দিবস এবং উন্মাদনা

লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২৬ মার্চ, ২০১৬, ০৭:৫১:৪৮ সন্ধ্যা

প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবস পালন করা মানেই বিশাল কিছু করা না বরং এগুলুর সুফল বাস্তবায়নই হল এসব দিবস পালনের আসল কাজ।

ঘটা করে বছরের পড় বছর এসব দিবস পালন করা হয়।কি জন্য ?

এইসব আকামের দিবসের জন্যই দেশের এই বেহাল অবস্থা !

এই দিবস গুলো আইন করে নিষিদ্ধ করা দরকার,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আইন করা দরকার।দিবসের আলোচনার মাধ্যমে আন্তঃবিদ্বেষ তৈরি করা হয়।

সব তেল মারা দিবস,কাম কাজ ফালাইয়া অলস বকবক কোম্পানি বানানোর দিবস।

এইসব দিবসের এমন একটা কাজ বা সাফল্য আপনি দেখান যা বিগত ৪৫ বছরে দেশের কোন উপকার বয়ে এনেছে?

হাজার দিবসের দেশ বাংলাদেশ,

দিবস দিয়া নাস্তা করি,

দিবস দিয়া লাঞ্চ,

দিবস দিয়া ডিনার করি,

আছে দিবসের বাঞ্চ।

আমার কথার কেউ ভিন্ন মিনিং খুঁজলে নিজ দায়িত্বে তা হজম করুন।আর বিবেকের দরজাটা খুলে একটু ভাবনার জগত কে উন্মোচিত করুন।

কথার প্রেক্ষিতে আরেকটি কথা না বললেই নয়,ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয় ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর,কি জন্য?তারা আপানদের কোন জায়গায় বাঁশ দিয়েছে?

বাংলাদেশের হুজুরেরা মাদ্রাসা ছাড়া আর কিছু বুঝে?হাটহাজারি মাদ্রাসার আল্লামা শফি সাহেব বোধ হয় চিকিৎসা ছাড়া ঢাকায় কখনো আসে নাই,সেই লোক কে ঢাকায় আনলো কে?

নাস্তিক দের বাড়াবাড়িই তো তাদের ঢাকায় এনেছে।তারপর ভোদাই (দুঃখিত,এই বাজে শব্দটি ব্যাবহারের জন্য লেখার প্রেক্ষিতে বলতে বাধ্য হলাম) কেমন দেখেন এসেছে কি নিয়ে ? তসবিহ আর মেসওয়াক নিয়ে --- এটা কিছু হইলো ?

অন্যদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লগি বৈঠা নিয়ে আস্তে বলেছিলেন,শুধু আনেনই নাই,তা দিয়ে যে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন সেখানে অন্যদেরকে অপবাদ দেয়ার আগে নিজেদের মুখ আয়নায় দেখতে পারেন না একবারও ?

যে দেশে ৯০ ভাগ মুসলমান সে দেশে ইসলামী আইনের উপর খড়গ নেমে আসে,সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ তুলে দেয়া হয়,নারী আইন করা হয় ইসলামকে টেক্কা দিয়ে,মসজিদে বুটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করা হয়,পরদানশিল মহিলাদের কে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়,নবীকে গালি দেয়ার পর তাদেরকে শহীদ ঘোষণা করা হয়,হজ্ব কে গালি দেয়ার পর তাকে সসম্মানে পালিয়ে যেতে দেয়া হয়,হিজাব কে নিষিদ্ধ করা হয় এবং সর্বশেষ সংবিধান থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার সব আয়োজন চূড়ান্ত করা হয় তখন যারা এর প্র্যক্টিস করে এবং যারা এই বিষয়গুলোকে ভালোবাসে তারা এর প্রতিবাদ করবেই এবং তারা তাদের অবস্থান কে ক্লিয়ার করবেই।

যদি তাদের চাওয়া গুলোর প্রতি মমতা না দেখানো হয় তবে আপনাদের কাছে প্রশ্ন এই উন্মাদনা কারা সৃষ্টি করছে আপনারা নাকি হুজুরেরা?

আপনাদেরকে কে বলেছে প্রতিবার ইসলামের উপর আঘাত করতে,আপনারা আঘাত করেবন আর তার প্রতিবাদ হয় উন্মাদনা সৃষ্টি?

আপনারা এতো এতো কিউট যে দাদা কে আদা পড়া বুঝিয়ে নিজেরাই উন্মাদনা সৃষ্টি করেন আর তার দায় ও ফেলেন ভুক্তভোগীর ঘাড়ে।

অসাম,সত্যি অসাম।

বিষয়: বিবিধ

৯৩৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363716
২৬ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:৪৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : কতযে দিবস তার কোন শেষ নেই দিবস আর দিবস হাজার দিবসের দেশ এই আমাদের বাংলাদেশ। দিবস দিয়া নাস্তা করি,দিবস দিয়া লাঞ্চ করি,দিবস দিয়া ডিনার করি, আরো কতযে কিছু করছি দিবসের খোঁজে। আছে দিবস থাকবে দিবস যতদিন খাকবে এই বাংলাদেশ। ধন্যবাদ আপনাকে
২৭ মার্চ ২০১৬ রাত ০৪:১৩
301558
তরবারী লিখেছেন : আর এই জন্যই বাংলাদেশ হাহাকার করতেই থাকবে -------
363726
২৬ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:৫৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
২৭ মার্চ ২০১৬ রাত ০৪:১৩
301559
তরবারী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার ঢু এর জন্য
363751
২৭ মার্চ ২০১৬ রাত ০২:০১
শেখের পোলা লিখেছেন : অসাম সত্যি অসাম৷
২৭ মার্চ ২০১৬ রাত ০৪:১৩
301560
তরবারী লিখেছেন : কথাগুলো ছড়িয়ে দিলে হয়তো আরও কিছু উপকার হবে ---

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File