গল্প আর সরকার
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৫০:১৩ সকাল
৪ লোক একসাথে বসে আছে,৪ জন ৪ দেশের।
একজন ভারতের,একজন পাকিস্তানের,একজন বাংলাদেশের,একজন অস্ট্রেলিয়ার।
হঠাত করে ভারতের লোকটি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বাকী দুই লোক কে ডেকে বলল,অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্টার্ন কান্ট্রি,মুসলিম দেশ বিরোধী,এই শালারা আমাদের প্রতিবেশীদের দেখতে পারবে না,এটা মেনে নেয়া কঠিন,
কথা শেষ হতে না হতেই------ অস্ট্রেলিয়ার পটল তুলে ফেললো ৩ জন মিলে।
এবার ভারত বাংলাদেশের ভাইটিকে কাছে ডেকে বলল,দেশকে এত ভালোবাসো আর পাকিস্তানের সাথে চলো ? ৭১ এর কথা মনে নেই ?ওরা জাত শত্রু,ওদেরকে বিশ্বাস নেই-----
ফলাফল ? শেষ পাকিস্তানী =====
ভারতের লোকটি এবার বাংলাদেশীর কাছে এসে বলল,তোরা যে এত লাফাস , তিনদিকে তো আমরা,এখন বল মরবি না গোলামী করবি ?
---------------------
না এটা নিছক-ই গল্প ! হয়তো কেউ বানিয়েছিল এরকম,আমিও নিজের মত করে বানালাম।
প্রচ্ছন্নভাবে আমরা ভারতের পেটের ভিতর ঢুকে গেছি,কিভাবে?সেটা সেইদিন এক লিখার মাধ্যমে কিছুটা জানিয়েছিলাম।পোশাক থেকে শুরু করে খাওয়া,সংস্কৃতি ধ্যান ধারণা সব ভারতের কাছে।
এখন তো আরও স্পষ্ট হচ্ছে,পুলিশ বাহিনীতে,প্রশাসনে এমনকি সেনাবাহিনীতে ভারতের লোকজন।
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে এটা অকল্পনীয়।রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে ৪ টি মৌলিক উপাদান দরকার সেখানে এই রকম অবস্থান গুলু রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সার্বভৌমত্বের জন্য অবাস্তব,ভয়ঙ্কর আর লজ্জাস্কর।
এখানেই শেষ হলে কথা ছিল,কিছু আশার আলো দেখতাম,কিন্তু এখানে শেষ হবে কেন?
শুরু হল অন্তর্দন্ধ সৃষ্টির পাঁয়তারা।সবাই মিলে স্বাধীন করে দেশটা,সেই দেশের সবাই ভাগ হয়ে যায় দুই দিনের ব্যাবধানে,শক্তিশালী বামপন্থীদের বিতাড়িত করা হয়,এবার যার ঘরে মেহমান থেকে শত্রু নিধন হল,সেই বাড়ির কর্তাকে বিদায় করা হল।অসংলগ্ন থেকে গেলো একটি দেশ।
অনেক কষ্টে যখন জাতি মোটামোটি দল মতের পার্থক্য রেখেও নিজেদেরকে ভাই বলতো তখন চূড়ান্ত প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে কার্যক্রম শুরু হল।
চরম বিভক্ত দেশ,মানেন আর তর্ক করেন দেশ আজ চরম বিভক্ত,যেন বাঙ্গালী নয়,ভিন্ন দেশের ভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন মানুষের বসবাসে সংঘাত বাস্তব।
এক দলের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে দেশ বিভক্ত করে এবার বহুদলে বিভক্ত করার জোর প্রয়াস চালানো হচ্ছে।সফল হয়নি এখনো তবে হয়ে গেলে যে কি হবে তার উদাহরন বৃদ্ধ আর ১০ ছেলের গল্পের মত হয়ে যাবে।দশ লাঠি ভাঙ্গা সহজ নয়,তবে একলা হলে সিংহও বিড়াল হয়ে যায়।
আর সবশেষে খেলোয়াড় যখন একা তখন মীরজাফর বা ইয়াসির আরাফাত এর মত হয়।কারও রক্ষা নাই,সে আপনার প্রেমে পরে বাংলাদেশে আসে নাই,আপনি রুপের রাণী না,সে এসেছে এই ভুমির জন্য।
একটা কথা বলতেই হবে,ফাঁদে একবার পরে গেলে,ছুটে আসার সুযোগ নেই বললেই চলে,আর এই ধারণা মানুষকে হিংস্র করে,তবে আপন পথকে অন্ধকার করে।
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা
শোধিতে হইবে ঋণ
হাসির পরে কান্না আসে,
ভুলো না সেইদিন !!!
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফটিকছড়ির নিশ্চিন্তাপুরে ক্ষুব্ধ ভোটারদের
রোষানলে পড়ে কানে ধরে ক্ষমা চেয়ে
উদ্ধার হয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি
আওয়ামী লীগ সমর্থিত নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন