বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো কার জন্য কি করে?

লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২২ মে, ২০১৪, ০৩:৫১:৪১ রাত

দেশে ছোট বড় সব মিলিয়ে ৬৭ টি ইসলামী দল,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বাংলাদেশ জামাত ইসলামী,ইসলামী ঐক্যজোটের কয়েকটি গ্রুপ,চরমোনাই এর ইসলামী শাসনতন্ত্র।

তার বাদেও এলাকা ভিত্তিক বা মাজার ভিত্তিক,মারফতি কেরামতি এসব কিছু দল আছে যারা নিজদেরকে ইসলামী দল বলেই জাহির করে।সবাই সবাইকে একটু আদটু দেখতে পারলেও বা বেশীরভাগের শিক্ষাস্থল বা চিন্তা চেতনা ধারনা মুটামুটি এক থাকলেও সবাই এক বাক্যে জামাতে ইসলামীকে একদম দেখতে পারে না।

এক্ষেত্রে তারা জামাতের রাজনতিক দর্শন কে স্বীকার করতে চায় না।তারা জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মউদুদি (রহঃ) এর ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলে বলেনে যে জামাত ইসলামী আকিদার দল না ইসলামী দল না।তাই জামাতের সাথে কোন ঐক্য বা মেলামেশা চলবে না।এই মতের উপর সকলের আমল খুব শক্ত এবং সকলেই খুব পরিস্কার মন্তব্য দিয়ে থাকেন।

আলেম উলামাগন এ ব্যাপারটা অবশ্যই আমার চেয়ে ভালো বুঝবেন,আমি উনাদেরকে কন চ্যেলেঞ্জ বা তিরস্কারমূলক বক্তব্য ছুড়ে দিচ্ছি না।তবে আমি আমার অবস্থান থেকে দাড়িয়ে বাকি ৬৬ ইসলামী দলের নেতাদের একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই,আপনারা জামাতকে দেখতে পারেন না বা জামাত কে সহ্য করতে পারেন না,তাই আপনারা জামাতের সাথে হাঁটতে চান না বা পারেন না,বা কোনধরনের ঐক্যে যান না বা জড়াতে চান না। কিন্তু এতই আপনারা ভালো যেহেতু আপনারা সবাই কেন একই ঐক্যের প্লাটফর্মে আসতে পারেন না,বা এক দল ভেঙ্গে কয়েক দলে পরিণত হলেন?

কোন লোভ বা লালসা আপনাদেরকে আলাদা করে রাখলো?

আপনারা যদি আজ এক জায়গায় থেকে ইসলামের সঠিক রূপটিকে তুলে ধরতে পারতেন বা একই প্লাটফর্মে থাকতে পারতেন তাহলে বুঝতাম জামাত wrong way তে আছে,কিন্তু আপনাদের দৌড় যখন আপনাদের নিজেদের মধ্যেই ভ্রাতৃত্তবোধ সৃষ্টি করতে না পারে তখন আপনাদের মুখ নিঃসৃত বানীকে নিতান্তই মুনাফিকি মনে হয়।(নাউজুবিল্লাহ,আল্লাহ আমার এই ধারণাকে অসত্য রাখুক এবং আমাকে মাফ করুন,আল্লাহ আমার অন্তরের খবর ভালোভাবেই জানেন।)

নিজের জীবন থেকে একটা কথা বলি,

মসজিদে নামায পড়তে যাই,মসজিদে তাবলীগের আমীর কে সালাম দেই,উনি সালামের উত্তর দেন না,মাথা নিচু করে চলে যায়।এভাবে আমিও নাছোড় বান্দা,সালাম দিতেই থাকি,দিতেই থাকি,মাঝে মাঝে একদম ফাঁকে পড়লে সালামের উত্তর দেন।আর না হলে তো মাঝে মাঝে কটমট করে তাকান।

আবার কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলীগের কিছু ভাই,শিবির দেখলে মাথা উল্টা দিকে ঘুরিয়ে কাফের কাফের বলে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে পড়তে চলে যান।

এটা ইসলামের কোন শাখার বিধান?কেউ কি জবাব দিবেন?

বেদাতি বা মাজার পূজারী ছাড়া কোন ইসলামী দলের বিপক্ষে জামাতের কোন বক্তব্য নেই বা অনৈক্যের ঢোল জামাত বাজায় না,বরং কেউ কেউ অপপ্রচার এমনভাবেই করে যে জামাত যেন তাদের বিরোধিতা করছে।এমনটা জামাত কখনই তার অবস্থান থেকে করেনি বা ভবিষ্যতেও করবে না ইনশাল্লাহ।

অথচ বাকি ইসলামী দলগুলো ইসলামকে ধ্বংসকারী আওয়ামিলিগকে সাপোর্ট করে,তাদের সাথে উঠাবসা করতে পারে কিন্তু জামাত হলেই উনাদের গায়ে আগুন ধরে যায়।শয়তানও উনাদের কাছে প্রিয় কিন্তু জামাতকে উনারা সহ্য করতে পারেন না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ের শ্লীলতাহানি হয়েছে বা অবৈধ যৌনকর্ম হয়েছে এমনটা খুব শোনা যায় না,অথচ জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরতে পরতে এই খবর দুর্গন্ধ ছড়ায়।কারন শিবির জাহাঙ্গীরনগরে নিষিদ্ধ।

দেশের সুদ লেনদেন যখন একমাত্র পন্থা তখন জামাতে ইসলামী এদেশে ইসলামী ব্যাংকের (কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকতেই পারে,আমার ধারনা) আনয়ন করে ধর্মমনা মানুষের আত্মায় কিছুটা প্রশান্তি এনে দিয়েছে।

বলেন তো আপনারা মাদ্রাসার ছোট্ট গণ্ডি ছাড়া মানুষের মুক্তির কোন পথ বা আলোর কোন সুড়ঙ্গ এখন পর্যন্ত জাতিকে দেখিয়েছেন?

তর্ক করতে পারেন আমার লিখাটা নিয়ে,তবে কসম করে বলছি কাউকে হেয় করার জন্য বলছি না,শুধু আমাদের সবার বিবেককে খাটাতে বলছি যে ঐক্য খুব প্রয়ুজন।

ইগোর উপর দাড়িয়ে জামাত বিরোধিতা করে আওয়ামীলীগের হাতে মোয়া তুলে দেয়ার নাম ইসলাম হতে পারে না এবং এটাও বুঝার চেষ্টা করুন আপনারা মানুন আর নাই মানুন জামাতকে আওয়ামীলীগ ইসলামী দল-ই জানে এবং তারা এটাও জানে যে এদেশে কালেমার পতাকা কোনদিন উঠলে জামাতের হাত দিয়েই উঠবে,তাই আপনাদের দেয়া সুযোগে আজ জামাত মরে গেলে ওরা আপনাদেরকে মশা মারার মত হাতে পিষেই সেশ করে দিবে।

৫-ই মে ২০১৩ তার কিছু প্রমান হয়তো দিয়ে গেছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

224725
২২ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৮
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
224728
২২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
ভিশু লিখেছেন : ভালো বলেছেন!
224768
২২ মে ২০১৪ রাত ০৮:২৬
তরবারী লিখেছেন : শেয়ার করতে পারেন যদি ভালো লাগে।
ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File