নারীর শ্লীলতাহানির গোঁড়া কোথায় - ২
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৪৩:১৬ সকাল
আগের লেখাতে আমার প্রশ্ন যেখানে শেষ হয়েছে তারপর কিছু বাস্তব উদাহরন আমাকে দিতে হচ্ছে।উদাহরন গুলু সমাজের নিত্য ঘটে চলা চিত্রের আলোকে।তবে আমরা খেয়াল করি না বা করলেও এরিয়ে চলি।
ঘটনা ১ :
আমরা এক সাথে জব করি,বয়সে আমার ২/৩ বছরের ছোটো।আর দশটা ছেলের মত।অত্যান্ত আধুনিক মনা, আমার মত conservative না।তো আমাকে একটা ছবি দখিয়ে বলল আমার বন্ধুর বউ।আমি বললাম ও আচ্ছা।আমার আসলে এসব ব্যাপারে interest খুব কম।পরক্ষনেই আর একজন আসলে সে তাকে বলতেছে দেখেছো মালটা বেহুদা।কিচ্ছু নাই।বুঝতে পারলাম কি হচ্ছে।তারপর আরও clear করে বললো।চেহারা যাই আছে,বুক টুক কিচ্ছু নাই।বিষয়টা আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো।কিন্তু আমার বলার কিছু ছিল না।
ঘটনা ২ :
একটি বাংলাদেশি shop এ অনেক গুলু staff কাজ করে, তারমধ্যে একটি মেয়ে ও কাজ করে।তো staff দের সকলের সারাক্ষণের দৃষ্টি হল ওই মেয়েটির দিকে।মেয়েটির পর্দার তো বালাই-ই নাই।উপুরন্তু short dress , আধুনিক মানসিকতা সম্পন্ন কাপড় ইত্যাদি শুধু পরেই ক্ষান্ত না,তা প্রদর্শনের মোটামুটি আটঘাট ব্যবস্থা ও করতে সারাক্ষণ নিজেকে ব্যস্ত রাখে।আর এ নিয়ে চলে staff দের মাঝে সারাক্ষণের আলোচনা।নাহ শুধু dress নিয়ে আলোচনা করেই ক্ষান্ত হলে কথা ছিল।আলোচনা চলে এ রকম,ওফ , আজ না উনি বুকটাকে এভাবে ঘুরিয়েছিলেন অমুকের দিকে ,ব্রা টা একটু ফাক রেখেছিলেন,যা লাগছিল না ! ওহ কি সুজুগটাই মিস করলাম, যদি একটু বলতাম তাহলে আজ-ই আমাকে বিছানায় ডাকতো।জামার নিচ দিয়ে না সব দেখা জাচ্ছিল।প্যন্টি টা পায়জামার ফাক দিয়ে ভাসছিল।সে তো অমুকের জন্য দিওয়ানা,অমুক তো তার সাথে রাত কাটায়।
আসলে কিন্তু মেয়েটি স্বামী ছাড়া কারো সাথে রাত কাটায় না।যদিও বাকি কাজ গুলু পর্দা না করার কারনে কখনো ঘটে,কিন্তু staff রা আসলে তাকে নিয়ে রঙ্গ রস করতে বেশ পছন্দ করে।সারাক্ষণ মেয়েটি ছাড়া staff দের আর যেন অন্য কোন বিষয়-ই নাই।সারাক্ষণ তার শরীর আর তার নগ্নতা নিয়ে কথা।
ঘটনা ৩ :
একটা ইংলিশ শপ এ একজন মেয়ে কাজ করে,সাথে কতগুলু ছেলে staff.ছেলেরা মেয়েটাকে দেখলেই সালাম দিবে।মেয়েটাও মুসলমান,আবার ছেলেগুলুও ওখানে মুসলান।তাই সালাম দেয়াটা হয়ে উঠে।বাংলাদেশী,শ্রীলঙ্কান staff সবাই।মেয়েটা বোরখা পরে,তাই কেউ তার দিকে চোখ তুলে তাকায় না।মেয়েটার কাজের ভাল মন্দ বা তার চরিত্রের ভাল দিক নিয়ে আলোচনা হয়।তবে তার শরীর নিয়ে কোন আলোচনা হয় না।সবাই তাকে যথা সম্ভব সম্মান করে কথা বলে।সম্মানের চোখে দেখে।
তিনটি-ই সত্য কাহিনি।তবে আমার চোখে তিনটি কাহিনি আজ সমাজের কোনায় কোনায় ঘটে যাওয়া বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি মনে হয়েছে।তাই উদাহরন গুলু ভাষা গত দিক থেকে অশ্লীল হলেও আমি কথাগুলুর আসল বাক্য গুলু তুলে ধরতেই কোন রকম পরিবর্তন না করেই দিলাম।
দুই নম্বর উদাহরন এর একটা বিশ্লেষণ করলে একটা জিনিষ ভেবে দেখুন তো একজন মহিলা কাপড় চোপড় না খুলেও কয়বার ধর্ষিত হচ্ছে?আর একজন ছেলে এই কল্পনা করে দিনে সে কয়বার ধর্ষণকারী হচ্ছে?
অন্য আর একটা দিক হল , একজন বউ তো শুধু মাত্র তার স্বামীর জন্য।তাই না?তাহলে অন্যকে তা দেখানোর মানে কি?আপনার বউকে যদি অন্য কেউ মনে মনে নগ্ন করে, এটা কি ভাল দেখায়?তো বন্ধুকে যখন নিজের বউএর ছবি দিলেন তা কি আর বিয়ে করা বউএর মত থাকে?কারন এমন মন্তব্য বেশির ভাগ ছেলেই করছে।যেমন করেছে এক নম্বর কাহিনীতে ।
বেপর্দার কারনে সমাজে আজ নৈতিক যে অবক্ষয় ঘটছে, তার ফল হল eveteasing , নারি নির্যাতন,ধর্ষণ ... আর অবশেষে বিয়ে ভাঙ্গন,সংসারের অশান্তি,আত্মহত্যা ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা কি আমাদের জন্য একটা উদাহরন না?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানিক কি এর দ্বারা তাড়িত না? (চলবে)
আগের পর্বের লিঙ্ক
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/7640/onia/39368
বিষয়: বিবিধ
১১০৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ধরনের অভিজ্হতা আমার কর্মক্ষেত্রে অনেক হয়েছে। একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে দুইজন মহিলার সাথে পরিচিত ছিলাম। উভয়ই নাম করা অভিজাত পরিবারের কন্যা। একজন বোরখা না পড়লেও সবসময় মাথায় কাপড় সহ শালিন পোষাক পরতেন। অন্যজন অতিশয় আধুনিক পোষাক পড়তেন। দ্বিতিয়জনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ নিয়ে মারাত্মক কেলেংকারির সৃষ্টি হয়। অথচ প্রথমজনকে নিয়ে কখনও কাউকে কোন খারাপ মন্তব্য করতে দেখিনি। যদিও তিনি ছিলেন তুলনামুলক বেশি সুন্দরি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন