মারমার কাটকাট রাজনীতি
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৫২:৫৭ দুপুর
আওয়ামীলীগের জন্য কোন ভালো এবং সোজা ভাষায় কিছু করা হলে তা তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে না।সন্ত্রাস নির্ভর একটি সমাজতান্ত্রিক প্রতারক দলের মুখোশ উন্মোচন করতে শুধু আদর্শই যথেষ্ট না,সেই সাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি করতে হবে।
জামাত এই জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে।তার মানে এই নয় যে সময় চলে গেছে।
জামাত এখনো শিশু এ কথা বলার দুঃসাহস রাখি না,তবে এখনো ক্ষমতার ময়দানে আদর্শের বিকল্প জামাতের কেউ না হলেও,রাজনীতির বিচারে জামাত এখনো আওয়ামীলীগের কাছে শিশু।
আসার কথা শুধুয়ে এটাই যে,আদর্শ আদর্শের মাঠে গ্রোথিত হলে তা কেউ উপড়ে ফেলতে পারে না,কিন্তু বাকি সব একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
ফাঁসির মঞ্চ থেকে কাউকে তুলে নিয়ে আসার ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া কারও নেই,কিন্তু সেই মঞ্চের অগ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করার উসিলা মানুষ হতেই পারে।
সত্যকে কবর দেয়া হলেও তা জীবন্ত,তাই মিথ্যাকে পরাজিত করে সত্যকে খোলস মুক্ত করতে চেষ্টার পথে থমকে যাওয়া নয়।
এই ফাঁসির মঞ্চে একদিন মিথ্যার বুকে শেষ পেরেক মারার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এখনি সময় ঝাঁপিয়ে পড়ার।
জামাত যদি আদর্শিক এবং জাতি গড়ার কারিগর হয় তবে তাদেরকে নির্ভরশীল রাজনীতি বাদ দিতে হবে,স্বতন্ত্র রাজনীতির পথকে উন্মোচন করতে হবে যেখানে নিজেরাই একটি রাষ্ট্র আর নিজেদের জনশক্তি একেকজন স্বতন্ত্র প্রশাসন।
নির্ভরশীল রাজনীতি বলতে এটা বুঝাই নাই যে একলা চলো নীতিতে চলতে হবে।এটা এই অর্থেই বলা যে,প্রতিটা জনশক্তিকে এ কথা বুঝতে হবে আজ ফাঁসির মঞ্চের বিপক্ষে যেসকল মানবিক প্রতিষ্ঠান crocodile tears এর প্রদর্শন করছে তারা জামাতের ধ্বংসে উচ্ছসিত-ই,কিন্তু যৌক্তিক কারণে প্রদর্শনের জন্য হলেও তাদেরকে অভিনয় করতে হয় যে,আমরা death penalty এর বিপক্ষে।
নির্ভরশীলতা তাদের উপরে নয়,নির্ভরশীলতা কোন ধরনের বাক্য ছাড়াই আল্লাহর উপর হতে হবে,তবে তাদেরকেও সবসময় সাথে রাখতে হবে,কারণ যুদ্ধের ময়দানে বুক মেলে দিয়ে শহীদ হবার নাম ইমান না,গাজী হওয়ার চেষ্টায় প্রাণপণ লড়ে আল্লাহর কবুলিয়াতের মাধ্যমে শাহাদাত এর পেয়ালা পান করার নাম-ই ইমান।
জামাত শিবিরের প্রত্যেকটি কর্মীকে একেকজন গোয়েন্দা বিভাগের লোক হতে হবে,এলাকাভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এমনকি আওয়ামীলীগের এলাকাভিত্তিক সমস্ত কর্মকাণ্ড এর সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
নিজদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করে নিজেদের মধ্যে স্তরভিত্তিক অস্ত্রবিহিন পেরামিলিটারি বাহিনী গঠন করতে হবে,পুলিশের উপর নির্ভর জাতি না হয়ে নিজস্ব ক্ষমতার (অবশ্যই আল্লাহকে ক্ষমতার মালিক মনে করি) উপর নির্ভর করতে হবে।
প্রতিটি চোখকে একেকটি মিডিয়া ক্যেমেরা হতে হবে,মূলত এলাকাভিত্তিক বিপক্ষদলগুলোর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড গুলোকে না তুলে ধরতে পারলে কোন ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে না।কারণ এলাকার লোকজনকে বিশ্বাস করাতে হবে সত্যের পার্থক্য।ঘরের মানুষ যদি বিশ্বাস না করে তবে পরের মানুষ কিভাবে বিশ্বাস করবে।
দেশের বৃহৎ জনশক্তি অশিক্ষিত,তাই তাদের বুঝানোর জন্য বিকল্প পথকে বেছে নিতে হবে,শুদু কিছু পুঁথিগত বিদ্যার উপর নির্ভরশীলতা ভালো ফলাফল দিতে সক্ষম নয় কোনভাবেই।
রাজিনিতির মাঠে জামাত কে জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি করতে হবে তা হলও জনগণকে একটি ভিশন দিতে হবে। (ভিশন নিয়ে পরের লিখায় একটু বিস্তারিত লিখার ইচ্ছে আছে)
শহীদ হাসানুল বান্নার সেই কথাটি দিয়ে আমার ব্যাক্তিগত মতামত এর এখানেই ইতি টানছি ঃ যখন দেখবে ফাঁসির মঞ্চ তোমার জন্য প্রস্তুত তখন ভাববে তুমি সঠিক পথেই আছো,আর তোমার দাওয়াত কাজে লেগছে,শয়তানের তখত কেঁপে উঠছে।
আজান এর সমুধুর শব্দ ভেসে আসলে কুকুরের ঘেউ ঘেউ বেড়ে যায়,তবে আজানের ধ্বনি কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে,ঘেউ ঘেউ করা কুকুর সময় শেষ হলে মরেই যাবে।
বিষয়: রাজনীতি
১২৩৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার Excellent Excellent
মন্তব্য করতে লগইন করুন