পিয়াস করীম,শহীদ মিনার-শিরিকের আহবান
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:৪১:৪৭ রাত
ডঃ পিয়াস করীমের মৃত্যু আর উনার লাশ আজ আমাকে এক প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়ে দিয়ে বলছে,
Are you (whole nation) ok?একজন মানুষ মারা গেছেন,যতদূর দেখেছি উনি কোন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করতেন না,তবে রাজনৈতিক সত্য বলতে চেষ্টা করতে উনাকে প্রায়ই দেখেছি।সে দেখে উনার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি উনি মার্কসবাদের ভক্ত।শেষ জীবনে এসে ইসলাম উনাকে আকৃষ্ট করেছিল কিনা বা আল্লাহর কাছে উনি কিভাবে গিয়েছেন তা আমার ধারণা নাই।তাই সহজ প্রাঞ্জ্যল ভাষায় শুধু এই দোয়াটুকু করতে চাই,আল্লাহ্ উনাকে(ডঃ পিয়াস করীম) উনার রহমতের দৃষ্টি দিয়ে কবুল করুন।আমীন।
কিন্তু ম্রিত্যুর পর লাশ নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে তা আজকে আমাদের অস্তিত্তের প্রশ্নে ফেলে দিয়েছে,ভাবনার মধ্যে ফেলে শুধু বলছে আমরা কে আর কি করছি?
লাশ শহীদ মিনারে নেয়া হবে,দেয়া হবে না-এক তুমুল বিতর্ক চলছে,মাননা-অবমাননার বাকবিতণ্ডা চলছে তুমুল ভাবে।
একদল লাশ শহীদ মিনারে নিয়ে সম্মান দিতে চাচ্ছে,আরেকদল বলছে লাশ শহীদ মিনার এ নিয়ে শহীদ মিনারের প্রাঙ্গনকে অপবিত্র হতে দিবে না।
প্রথম কথা শহীদ মিনার পবিত্র হল কিভাবে?সেখানে লাশ নিলে সেটা অপবিত্র হবে কিভাবে?
দ্বিতীয় কথা হল লাশ শহীদ মিনারে নিলে কবরের পথে যাত্রায় লাশের জন্য কি সার্টিফিকেট এমন পাওয়া বা দেয়া হবে যে লাশটি কবরে শোয়ানোর সাথে সাথেই জান্নাতের সুগন্ধ পাওয়া যাবে?
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহীম(আঃ) মুশরিকের ঘরে থেকে মূর্তি ভেঙ্গে মুসলমানদের বলে গেছেন মূর্তি মানেই শিরিক আর শিরিক মানে জাহান্নাম আর সেই মুসলমান আজ মূর্তির কান্না কাঁদছে,কি আশ্চর্য?
শহীদ মিনার কি?জন্মের পর থেকে এই ভাবনাটা তেমন না ভাবলেও আজকে এক লাশের খেলা নিয়ে মনের মধ্যে উদ্রেক হল কি এই শহীদ মিনার?
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের জন্য শাহাদাতের দোয়া করছি কিন্তু তাদের উদ্যেশে যে খাম্বাগুলো বানানো হয়েছে তা তো মুশরিকদের মূর্তি সমতুল্য।কারন মুশরিকরা যেখানেই কিছু দেখে সেখানেই একটি করে আকৃতি তৈরি করে তার পুজা অর্চনা করে,তাতে ফুল দেয় এটাই তাদের ধর্ম আর এ কারনেই তাদেরকে মুশরিক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে এবং মুশরিক এর ব্যাপারে আল্লাহ্ বলেছেন, ইন্নাশিরকা লা জুলমুন আজিম অর্থাৎ শিরিক হল মস্ত বড় জুলুম এবং আল্লাহ্ সকল গোনাহ এর মাফ হয়তো করে দিবেন কিন্তু শিরিকের গোনাহএর কোন মাফ করবেন না।
আল্লাহ্ বলেন," কিন্তু যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো তাহলে অবশ্যি তোমরা মুশরিক হবে।সুরা আনাআম-১২১"
আর আজ শিরিককে রাষ্ট্রীয় ভাবে এমন প্রতিস্তিত করা হয়েছে যে শহীদ মিনার,স্মৃতিসৌধ এসব কে পবিত্র স্থান ঘোষণা করা হয়েছে এবং এদের বিপক্ষে কথা বললে বা এসবের গায়ে আঁচড় কাটলে অবমাননার মামলা হয়,রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
আফসোস!
আজ আমি এখানে ঘোষণা করে যাচ্ছি,শহীদ মিনার একটি মূর্তি আর আমি তার গায়ে লাথি মারি,বাংলাদেশ সরকার কে আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার উদার আহবান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে লাশের মূর্তি,কবর পাকা,শহীদ মিনার,স্মৃতিসৌধ এসব করে তাতে ফুল দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিরিক করা হচ্ছে,আর সেটার নাকি মাননা অবমাননার ব্যাপার আছে।
প্রতিটি মুসলমানের উচিত এসবের গায়ে লাথি মারা আর ভেঙ্গে ফেলা,এসব কতিপয় শয়তানের পবিত্র জায়গা হতে পারে,কোন মুসলমানের না।
রাষ্ট্রীয় নিয়ম বলতে এখানে কিছু জায়েজ হবে না এবং যারা লাশ সেখানে না নেয়াতে অখুশি হচ্ছেন তারা দয়া করে সাবধান হয়ে যান,কারন প্রকারন্তরে আপনি শিরিকের সমর্থন করে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছেন।
আজ থেকে শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে যাবার সময় থুতু ছিটাবেন,তবে হিন্দু ভাইদের কোন মন্দিরে না,কারন ওইটা তারা তাদের ধর্মবিশ্বাস থেকে করে,কিন্তু আপনি মুসলমান হয়ে এটাকে কনভাবেই রাখতে পারবেন না বা সমর্থন করতে পারবেন না।
আলেম উলামারা কোথায়?কথা বলেন না কেন?
হে ঈমানদারগণ! এ মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শরসমূহ এ সমস্তই হচ্ছে ঘৃণ্য শয়তানী কার্যকলাপ। এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায় তোমরা সফলতা লাভ করবে।
আল মায়েদাহ ৯০
ঈমান বাঁচাও,দেশ বাঁচাও-শহীদ মিনার,স্মৃতিসৌধের গায়ে লাথি লাগাও।
বিষয়: বিবিধ
১২২৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন