জামাত কোন পথে হাঁটবে?গতানুগতিক নাকি আদর্শিক?
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৪৫:১২ সকাল
কেউ উৎকণ্ঠিত,কেউ উল্লসিত,কেউ বা আবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।হচ্ছে টা কি?
এতো দড়ি দিয়া বাধতেছি এসব বাঁধ যাচ্ছে কই?পরতে পরতে ভাজ খুলে কেমন যেন মুক্ত ডানার পাখি হয়ে যাচ্ছে?
কি চিপার ভিতরে আছি,চাপায় পড়ে চ্যাপ্টা হয়েও এর ভিতরেই বাচ্চা ফুটল?ওয়াও!
বাচ্চা ফুটাইয়াই ফেলল?মুরগী তাহলে দেশী?যা হউক বাঁচা গেলো পরিচয় নিশ্চিত হয়ে!
হুম,এতক্ষন আওয়ামীলীগ,জামাত,বিএনপির কথা বলছিলাম।৫ বছরের বাঁশের পরে উপজেলা নির্বাচনের প্রাথমিক ভাগে জামাতের সাফল্য আওয়ামিলিগকে ভাবিয়ে তুলেছে।ইনু সাহেব তো বলেই ফেললেন,কেমনে কি?জনগন চায় টা কি সেটা আমি বুঝি না।কেউ কেউ আবার গবেষণার জন্য গবেষক টিম করার ঘোষণা দিয়েছে।হঠাত কেমন যেন ভ্যাপসা গরম লাগছে!মানে ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ উৎকণ্ঠিত!
জামাত তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে আর বিএনপি তৃষ্ণায় উস্থাগত ছাতিমায় যেন পানির ছোঁয়া পেলো!
জোট কেন জামাতের সাথে?স্বাধীনতা বিরোধী,জনগন কতৃক প্রত্যাখ্যাত জামাত কেন জোটে?সেই প্রশ্নের জবাব যখন দিতে হিমশিম খাচ্ছিল বিএনপি তখন জামাতের বিজয় সংখ্যা তাদেরকে হালে পানি দিল বৈকি।
আসলে তাতে হল কি?
আওয়ামীলীগ শিক্ষা নিতে পারে যে এই ফলাফল যুগযুগ ধরে চলে আসা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির প্রতিচ্ছবি,তাই আর অত্যাচার নয়,বরং অন্য কৌশল !
সেটা অবশ্য শুরু হয়ে গেছে,অনেকটা বুশ স্টাইলে !
দ্বিতীয়বার নির্বাচনের আগে হঠাত করে বুশের আল কায়েদা কে সামনে এনে বাজিমাত করার সফল ধান্ধা থেকে শিক্ষা নিয়ে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে আল কায়েদা আর জেএমবি কে অলরেডি নিয়ে এসেছে আওয়ামীলীগ।
আর জামাত উহুদ যুদ্ধের বিজয়ের মত ভেবে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিচ্ছে গা ভাসানোর হাওয়ায়।স্তুতি আর পুঁথি চলছে দেদারছে।
বিএনপি কোরাস গাচ্ছে মনের মাধুরি মিশিয়ে।
বিএনপির কিছুই হবে না,লাভ ও নাই ক্ষতিও নাই,তাই তারা কোরাস গেয়ে জামাতকে কিছু আনন্দ দিতে পারে,তার বাইরে বিএনপি তার পথে বেশী লাফানোর কোন ফায়দা হবে না।
কিন্তু আওয়ামীলীগ এবং জামাত হচ্ছে মূল ফ্যাক্টর,দুজনেরই এসিড টেস্ট।আওয়ামীলীগ এখন পর্যন্ত খারাপ যাই করুক এতদিন তাদের গায়ে লাগেনি কোন আঁচড়,কিন্তু এখন আঁচড় লাগতেছে,সেই আঁচড় যদি ঘা তে রূপান্তরিত হয় তবে ঘণ্টা বাজতে পারে,তবে বিষয়টা যতটা না আওয়ামীলীগের উপর নির্ভর করছে তার চেয়ে বেশী নির্ভর করছে জামাতের উপর,কারন জামাত যে বিশ্বাসের উপর রাজনীতি করে সেখানে আল্লাহ্ কাউকে সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন,সেই পরীক্ষা কি বান্দা শোকরিয়া আদায় দিয়ে পরীক্ষা দিবে নাকি গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে পরীক্ষাকে আলিঙ্গন করবে তার উপর আগামিদিনের বাংলায় জামাতের অস্তিত্ব নির্ভর করবে।এটা আওয়ামীলীগের ক্যান্সারের প্রারম্ভিক পথের সুচনা পথ হলেও জামাতের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই।
জামাত যদি সাধারন দলগুলুর মত আবারও ক্ষমতার মোহে পড়ে যায় আর আল্লাহ্র নেয়ামতের কথা আর তার পাকড়াও ভয়ের কথা ভুলে যায় তবে বাংলার মাটিতে এবার তাদের কবর রচিত হবে।
কিছু আসন জয় জামাতের জন্য আনন্দের না বরং এটা জামাতের জন্য নিজেদেরকে তাদের আদর্শের সত্যিকারের অনুসারী প্রমান করার পরীক্ষা।
আর নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা প্রতিনিধিদের প্রমান করার পরীক্ষা যে সোনার বাংলা বিনির্মাণে আসলে তারা কতটুকু যোগ্য ,আদৌ কি যোগ্য,নাকি গতানুগতিক রাজনীতির ধারার প্রতারক রাজনিতিবিদদের-ই এক অংশ তারা?
যে যার অবস্থান থেকে তাদের নিজের রাজনৈতিক অবস্থান আর আদর্শের কথা বুঝে কাজ করবে সেই টিকবে,তবে জামাত টিকতে হবে নিজেদের প্রমান দিয়েই।
সূর্য উঠার প্রতীক্ষায় ভোর হয় হয় করছে বলে,তবে ভুল দোয়ায় যেন কালবৈশাখীর কালো আঁধার না নেমে আসে সেটা জামাত বুঝলেই তাদের জন্য ভালো হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন