সুরঞ্জিতের দুর্বার গতি আর আমাদের অবস্থা।
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:২৯:৫৫ সকাল
মদিনা সনদে দেশ চলছে,মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে দেশ।ইসলামের পুনরজাগরন হয়েছে শেখ মুজিবের মাধ্যমে (নাউজুবিল্লাহ)।সেই ধারাবাহিকতায় ইসলামের সবচেয়ে সুমিষ্ট সময় হাসিনার শাসনামল।যার রাত কাটে তাহাজ্জুদ পড়ে ,দিন শুরু হয় কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে।দিন কাটে মানব সেবায়।যিনি ইসলামের সেবায় এতটাই ব্রতী হওয়ে গেছেন হয়ে গেছেন অলি আওলিয়া।
নাহ কোনটাই আমার মনগড়া বানানো না,সব সরকার দলের সরকারী উচ্চপদস্থ লোকজন কর্তিক প্রচার প্রচারণা।আমি উদৃত করলাম কারণ এর সুফল গুলোকে আমি দেখতে পাচ্ছি বলে।
১৪৪ ধারা জারী আছে কোরআনের মাহফিলে,
সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ
ধর্ম যার যার উৎসব সবার
বুটের আঘাতে মসজিদ লণ্ডভণ্ড
হজ্ব ও দাওয়াতে তাবলীগ ধিকৃত সমালোচিত
ধার্মিকদের দেশ ত্যাগের আহবান
আর তার সাথে আরও নানা কর্মকাণ্ড এবং কথাবার্তার ধারাবাহিকতায় সুরঞ্জিতের সর্বশেষ উদাত্ত আহবান মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করতে হবে।প্রেসক্রিপশনটি তিনি দিয়েছেন এই জন্য যে এটা নাকি সন্ত্রাসের মদদদাতা(নাউজুবিল্লাহ)।
বলছি না সুরঞ্জিতকে ফাঁসি দেন বা গ্রেফতার করেন বা সুরঞ্জিতকে বাদ দেন।কারণ এই দাবী যদি আমাকেই করতে হয় বা উপরের সব সমস্যার সমাধান যদি দাবী আকারেই পেশ করতে হয় তবে কিসের মদিনা সনদ আর কিসের অলি আওলিয়া?
কিসের তাহাজ্জুদ আর কিসের কোরআন পাঠ?
যে তাহাজ্জুদ একটি মানুষকে শয়তানের অনুসরণ থেকেই বিরত রাখতে পারে না সেই নামাজ তাহাজ্জুদের না সেই নামাজ এক মুনাফিক শয়তানের মিথ্যা প্রচার আর লোক দেখানো ভণ্ডামি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।ইসলামের শব্দ গুলো ব্যবহার করে সরল মানুষদের সরলতার সাথে ধোঁকা দিয়ে নব্য ফেরাউন শেখ হাসিনা যে শয়তানের রাজত্ব কায়েম করেছে তাতে ইসলাম ছিল ঢাল আর সেই ঢাল কে এখন কার্যত ছুঁড়ে ফেলে আসল রূপটিই সুন্দরভাবে দেখানো শুরু করেছে।
করনীয় কি সে নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই,বিজ্ঞজনেরা এ বিষয়ে বেশ ভালো জানেন,শুধু একটা কথাই বলবো,শয়তানের কাছে শয়তানের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়াটা কার্যত শয়তানকে স্বীকার করে নেয়া নতুবা নতজানু হয়ে মেনে নেয়ার নামান্তরই।ধিক্কার,প্রতিবাদ বাণী আর গ্রেফতারের আহবান একদিকে যেমন কাপুরুষদের কাজ অন্যদিকে ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ কে অস্বীকার করারই নামান্তর।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সামনের দিন গুলোতে এই সুরন্জিতই আওয়ামী লীগের হারার কারণ হবে ।
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তাদের অপরাধের মধ্যে বাড়তে দেন , ফলে তাদের আর ফেরার কোন সুযোগ আসবে না ।
আল্লাহ যখন পাকড়াও করবেন তখন তা হবে খুবই কঠিন । শাস্তি যত দেরিতে আসে তা তত ভয়ংকর হয় ।
নিজের অবস্থানের
সীমানা মেপে মন্তব্য
করবেন।ব্যক্তি কেন্দ্রিক
কথা বলুন, =সুস্থতা বজায়
রাখুন।উগ্রপন্থার আবহ
সৃষ্টি করবেন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন