ইহুদী ষড়যন্ত্র ও আমাদের পরাধীনতা - ১
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৫ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৩০:৫২ সকাল
প্রায় ৪০০০ বছরের পুরাতন ধর্ম হিসেবে ইহুদী ধর্মের অনুসারী ইহুদী জাতি বিশ্ব দরবারে যতোটা না তাদের ভালো কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে তারচেয়ে কম করে হলেও হাজার ভাগ বেশি তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণা ভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। তারপরও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতি ধর্মের লোকেরা তাদের নিজেদের বদ স্বার্থের জন্য ঘৃণা সত্ত্বেও ইহুদীদের বন্ধুরূপে গ্রহন করেছে।জন্মগতভাবেই এই জাতিটি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ও ধুরন্ধর হওয়ায় অহংকারী ও দাম্ভিক এই জাতি বিভিন্ন ছল চাতুরি দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধোঁকায় ফেলে তারা অন্যের উপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ত টিকিয়ে রেখছে।যেমন আজ তারা ফিলিস্তিনের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের জমির উপর দম্ভ ভরে চলছে । ইতিহাস প্রমান করে যুগে যুগে তারা এইভাবেই নিজেদের জীবনকে যাপিত করেছে অন্যের ঘাড়ে।
হযরত ইসহাক এর ( আ ) পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ) এর বংশধরগন বনী ইসরাইল নামে পরিচিত। বনী ইসরাইলই হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্ত ইব্রাহীমের বংশধরদের একটি শাখা।এ শাখারই একটি অংশ পরবর্তীকালে নিজেদের ইয়াহুদি নামে পরিচয় দিতে থাকে। হযরত ইয়াকুবের এক পুত্রের নাম ছিল ইয়াহুদা।সেই নাম এর অংশবিশেশ থেকে ইহুদী নামকরন করা হয়েছিল।
আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ প্রাপ্ত বনী ইসরাইল জাতি হযরত সুলাইমান ( আ) এর পর এয়াহুদিয়া ও ইসরাইল নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে যায় এবং পারস্পরিক শত্রুতায় অন্ধ হয়ে একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য অন্যান্য জাতির সাহায্য প্রার্থী হয়। হান্নানি নবী আল্লাহ তালার নির্দেশে ইহুদীদের এইধরনের কার্যকলাপের শোচনীয় পরিনাম সম্পর্কে সতর্ক বাণী করলেও ততকালিন শাসক "আছা" নবীর নসিহত গ্রহন করার পরিবর্তে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করে।
হযরত ইলিয়াস ( আ) ইহুদীদের পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।তিনি ইয়াহুদিদের বিরাগ ভাজন হয়ে নির্যাতনের শিকার ই না শুধু , ইহুদিরা তাকে হত্যার জন্য উদ্ধত হয়।
ইসরাইল রাষ্ট্র "আশুরিও" দের হাতে ধ্বংস হয়ে জাবার পর ইয়াহুদি রাজ্যের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছালেও এরা মনের আনন্দে নাফরমানি করতেই থাকে।ইরমিয়া নবী তাদেরকে সতর্ক করলে তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কাদা ভর্তি চৌবাচ্চায় ঝুলন্ত অবস্থায় বেধে রাখে।
হযরত ইয়াহিয়া (আ) ইহুদীদের ক্রমাগত অশ্লীল কার্যকলাপ এর বিরোধিতা করলে ইয়াহুদিয়া রাষ্ট্রের শাসক হিরদিস তাকে কতল করে ছিন্ন মস্তক এক রক্ষিতাকে উপহার দেন।
হযরত ঈসা (আ) তাদের বিরাগ ভাজন হন,তাদের ক্রোধের আগুনে পড়ে মিত্থা মামলার আসামি হয়ে ফাসির আদেশ প্রাপ্ত হন।এ উপলক্ষে সমবেত আলেম ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিকত বাদশাহ পিলাতুছ বলেন যে , মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত একজন কয়েদীকে ঈদ উপলক্ষে মুক্তি দেয়া হবে, হযরত ঈসা (আ) এবং বুরাবা নামক এক ডাকাতের মধ্য থেকে জনতা কাকে কামনা করে- বাদশা তা জানতে চাইলে সমবেত জনগন বুরাবাকে চাইলে হযরত ঈসা (আ) কে ফাঁসি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই বিষয় গুলু ইহুদীদের চরিত্রকে কলঙ্কিত করেছে।পরিনত করেছে তাদেরকে অভিশপ্তপ জাতিতে।।আল্লাহ তাআলা এ জন্য যুগে যুগে তাদের উপর নাজিল করেছেন তার আজাব। তার কিছু উদাহরণ হল আশুরিও বাদশা পিয়ার খ্রিস্টপূর্ব ৭২৪ সালে ইসরাইল রাজ্য আক্রমন করে হাযার হাযার ইহুদিকে হত্যা করেছে , আরও কয়েক হাযার ইহুদিকে বেধে গোলাম হিসেবে নিজের দেশে নিয়ে গেছে।
৫৬১ খ্রিস্টাব্দে ব্যবিলনের শাসক বখত নছর জেরুজালেম আক্রমন করে ৭০ হাযার ইহুদিকে নিজ দেশে নিয়ে যায়।
৭০ ইসায়ি সালে রোমীয় গন ইয়াহুদিয়া রাজ্য আক্রমন করে হাজার হাজার ইয়াহুদি কে হত্যা করে।১৩২ সালে তারা পুনরায় ফিলিস্তিন আক্রমন করে এবং সেখান থেকে তাদেরকে বের করে দেয়।এভাবে ক্রমাগত আক্রমনের শিকার হয়ে এরা বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে থাকে এবং পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে।কিন্তু তাদের
কু কর্মের জন্য পৃথিবীর কোথাও এদের বেশিদিন ঠাই হয়নি।
আধুনিক সময়ে ১৯২০ সালে ইংল্যান্ড থেকে এদের বিতাড়িত করা হয়।ফ্রান্স একবার ১৩০৬ সালে ।দ্বিতীয়বার ১৩৯৪ সালে, ১৩৭০ সালে বেলজিয়াম, ১৩৮০ সালে চেকস্লাভাকিয়া ,১৪৪৪ সালে হল্যান্ড , ১৫৪০ সালে ইতালি, ১৫৫১ সালে জার্মানি এবং ১৫১০ সালে রাশিয়া ইহুদিদেরকে তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করে।
তার মধ্যে নির্মমভাবে বিতাড়িত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান হিটলার এদেরকে পাইকারিভাবে হত্যা করে বাকিগুলুকে বিদায় করে।
কিন্তু ---
বিষয়: বিবিধ
২৩৭৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই অভিশপ্ত জাতিদের হাত থেকে তুমি মুসলমান তথা দুনিয়াবাসীকে হেফাজত কর হে আল্লাহ !
পরকালে তুমি এদের জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে পাঠিয়ে দিও হে আল্লাহ !
এই অভিশপ্ত জাতিদের হাত থেকে তুমি মুসলমান তথা দুনিয়াবাসীকে হেফাজত কর হে আল্লাহ !
পরকালে তুমি এদের জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে পাঠিয়ে দিও হে আল্লাহ !
মন্তব্য করতে লগইন করুন