কত লক্ষ যে ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:০৪:১৮ সকাল
৩০ লক্ষ বা ৩ লক্ষ কোনটাই নিয়ে আপত্তির হয়তো কোন কারণ ছিল না।কারণ সংখ্যাটাকে প্রতীকী ভেবে ইতিহাসের চলে যাওয়া অংশ মনে করেই বসে থাকতাম।তবে সত্য মিথ্যার যখন আয়না সামনে এসে দাড়ায় বা ইতিহাস বিকৃতি অবিকৃতির যখন প্রসঙ্গ এসে দাড়ায় তখন ৩০ লক্ষের গাজাখরি গল্পের মুখে লাথি দিয়ে ৩ লক্ষের হিসাব ও চাইতে হয় প্রমাণ কষে।
ইমশোন ক্রয়ের যে রাজনীতি বাংলাদেশে হয় সেখানে ৩০ লক্ষ ৩ লক্ষের চেয়ে অনেক শক্তিশালী যখন তার দায় গুটিকয়েক মানুষের উপর চাপিয়ে তাদেরকে মিছেমিছি ফাঁসীর জীবন্ত নাটক হচ্ছে।৬৪ জেলার অন্তত ৩৪ জেলায় হারিকেন দিয়ে খুঁজেও যেখানে ৩৪০ জন বীরাঙ্গনা বা শহীদ খুঁজে পাওয়া যাবে না সেখানে "৩০ লক্ষ" শয়তানের কারসাজি আর গায়ে মানে না আপনি মোড়ল টাইপের ইতিহাস শুধু ইতিহাস বিকৃতিই না বরং সত্য নিয়ে,স্বাধীনতা নিয়ে সত্যিকারের ত্যাগীদের নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশা ছাড়া আর কিছু না।
একজন চ্যলেঞ্জ ছুড়েছে সে গ্রোথ দিয়ে অনেক কিছু বের করেছে অথচ এই স্বাধীন বাংলাদেশে ঠিক মত আদমশুমারি হয় নাই কোনদিন।যেখানে উপমহাদেশে আদমশুমারি একটা আদর্শমানের গাঁজাখুরি গল্প যা অফিসে বসে প্রিন্ট করা মনের মাধুরিতে বসানো কালপরিক্রমার সংখ্যার উপর হয়ে আসছে সেখানে তখন আর এখন হিসেব কত চাড়া দিয়ে হিসেব হবে ?
তামাশার রাজনীতিতে দেশপ্রেম নামক শব্দটিকে ঢাল করে মুক্তিযুদ্ধ বেচার যে আবেগীয় ইজারার রাজনীতি বাংলাদেশে হয় তার ফলাফল লুটেরারা না বুঝলেও অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ কিন্তু বুঝতে শুরু করেছে।অবশ্য সহজ সরল অশিক্ষিত সাধারণ লোকজন কাটি করা না বুঝে প্রতিশ্রুতিকে অনেক কিছু ভাবে।যার ফলে মমতা ইলিশ পায় আর তারা বালিশ ও পায় না।
দেশদ্রোহী কবির,মুনির,শুভ্র দেব,গওহর,কায়সার প্রমুখ লোকজন যখন ইতিহাসের নায়ক বনে যায় সেই দেশে মিথ্যাই সত্যের মাপকাঠি এবং চূড়ান্ত সত্য এটাই স্বাভাবিক।
বিষয়: বিবিধ
৯৮০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন