আইজ বুঝলি না বুঝবি কাইল,শেষে কপাল চাপড়াইবি আর পারবি গাইল (গালি)
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৪১:১৪ সকাল
জঘন্য খারাপ লোকদের একটা জিনিষ হল তারা নিজেদের খারাপটিকে আড়াল করার জন্য অন্যের উপর আগেভাগেই অপবাদ দেয়া শুরু করে যাতে কোন পাপের দায়ভার তাদের গায়ে এসে না বর্তায়।এই স্বভাব মানুষের আদিকাল থেকেই অনেকটা প্রকৃতিগতভাবেই চলে আসছে।যার একটা প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিমানে আছে।এটা এতোটাই সমাজ রাষ্ট্র মানুষের মন আর বিশ্বাসের জায়গাকে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে যে তার জগদ্দল পাথরের চাপায় পরে আমরা জনগন হলুদ হয়ে যাচ্ছি আলো বাতাস আর পুষ্টির অভাবে তবুও আমরা একটু অক্সিজেন নেয়ার সুজুগ পেলেই দ্রুত দাড়িয়ে এক সবুঝ পৃথিবী করে দেই নেতাদের জন্য যারা ক্ষমতায় যায়,আবার যায় এবং যায়।
কিন্তু কি পেয়েছি? স্বাধীনতার ৪২ টি বছর পরে আমরা কি গর্ভকরার মত কিছু পেয়েছি?আমাদের ভীতকে পাহাড়ের মত শক্ত করার মত কিছু পেয়েছি?প্রশ্নের উত্তর গুলু পরে দিবো,লেখার আগেই লেখার উদ্দেশ্য ক্লিয়ার করে নেই।
যত দোষ নন্দ ঘোষ হিসেবে বাংলার রাজনীতিতে জামাত জুজু এক বিশাল জুজু।তারউপর স্বাধীনতা বিরোধী তকমা তো গায়ে আছেই।দেশ রসাতলে যাচ্ছে,একদল সরাসরি বলে উঠবে স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য দেশ রসাতলে যাচ্ছে।দেশের সার্বিক অবস্থা ভালো না,স্বাধীনতাবিরোধীদের দমন করতে হবে।আরেকদল তাদের নিয়ে তাদের প্লেটে ভাত খেয়ে বলে এই প্লেটের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই,এই প্লেটের কিছু হলে আমার কিছু যায় আসে না।আণ্ডার দা টেবিলে প্রথম দলের সাথে সুর মিলায়।হচ্ছে ফাঁসির নাটকের মঞ্চায়ন।কি হবে ?দেশ হবে সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া বা চীন?
ঘুরে ফিরে ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ আর বিএনপি,একবার এ তো আরেকবার ও।এই তো চলছে,ফকির ক্ষমতায় গিয়ে বাদশা হচ্ছে,লোকসানে যাওয়া কোম্পানি ক্ষমতায় গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার লাভ করছে,কারও ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে আবুল হোসেন,লোটাস কামাল,সালমান এফ রহমান বা শামিম উসমান, মায়া হাজারী
বা কারও ঘর থেকে আসছে,তারেক রহমান,হারিছ চৌধুরী,গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বা ড্যানি দের মত প্রডাকশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯২১ সালে,যেখানে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল।কুড়িয়ে এনেছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাতি।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালে এমনকি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতার আগে ১৯৬১ সালে।গর্বের বিশ্ববিদ্যালয় গুলুতে পড়ালেখার সেই মান আর উন্নতি তো নয়-ই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাতিটুকুও হারিয়েছে অনেক আগেই স্বাধীনতার পরে।বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও নেই নাম।
পরিচয়মূলক জাতীয় যাধুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯১৩ সালে,চমৎকার এই জাতীয় সংসদ ভবন প্রতিষ্ঠিত হয়েছেও স্বাধীনতার আগে ১৯৬১ সালে,অরথিনিতির প্রথম এবং গর্বের ভীত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১ সালে যার নাম ছিল আদমজী জুট মিল।যা ২০০২ এ এসে বন্ধ হয়ে যায়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীনতার আগে।
সব কিছুর মূল্যায়ন যদি করি তবে যারা চেতনা দেশপ্রেমের ঢোল ঢক্কর তবলা হারমোনিয়াম সারাদিন বাজিয়ে চলে তাদের পাশে সন্ত্রাস দুর্নীতি ছাড়া দেশকে বাইরের মানচিত্রে তুলে ধরতে পারে এমন কি তারা করেছে বা করতে পেরেছে ? বরং ধ্বংস করেছে অনেক ইতিহাস আর ধারা।
সেখানে সকল উন্নতির অন্তরায় জামাত জামাত আর জামাত বলে নিজেদের অমানুষিকতা আর ব্যার্থতা কে ঢেকে রেখে জনগনকে শোষণ করার যে মধুর বুলি তা দেখে সত্যি অবাক না হয়ে পারি না।
ক্ষমতায় তো জামাত ছিল না,আপ্নারাই ছিলেন তো দায়ভার তাদের উপর আসে কিভাবে ?
বরং জামাত একবার ক্ষমতার অংশীদার হয়ে প্রমান করে দিয়েছে দেশ তাদেরকে বড় মিস করছে।তবে আমরা সেটা বুঝছি না।স্বাধীনতার পরে দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক কানা কড়ির দুর্নীতি কেউ প্রমান করতে পারে নাই,কমপক্ষে এমন একটা উদাহরন দিন ?
জামাত ইসলামী ব্যাঙ্ককে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যা দেশ নয় দেশের বাইরেও শীর্ষে হয়তো চলে যাবে একদিন।
শিক্ষা খাতে,গঠনমূলক কাজে কোথায় আজ তাদের ছোঁয়া নেই?কিন্তু তাদের কে ধ্বংস করতে চান কার স্বার্থে ? ক্ষমতার লোভ আর গরীব শোষণের যে নীতি আজ আপনাদের তা জনগন এখনও বুঝেনি হয়তো একদিন বুঝবে তখন প্রবাদের ভাষায় যাকে বলা যায় "আইজ বুঝলি না বুঝবি কাইল,শেষে কপাল চাপড়াইবি আর পারবি গাইল (গালি)"
বিষয়: বিবিধ
১২৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন