রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম !
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০৮:৫৯ দুপুর
বাংলাদেশ জন্মসূত্রে জন্মগ্রহণকারী মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ,মনে রাখতে হবে ইসলামী দেশ না।এখানে মুসলিমদের সেস্ন মিশ্র,পৌত্তলিকতার সাথে মিশ্রণে এখানকার ইসলাম পরিবর্তিত,আহত এবং ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত।
এক সময়ে ইসলামের অনুশাসন সকল মানুষের মধ্যে প্রচণ্ডভাবে পালিত না হলেও ইসলামের ব্যাপারে সফট কর্নার সকলের মধ্যে ছিল এবং বিভিন্ন পারিবারিক,সামাজিক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদিতে ইসলামের ভাবধারাকে যথেষ্ট সম্মান করা হত এবং ক্ষেত্রবিশেষ বেশ ঘটা করে পালনও হত।তবে সব কিছু যে পূর্ণ ইসলামিক ধারায় হত তা তেমন না হলেও বেসিক একটা ধারাকে সম্মান করেই হত।এই যেমন শবে বরাত,ঈদে মিলাদুন্নবি,শবে কদর,ঈদ ইত্যাদি।কালের পরিক্রমায় এসব অনুষ্ঠান চলে আসা কিছু ক্রিস্টি কালচারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আস্তে আস্তে জৌলুসহীন হয়ে গেছে বা যাচ্ছে সেই সাথে এসব অনুষ্ঠানের পূর্ব প্রস্তুতি বা অনুষ্ঠানের আবেদন অনেক কমে গেছে যেখানে নববর্ষ পালন,বর্ষবরণ,ভালোবাসা দিবস,জন্ম-মৃত্যু দিবস ইত্যাদি এতোটাই গুরুত্ব এবং আবেদন নিয়ে করা হয় যে তা মাত্রা অতিক্রম করে একটি বিশেষ অবশ্য পালনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসমস্ত সংস্কৃতির ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে,এবং একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই আকাশ সংস্কৃতি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে মুসলমানিত্বের মিশ্র চেতনাটুকুর যতটুকু বিদ্যমান ছিল তা পঙ্গু হয়ে গেছে।এ সময়ে পীর,বাবা,মাজার তাবলীগ জামাত এর ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটলেও ইসলামের মৌলিক চেতনা মুমুর্ষ অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে আছে।
রাজনীতি একমুখী হয়ে গেছে,মিডিয়া বান্ধব রাজনীতির কল্যাণে ছবির প্রতিবম্বের বদলে জারিকৃত স্ক্রিপ্ট এর মাধ্যমে অন্ধকারের গুণকীর্তন করা হয় এখন।উপস্থাপক থেকে শুরু করে দর্শক পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় ইসলামকে হেয় করে এন্টি ইস্লামিস্ট গ্রুপ কাজ করছে।সরকারের সমস্ত খারাপ কাজকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে সুনিপনভাবে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দমনের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম করেছে,মুখ বন্ধের নামে গুম হত্যাকে বৈধ করে নিয়েছে।
প্রতিবাদের ভাষাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে আর মিডিয়া সেই বিষয়টিকে সবসময় আড়ালে রেখে মানুষের মনে দাড়ি টুপিকে ব্যাঙ্গ করে কু ধারনা দেয়ার কাজকে প্রতিদিন ফরজ কাজ বানিয়ে গিয়েছে,যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
রাজাকারময় ৭ টি বছরের ক্ষমতা আড়াল করে দিয়েছে হাজার কুকর্ম,নারী আইনের সংস্কার,নাস্তিকদের উগ্রতা,ইসলাম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র।দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা ইসলামের ধ্বংসের জন্য তাদের প্ল্যান মাফিক কাজ এগিয়ে নিলেও জনগণের সেন্তিমেন্ত কে কাজে লাগাতে মদিনা সনদে দেশ চালানোর মত চটকদার কথা,কাউকে কাউকে পীর আওলিয়া বানিয়ে দিয়ে পজিটিভ প্রমাণ করা,তাহাজ্জুদের গল্প শুনিয়ে মহীয়সী বানানো হয়েছে জনগণকে সম্পূর্ণ বোকা বানানোর নিমিত্তে।
আর সব মিলিয়ে ২৭শে মার্চ কে ধার্য করেছে রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলাম কে বাদ দেয়ার দিন হিসেবে।
একটি মুসলিম প্রধান দেশের সংবিধান এর লেখক যখন ডক্টর কামাল না হয়ে হওয়ার কথা ছিল স্বয়ং আল্লাহ্ এবং সেই সংবিধানের নাম হওয়ার কথা ছিল কোরআন সেখানে ব্যাক্তির কপি পেস্ট মস্তিষ্কের বানানো সংবিধানে ইসলামকে ল্যংড়ার মত শুধু ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।সেই কাজটি আসলে মন থেকে করা হয়েছিল নাকি সেন্টিমেন্ট কে কাজে লাগানোর জন্য করা হয়েছিল তা নিশ্চিত না হলেও ২৮ বছর আগে যেহেতু মামলা হয়েছিল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার সেহেতু অনেক আগে থেকেই রাষ্ট্র যন্ত্র এই বিষয়টিকে মেনে নিলেও কৌশলগত কারণে তারা এর বাস্তবায়ন করেনি এবং এখন এককভাবে যখন জনগণের উপর পূর্ণ আশঙ্কাহিন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন ল্যংরা অংশটুকুর কবর রচনার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রশ্ন হল দেশ যদি মদিনা সনদেই চলে তবে রাষ্ট্রধর্ম থেকে ইসলাম কিভাবে বিলুপ্ত হয় যখন তাহাজ্জুদ আর ফজর হয়,হয়ই !প্রতিনিয়ত ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে ইসলামকে রাজাকার বানিয়ে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।বাস্তবায়ন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম না থাকলে হেন হয়ে যাবে,থাকলেই বাংলাদেশ এ ইসলাম সম্মানিত থাকবে এমন যদিও না তবুও যেহেতু যক্ষের ধন এর মত এই অংশটুকু সংবিধানে ছিল তাই এখন তাকে বাদ দেয়া ইসলাম কে অপমান করা এবং বাদ দেয়া ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী অবশ্যই ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়া।আর এই মুহূর্তে এই বাদ দেয়া অস্তিত্বের প্রশ্নের, তাই এর প্রতিবাদ আবশ্যক শুধু প্রতিবাদই নয় রাজসিংহাসন কে যদি গুড়িয়েও দিতে হয় তবে এই মুহূর্তে তাই করা উচিত।
বিষয়: বিবিধ
৯৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন