এখানেই আসল "বদলে দাও,বদলে যাও"
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ১৪ মে, ২০১৪, ১০:৪৩:২৫ সকাল
অদ্ভুত দেশ,তার জনগন আর অদ্ভুত আমাদের কর্মকান্ড।আমরা ময়লার মাঝে দুধ খুঁজি আর সেই দুধ পেয়ে বলি দুধের মাঝে ময়লা।কি আশ্চর্য !দুধ তরল আর খুঁজে আনলাম ময়লা যুক্ত তরল থেকে।হয়তো নির্ঝাস ছাকা গেছে কিন্তু ময়লা চলে গেছে এই বিশ্বাস কি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায় না ?এই বেশি বাড়াবাড়ির কাজটি বাঙ্গালী মানে বাংলাদেশী জনগন করতে করতে এতোটাই সিদ্বহস্ত হয়ে গেছে যে গোঁড়া কাটা গাছে প্রতিদিন যত্ন করে পানি ঢালে আর দলবেঁধে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে যে সেই গাছ থেকে আম,জাম,লিচু,কাঁঠাল ঝরঝরিয়ে পড়তে থাকবে।
বিধিবাম !গোঁড়া কাটা গাছে ফল ? যথারীতি শুকনো পাতা !
আর আমরা ?কান্না করতে করতে দুকূল ভাসাই যেন স্বর্ণের চাষ করে তামার পাতলা পাতটাও পাই নাই।আফসোস,এই অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের জন্য।
দেশের চারদিকে খুন,হত্যা,রাহাজানি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি,ধর্ষণ প্রতিনিয়ত শব্দটা ব্যবহার না করে প্রতিসেকেন্ডেই হচ্ছে ব্যাবহার মনে হয় অতীব খাঁটি ব্যাবহার গন্য হবে।
আমরা সেই জন্য নড়েচড়ে বসি,সবাই কানাঘুষা করি,ফিসফিসাই,যে সরকার-ই করছে এসব,এরপর তাদের মধ্য থেকে কিছু লোক গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকি আর সরকারের কাছে আবেদন জানাই বিচার চাই,বিচার করতে হবে,সরকার কেন নীরব ?
এ গণতান্ত্রিক সরকার,জনগনের সরকার,জনগনের দাবী মানতে হবে?
কি আজব ! আপনি কার কাছে কি দাবী জানাচ্ছেন?আপনার দাবী যে সঙ্গতিপূর্ণ না সেই বুঝটুকুও আপনি হারিয়েছেন।আপনি জানেন সরকার খুন করেছে আবার সেই সরকারের কাছেই আপনি দাবী জানাচ্ছেন যে বিচার করতে হবে বা কর এনা কেন ?
যদি এই ইচ্ছা টুকু সরকারের থাকতো তবে স্বীকৃত খুনি জনগনের আতঙ্ক শামিম উসমান কে জেনেশুনে এমপি সরকার বানাতো কি ? আবার দুর্নীতি দূর করা যদি বিএনপির উদ্যেশ্য থাকতো তবে ফালু বা সাদেক হোসেন খোকা কি তাদের দলের পদগুলো পেতো?
হাজারি,হারিস চৌধুরি,মায়া ডাঃ ইকবাল বা দালাল আইনে তৎকালীন সময়ে শাস্তি পাওয়া জামালপুরের নুরু রাজাকার,বেয়াই রাজাকার প্রমুখ এসব কিন্তু আপনার আমার সেই দলগুলোর প্রিয় আস্থাভাজন ব্যাক্তি সকল।এই মহাসত্য জানার পরও আপনি কিভাবে প্রত্যাশা করেন সেই দলের সংশ্লিষ্ট মাথা সকল আপনার দাবী মেনে দেশ থেকে সন্ত্রাস,দুর্নীতি বা রাজাকার নির্মূল করবে?
সারাবছর মারামারি কাটাকাটি করে আপনি দুর্নীতিবাজ,সন্ত্রাসী আর রাজাকারদের ক্ষমতার মসনদে পাঠিয়ে দিয়ে আপনি আবার তাদের কাছে জোড় দাবী জানাবেন যেন দেশ থেকে এসব দূর করে,এই দাবী কত বড় হাস্যকর আর সেলুকাস সেটা কি একবার বিবেচনা করে দেখবেন?
এলাকার যে সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থে আর সন্ত্রাসে সেই পায় নমিনেশন,এই যখন এই দুই দলের অবস্থা তখন আপনি তাদেরকেই সেজেগুজে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে এলাকার শান্তি কিনে দিতে বলবেন তার জবাবে তারা কি উত্তর দিবে সেই ভাবনা টা আপনার মাঝেই দিয়ে রাখলাম।
আল্লামা শফি সাহেবের মত লোকজনও এরকম ভাবনার থেকে যেখানে বের হতে পারে না সেখানে আমরা সাধারন জনগন আর কি ভাবতে পারি সেটাই এখন আমার কাছে বড় প্রশ্ন।
সরকার যখন একযোগে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তখন উনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন সরকার যেন ১৩ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামী আইন চালু করে।
শয়তানের কাছে শরিয়াহ আইন চালুর জন্য বিনীত অনুরোধের যে তসবিহ জপা আন্দোলন তাতে খুব শীঘ্রই আমাদের জাতি যে যাঁতাকলে পড়তে পড়তে পিষে পাউডার হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যে দলগুলোর তৃণমুল থেকে উঠে আসা নেতৃবৃন্দের মধ্যে নেই গণতন্ত্রের লেশমাত্র,আছে পেশীশক্তির আর অর্থের ব্যাবহার এর প্রতিযোগিতা সেই দলগুলোকে আমরাই সরকারে পাঠিয়ে গণতন্ত্র আর সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ তথা দেশ প্রতিষ্ঠার যে দিবা স্বপ্ন আমরা দেখি তা শুধু আরও অনেক নারায়ণগঞ্জ,হলমার্ক আর সাগর রুনি-ই আমাদের উপহার দিতে পারে এর চেয়ে ভালো কিছু কখনোই না।এটা না আমার ধারনা না আমার বিশ্বাস,এটাই বাস্তবতা।
স্কুলের দরজায় যার পা পড়েনি তার কাছ থেকে যেমন স্কুলের শিক্ষক হওয়ার আশা করা যায় না,তেমনি দলীয় পর্যায়ে-ই যাদের আলো নেই তাদের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলো পাওয়া যাবে এ কোনদিন সম্ভব না।
"আমি স্বপ্ন দেখি সবুজ সোনার বাংলার
যেখানে সবুজের মাঝে সোনা নিয়েই বীর জন্মে বারবার
তারাই পারে গড়তে এদেশ,সোনামাখা স্বপন
খুঁজে নাও তাদের,প্রানে দাও তাদের-ই আসন।"
বিষয়: বিবিধ
১১৩২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন