তেতুল হুজুর বনাম প্রগতিশীল পশু ন্যায় আধুনিক
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২৫ মে, ২০১৪, ০৪:৩২:৩৯ বিকাল
নারী এক আজব সৃষ্টি ফুল,পুরুষ হল পাগলাটে ভ্রমর,ঘুরে ঘুরেই সেই নারী নিয়ে ব্যাস্ত।এটা আমার কথাও না ধারনাও না,এটা বাস্তব সৃষ্টির প্রাকৃতিক চরিত্রের বাস্তব সত্য কথা।তবে যে যার পিছনেই যেভাবেই ঘুরুক না কেন প্রত্যেকের চলার একটি কক্ষপথ আছে।এটা শুধু মানবজাতির জন্য না শুধু,পৃথিবীর সৃষ্ট সকলের জন্য একই কথা প্রযোজ্য,একেকটির একেক ধরন,আর সেই ধরন ধরেই চলছে।
বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে-প্রবাদ টি উড়িয়ে দেন মন চাইলে,কিন্তু এটাই সত্য।মা,মেয়ে জায়া এই শব্দ গুলোর মধ্যে নারীর নাড়ি লুকিয়ে আছে,সেখান থেকে সে যখন পদস্খলন করে তখন ছন্দের পতন ঘটে,তবে কামাতুর লোকগুলো দেখল এটা তো সত্য,কিন্তু তাদেরকে বের করা যায় কিভাবে এই বাস্তব গণ্ডি থেকে।শুরু হল ব্যাপক বিস্তৃত কার্যক্রম।
পানের বাটা নিয়ে ছেলের মা ছেলেকে পাশে বসিয়ে পান বানিয়ে দিতে দিতে ছেলেকে বউয়ের ব্যাপারে মিষ্টি আর ঢং মিশিয়ে যেভাবে কানপরা দেয় ঠিক সেভাবেই এসে উনারা নারীকে বলে গেলেন,কিছু একটা চাকরী বাকরি করেন,দুই পয়সা আসলো,সংসার সচ্ছলতায় ভরে উঠবে,আর সময়ও গেলো ,তারপর আসলো এবার সমঅধিকারের কথা,সমঅধিকার শেষ করে আসলো এগিয়ে যাবার পালা।কিভাবে কি সে এখন বুঝে আসে না তবে নারী বন্দনায় মুখে ফেনা তুলে ফেললো মুক্তমনা আধুনিক খ্যাত সেই মানুষগুলো।
নারীরা শিক্ষা গ্রহন করবে এটা আমার প্রানের দাবী,তবে সেই মুক্তমনারা সেটা নয়,তারা চায় নারীরা বিকিনি পরুক,রাস্তায় এসে পুরুষদের আগে চলুক,কিংবা নিজেদেরকে বিলিয়ে দিক আধুনিকতা দিয়ে।ফ্যাশন শো চলুক সারা রাস্তায় রাস্তায়।ওকে সমস্যা নেই।কিন্তু বিপতিটা দেখা দিল অন্য জায়গায়।চিরায়ত ক্ষ্যাপা বাঘ পুরুষজাতি নৈতিকতা শুন্য শিক্ষার ঘোলে পরে আবার আকর্ষিত বিপরীত লিঙ্গের ট্র্যাক ছেড়ে বেরিয়ে এসে না চাইতে মেঘ দেয়ার মত সামনে ঘুরাফেরা দেখে সোনার ছেলেরা আর যখন ঠিক থাকতে পারলো না তখন প্রতিদিন পত্রিকার শিরোনাম হতে থাকলো শিলতাহানির খবর।
আলেম সমাজ ধর্মের কথা বলেন,নারীদের পর্দার কথা বলতে থাকলেন,ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে।কেউ কিছু ভাবল না।যখন আলেম সমাজ সমাজের অবস্থা চরম ভয়ঙ্কর দেখে আর ঠিক থাকতে পারলেন না তখন তারা নারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে এর জন্য যখন আন্দোলন শুরু করলেন তখন এই সহজ সরল আলেম সমাজকে ঠেকানোর জন্য সম্মানিত আলেমদেরকে তকমা দেয়া হল তেতুল।নাউজুবিল্লাহ।
গালি হয়ে গেলো তেতুল,কথায় কথায় সম্মানের বালাই ছেড়ে কথা শুরু হয় তেতুল হুজুর সম্বোধন দিয়ে।
আচ্ছা যা হউক তারা ধর্মের কথা বলেছে বলে গায়ে এত জ্বালা ধরেছে তো?বুঝলাম।কিন্তু তাদের ধর্ম বাদ দিলেও আমি যদি বলি তোদের প্রগতিশীলরাই নারীদেরকে শালীন না হলে যে সম্ভ্রমহানি হয় এ কথা বার বার বলে তখন কি তোদের কেউ আমার দিকে বিসেদ্গার শুরু করে দিবি?
পৃথিবীর তাবত সিনেমাগুলো দেখলে দেখা যাবে নারী যখনই আঁটসাঁট ড্রেস পড়ে তখন ভিলেনগুলো তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তখন নায়ক এসে বলে তোমার পোশাক তোমার শত্রু তখন আপনাদের মুখের বুলি কোথায় থাকে?এরকম ভুরি ভুরি সিনেমার উদাহরন দেয়া যাবে।
আবার পাশ্চাত্য দেশে নারীরা আঁটসাঁট কাপড় পরেও যখন রাস্তায় বের হয় তখন নিজেরাই মনের অজান্তে পোশাকটা নিজেদেরকে ঢাকার জন্য টানতে থাকে এটা কিসের প্রমান করে?
সবই নিজেরা বলেন,বুঝেন তুলে ধরেন আবার নিজেরারাই নারীকে নগ্ন করতে উঠে পড়ে লাগেন আর শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে মায়াকান্না করেন?
আর এটা যখন ধর্মবিদরা বলেন তখন তাদেরকে তেতুল বানিয়ে দেন।এটা কোন ধরনের সম্মান নারীর প্রতি আর কোন ধরনের সমাজ ব্যবস্থা ?
পাশ্চাত্য সমাজ ধুকে মরছে এই কুলষিত ব্যাবস্থায় তাই তো দেশে দেশে আঁটসাঁট এই সব পোশাককে আস্তে আস্তে নিরুৎসাহিত করছে কোন কোন স্কুলে নিষিদ্ধ ও করছে।
আর আমরা সেই উল্টো হেটে নিজেদেরকে কোথায় রাখতে চাচ্ছি?
প্রত্যেক জিনিষেরই নিজস্ব ধর্ম থাকে,আমরা কেন তাকে অস্বীকার করি?
নারী মুক্তি নারীর নগ্নতায় না,নারী পুরুষ উভয়েরই সঠিক মূল্যবোধের পথে থাকায়।
বিষয়: বিবিধ
২১৫৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পিলাচ
পিলাচ
মন্তব্য করতে লগইন করুন