে অবশেষে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসলো।
একে একে ফাঁসী হওয়ার জন্য ফাঁসীর ঘোষণার আগেই আঁতাত আবিষ্কার যাদের অভ্যাস ছিল তাদের মুল উদ্যেশ্য ছিল মুক্তিকামী মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার পরিবর্তনের হাওয়া নিজদের করে নেয়ার।
৭ বছরে অন্যের লাশের পাশে নিজেদের যখন পাওয়া যাচ্ছিল না তখন সবাই ভেবেছিল বিএনপি হয়তো ঘুমিয়ে আছে কিন্তু ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার নিমিত্তে আন্দোলন প্রমাণ করেছে যে তারা ঘুমায়নি,তারা বেইমান হিসেবে রক্তের খেলা উদযাপন করেছে।
সর্বশেষ দুইজন সফল মন্ত্রী এবং প্রধান শরীক দলের দুইজনের মৃত্যুতেও চুপ থেকে নিজেদেরকে কাঁদার আড়ালে রেখে নিজেদেরকে ২০১৯ এর জন্য প্রস্তুত করছিলো।
কিন্তু র এর সাথে ভালভাবে তাল মিলাতে না পেরে মোসাদের পাল্লায় পড়ে গেছে।"ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না " - এইরকম করে ফখ রুল সাহেব বেশী লম্ফজম্ফ শুরু করলেন।ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেন।রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খেয়ে হয়তো আগামী দিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, তবে করাত রেডি করতে আওয়ামীলীগ আপনাদের মত স্বপ্ন দেখবে না এটা আশা করি বুঝতে পেরেছেন?
সাদা গরু কে বলি দিলেন,ল্যংরা গুলারেও মেরে দিলেন এইবার একলা মরণে কেউ তো সান্ত্বনা ও দিতে আসবে না।
অনেক রাষ্ট্রদূতের পা ও ধরেছেন,মোদী সেবাও করতে চেয়েছিলেন,তোষামোদের জন্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মত নেতাকেও দিয়ে দিলেন,ইলিয়াস আলির মত নেতাকেও বলি দিলেন কোন উচ্চবাচ্য ছাড়া এমন বেইমান আপনারা কিভাবে হউন ?
বাংলাদেশ এর জন্য সাতসাগরের মাঝির দেখা কোথায় পাই?
বিষয়: রাজনীতি
১১২৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেটার রেশ বিএনপি ভালই টানতেছে ।আর জামায়াত ?
বেঈমানদের যেটা চিরপ্রাপ্য : যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে তারা তত্ত্বাবধায়কের ফর্মূলা দিয়েছিল , সেই আওয়ামী লীগই সেটার ফলে ব্রুট মেজরিটিকে কাজে লাগিয়ে সেই ব্যবস্থাকে বাতিল করে নিজেরা ক্ষমতায় থাকা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে । আর জামায়াতকে কচু কাটা করছে ।
জামায়াতের জন্য এর চেয়ে ভাল পরিনতি আর কি হতে পারতো
মন্তব্য করতে লগইন করুন