সুযোগ চাই মানুষ হবো মানে ভালো ক্রিকেটার হবো
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:২৬:২১ রাত
চায়না তে কম্যুনিজম শাসন আসার পর তারা সিধান্ত নিলো দেশের পরিবর্তন করবেন।
নিতান্ত একটি গরীব আর জনবহুল দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল এই চায়না। তারা সিদ্ধান্ত নিলো একবিংশ শতাব্দি তাদের হবে----- বলতে হবে কিছু এ সম্পর্কে ?
আমি একটা বিষয় বলছি----
অলিম্পিকে তারা বিশ্ব শাসন করবে এই প্রত্যয় নিয়ে নিলো-----গড়ন ছোটোখাটো --- তাতে কি ?
শুরু হল ম্যসিভ চেষ্টা......
তারা ভাবেনি অসম্ভব,ভাবেনি মিথ্যা কল্পনা হিসেবে----
আর আজ তারা অলিম্পিকের কোর্ট শাসন করছে------
আর আমার দেশের ক্রিকেটের সভাপতি বলছে আমরা নাকি আরও বিশ বছর ক্রিকেট খেললেও ৮ নাম্বারে যেতে পারবো না !!!
যাদের মানসিকতা এই থাকে তারা ৮ কেন ৮০০ বছরেও কিছু করতে পারবে না।বরং ৭১ এর যে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ বলে খ্যাঁক খ্যাঁক করে তারা আজ ভারতের ভাষায় কথা বলে এটা প্রমান করে দিলো দেশ আমাদের না এখন,এখন দেশ ভারতের।
যা হউক রাজনৈতিক ভাষা বাদ।
যদি দেশের প্রতি এতটুকু ভালবাসা থাকতো বা থাকে তাহলে আজকেই ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই এই প্রত্যয় নিতো যে ৮ নয় আগামী কয়েক বছরে আমরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছে সবাইকে দেখিয়ে দিবো কেউ মোড়ল না,সবাই সুজুগের অপেক্ষায় থাকে শুধু।
কেউ পড়াশোনা পারছে না বলে কোনদিন দেখেছেন স্কুলে ভর্তি বাতিল করে বাসায় এনে বসিয়ে রাখে যে কোনদিন পারলে আবার গিয়ে ওয়ানে মানে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করিয়ে দিবো ?
দেশের ক্রিকেটর সাফল্যে সব রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব নেয়ার যে প্রতিযোগিতা তা সর্বৈব মিথ্যা।কোন সরকার ক্রিকেটের জন্য কিছু করেনি।সাফল্য যা এসেছে তা ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টা আর ১০ টাকা ২০ টাকা বেতন পাওয়া লোকাল কোচদের কারনে।১৯৯৭ সালে এই সরকারের তৎকালীন আত্মা আইসিসি ট্রফির আগে এ দেশের সোনার ছেলেদের প্র্যক্তিস করার জন্য মাঠ পর্যন্ত দেয় নাই। আর জিতে আসলেই পাগল হয়ে গেলো যে আমরা আমরা !!
এখনো লোকালি ছেলেরা খেলে আসে,আর সেখান থেকে প্রতিভা গুলু এসে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে,তৃনমূল পর্যায়ে কোন ক্রিকেটার তুলে আনার ব্যাবস্থা নাই,নাই কোন সুযোগসুবিধা।
এক বিপিএল আয়োজন করেও ধরে রাখতে পারে নাই।
দেশকে ভালবাসুন আর সমস্বরে বলে উঠুন "আমরা করবো জয়,একদিন নিশ্চয়"
একটু ক্রিকেট কে নিয়ে ভাবুন,টাকা বানানোর মেশিন না ভেবে তাকে ভালবাসুন আর সুযোগ করে দেন,
চারদিকে সবাই বলছে "সুযোগ চাই মানুষ হবো মানে ভালো ক্রিকেটার হবো।"
পাপন সাহেব শক্ত কথা বলার জো না থাকলে পদত্যাগ করুন,ছিনিমিনি খেল্বেন না।
বিষয়: বিবিধ
১২৪১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার। পড়ে খুব ভালো লাগলো।আরো ভালো লেখার আশায় থাকলাম।
০ যুদ্ধের সময়ও এরা যুদ্ধে যায় নি । ঘরেই বসে ছিল । ভেবে ছিল যে, যে পাকিস্তানী আর্মি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা তাদের সাথে খালি হাতের বাংলাদেশ টিকতে পারবে না ।
ভাগ্যিস! বাংলাদেশে এদের পরিমান খুব অল্প । না হলে বাংলাদেশকে কোনও দিনও স্বাধীন হওয়া লাগতো না ।
রাসূল (সাঃ) এর যুগেও জিহাদের জন্য সবাই খুব উতসাহী দেখাত ।
কিন্তু যখন জিহাদের ডাক আসতো তখন কিছু কিছু লোক নানা নানা অজুহাত খুঁজে পেছনেই থেকে যেত । আল্লাহ এদের ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে , এরা বসে থাকাকেই পছন্দ করেছে । যদি যায়ও , সেখানেও হা পিত্তেশ করে মুজাহিদদেরকে বিচলিত করে ফেলতো ।
এদের স্বভাব সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে যে , যদি তোমরা জয় লাভ করো তাহলে তোমাদের কাছে এসে তারা গনিমতের মালের ভাগ চেয়ে বসবে ।
আর যদি হেরে যাও তখন বলবে আমরা আগেই জানতাম , সে জন্য যাইনি । তোমাদের শত্রুদের বলবে আমরা তোমাদের সাথেই আছি ।
(আল্লাহ ক্ষমা করুন আমায় )
এদেরকে আমরা না চিনতে পারলে এরা আমাদের সবসময়ই বিপদে ফেলবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন