মোদীর মিশন আর আওয়ামীলীগের মানসিকতা-পার্থক্য কোথায়?
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৬ মে, ২০১৪, ০৩:৩১:০৭ দুপুর
ভারতের নির্বাচন নিয়ে বেশ কথা চলছে আমাদের এখানে।
কংগ্রেস আসছে না এটা নিশ্চিত,বিজেপি-ই ক্ষমতার পরবর্তী মাঝি।
বাংলাদেশের গুঞ্জনটা খুব হাস্যকর লাগছে।
নির্বাচন পূর্ববর্তী মোদীর ঘোষণা আর জীবনভর মোদীর কর্মকাণ্ড ভারত নামক রাষ্ট্রটিকে এই অঞ্চলের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর আগ্রাসী রুপে ঠেলে দিবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
আর এটা বাংলাদেশ না যে ক্ষমতার পালাবদলে পুরো পররাষ্ট্রনীতি- ই পরিবর্তন হয়ে যাবে নিমিষেই।আভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে পারে তবে আন্তরজার্তিক অঙ্গনে দেশীয় স্বার্থ জড়িত এমন কোন বিষয়ে কোন সরকারের কিছু পরিবর্তন হবে না এটাই ওসব দেশের দেশপ্রেম সংশ্লিষ্ট নীতি।
বাংলাদেশের একদল লোক সুকৌশলে হউক আর অজান্তে হউক একটি কথা প্রচার করছে যে মোদী ক্ষমতায় আসছে আর বিএনপি হাসছে।এর মাধ্যমে রথ ও দেখা হল আর কলাও বেচা হল ধরনের কাজ কিন্তু সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।ওই প্রচারের মাধ্যমে বিগত পাচ বছরের রাজনীতির মত বিএনপি অন্যের কাধে চড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে আবার বিভোর হয়ে নিজের কাজ বাদ দিয়ে মোদী বন্দনা আর মোদীর জন্য দোয়ায় লেগে পরেছে।এতে বিএনপি আন্দোলনে নেই যা সরকারকে একটু শক্ত অবস্থানে রাখছে কারন অবৈধ নির্বাচনের ঘা টা সরকার শুকিয়ে ফেলতে পারছে জনগনের মন থেকে যাতে করে সরকার এটাকে ধামাচাপা দিতে পারছে সহজেই অন্যদিকে বিএনপি এই স্বপ্নে বিভোর থেকে নিজেদের দেউলিয়াত্ব আবারো প্রমান করে ঘরে বসে আছে নাকে তেল দিয়ে যার ফলশ্রুতিতে নিজদের গুছানো আর হল না।
তাতে কার কি লাভ ?
মোদী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েই রেখেছে,বাঙ্গালী তল্পিতল্পা গুছিয়ে রাখো,সব ফিরত যেতে হবে বাংলাদেশে আর না হলে বাংলাদেশকে তার জমি দিতে হবে।এই কার্যসিদ্ধিতে শেখ হাসিনা সরকার সবসময় ভারতের বন্ধু হিসেবে কাজ করেছে বিএনপি অতোটা নির্লজ্জ কখনোই ছিল না যতটা সাধিনতার স্বপক্ষের একক দাবীদার আওয়ামীলীগ দেশকে নিয়ে করে।
আবার অন্যদিকে উগ্র মোদী মুসলমানদের কে একদমই সহ্য করতে পারে না, মোদির শঙ্কার জায়গাগুলো হলো— তিনি প্রথমেই বলেছিলেন, আর্টিক্যাল ৩৭০, যার ভিত্তিতে কাশ্মির বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায়, কথা হচ্ছিল যে এটা তারা সরিয়ে দেবে। ফলে মুসলমানদের জন্য অবশ্যই এটা একটা শঙ্কার জায়গা; ভারতে এবং কাশ্মিরে যেসব মুসলমান বসবাস করছে। সেই আর্টিক্যাল ৩৭০-এর ভিত্তিতেই কিন্তু কাশ্মিরে বাইরে থেকে গিয়ে কাশ্মিরে জমি কিনতে পারত না। মোদি নির্বাচনের সময় একটা মাইনোরেটি কার্ড প্লে করেছে। তিনি বলছেন যে, ইণ্ডিয়ায় হিন্দুরা মাইনোরিটি। দিন দিন তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মোদির এই কথায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর। আমি আর্টিক্যাল ৩৭০ ধরেই বলছি, কাশ্মিরে এর ফলে বড় রকম প্রভাব পড়তে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং একটা বড় রকম অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে সেখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভেতর। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশকে মুসলিম মানসিকতার হাতে তুলে দিতে জোর তৎপরতা চালাবে এমনটা প্রচার সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র এবং এই ভেবে আনন্দে আত্মহারা হওয়া নিতান্তই বোকার স্বর্গে বাস করা ছাড়া কিছুই নয়।
নিজের কোমর নিজেকেই শক্ত করে দাড়াতে হবে,কেউ কোমর সোজা করার জন্য আসবে না বরং বাকা কোমরটুকুকে চিরতরে ভেঙ্গে দেয়াতেই যদি নিজদের চূড়ান্ত সাফল্য থাকে এবং প্রতিশোধের চূড়ান্ত সফল রুপ পাওয়া যায় তবে কেন সেধে বিপদ ডেকে আনবে কেউ?
মোদীর মিশন আর আওয়ামীলীগের মানসিকতার মাঝে খুব অমিল নেই,তাই এই অঞ্চলে বিনপির পুনরুত্থান নয় বরং কবর রচনা করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পুনপ্রতিস্থাই যে হবে এটা না বুঝলে চোখের জলের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
মোদীকে স্বাগত জানাতে পারলাম না বরং ধিক্কার দিয়েই মোদীর যাত্রা শুরু হউক।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-------------- শুরু হয়ে গেছে কোরাস আর ফটকাবাজি রাজনীতি।মোদী কি তোমার শ্বশুর লাগে নাকি যে পানির সমস্যা সমাধান করে দিবে ?
বিএনপি গদ্গদ বেশি করছে তো ? বাঁশটাও একটু বেশি-ই খাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন