ভারতকে 'না' বলুন
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৯:৫৫ সকাল
আগামীকাল সকালে উঠে সরকার ঘোষণা দিক যে ভারতের সাথে আমরা সমস্ত সম্পর্কচ্ছেদ করলাম শুধু তাই না ভারতের কোন আধিপত্য আমরা মানি না মানবোও না।
কি ভারত আমাদের সাথে সাথেই আক্রমণ করবে?
নাহ আক্রমণ করবে না বরং এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতের ভিতরে যে কম্পন সৃষ্টি হবে তার থেকে হয়তো এই অঞ্চলে বাংলাদেশই হবে আরেক পরাশক্তি।
কিভাবে?
ভারতের ভৌগলিক অবস্থান থেকে বাংলাদেশ ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এর সাথে ভারতের সার্বভৌম নিরাপত্তায় বাংলাদেশের নতজানু অবস্থান ভারত কে যে স্থিতিশীলতা দেয় তা বাংলাদেশের বেঁকে বসার সাথে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভয়ঙ্কর নিরাপত্তার জড়িত।চীন এবং পাকিস্তান এই অঞ্চলে ভারতের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং প্রধান শত্রু।চীন কৌশলগত কারণে এই অঞ্চল নিয়ে মাথা ঘামাতে বেশী আসে না আর পাকিস্তান ও নিজেদের জাতকে চীনতে ব্যর্থ হয় বারবার।বাকী দেশ যেমন শ্রীলঙ্কা,মায়ানমার,ভুটান,নেপাল এই দেশগুলো ভারতের উদরেই বলা চলে এবং খানিকটা নিরীহ প্রকৃতির এবং এর মাঝে মিয়ানমার যেহেতু মুসলিম নিধনে পটু তাই চরিত্র গত দিক থেকে তারা ভারতের সমকক্ষ।তাই এদের মাঝে বাহ্যিক ভাব বেশী থাকলেও নেপাল ইতিমধ্যে ভারতকে ব্রিদ্ধাঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
এই শিক্ষা থেকে বাংলাদেশ যদি ভারতের মুখের উপর রেড কার্ড ধরে বলে দেয় যে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়ালাম তবে সেভেন সিস্টার সহ ভারতের অভ্যন্তরেই এক বিশাল বিদ্রোহ দেখা দেয়ার অমিত সম্ভাবনা আছে,সেই সাতেহ দীর্ঘদিনের সমস্যা কাশ্মীর আর পাকিস্তান অটোমেটিকলি ভারতের কেন্দ্রে মোক্ষম আঘাত আনবে।
শ্রীলঙ্কা ও হয়তো এই সুযোগে নিজেদেরকে আত্মনির্ভর করতে ভারতের প্রচ্ছন্ন দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে এই জোটের সাথে যুক্ত হবে।
চীন চাচ্ছে আগামী দিনের পাওয়ার নিতে,তা না হলেও অন্তত এশিয়াকে তারা দেখভাল করবে এই ভিশনে চীন অবশ্যই এই অঞ্চলের ওই মুহূর্ত টা কে হাতছাড়া করবে না।
ভারতের বন্ধু রাশিয়া,চীনের ও বন্ধু রাশিয়া।তবে যেহেতু এই অঞ্চলে তাদের যে কোন এক পক্ষের সমর্থনই যথেষ্ট তাই তারা যে কোন এক পক্ষকে বেছে নিলে আমেরিকা স্বভাবগতভাবেই অন্য পক্ষকে সমর্থন দিবে।এর মাধ্যমে হয়তো ভারত নামক কসাইখানার ছিন্নভিন্ন টুকরা চারদিকে ছড়িয়ে পরে এই অঞ্চলে সত্যিকারের স্বাধীনতা উপলব্ধি করার একটা মোক্ষম সুযোগ আসতে পারে।
তবে সব কিছুর জন্য বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে,নতজানু বর্তমান অবস্থান একদিন হয়তো বাংলাদেশকেই মানচিত্রের দেশে পরিণত করবে।
আগ্রাসী ভারত ইউক্যলিপ্তাস গাছের মত যেভাবে ঝেঁকে বসেছে তাতে দেখতে অনেক সুন্দর লাগলেও পারমানবিক বোমার চেয়েও ক্ষতিকারক বিষে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে আগামীর দক্ষিণ এশিয়াকে।কোন চিন্তা ছাড়াই রাখঢাক না রেখেই সময় এসেছে ভারতকে সম্পূর্ণ না বলার।
কাল কি সেই সূর্য উদিত হবে?
বিষয়: বিবিধ
১০৯৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ মনিকা কেসে ধরা খেয়েও ক্লিন্টন পরের বার জিতেছিল কারণ সে ইকোনমিকে চাঙ্গা করেছিল ।
০ ২য় বিশ্বযুদ্ধে জয়ী হয়েও চার্চিল পরের নির্বাচনে হেরেছিলেন কারণ ততদিনে দেশের ইকোনমি ধ্বসে গিয়েছিল।
স্বনির্ভরশীল ও আত্মসমৃদ্ধ বাংলাদেশই ভারতের আতংকের কারণ হবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন