রাজনৈতিক আলোচনা সমাচার।
লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:২৯:৩১ সকাল
আলোচনা ? আলোচনা ? আলোচনা ?
শুনতে শুনতে এতটা সময় পর মাথাটাই পুরু ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব।
ইংরেজিতে discussion বা confabulation....
নানা অর্থ বহন করে----- এই আলোচনার ইতিহাস অনেক লম্বা অনেক দির্ঘায়ীত -----
সমাধানের উত্তম পথ আলোচনা।কোন সন্দেহ নাই।তবে তার পিছনে একটা শব্দ লাগে।
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়----কথাটি সত্য তবে সেই ইচ্ছার শক্তি কতটুকু তা অবশ্যই দরকার---এবং তার জন্য চেষ্টা।
তেমনি আলোচনার জন্য সদিচ্ছা।
আওয়ামীলীগ আলোচনার জন্য ডাকছে।সারাদিন আমন্ত্রন জানাচ্ছে।পাশাপাশি বিএনপি এর নেতাদের ধরে নিয়ে পিটিয়েও বুঝাচ্ছে আলচনায় আসার জন্য।
কিন্তু ? বিএনপি কোন কথাই শুনছে না।আলচনায় আসছে না।
good বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।কিন্তু এই যে এত বুঝানো এই যে এত সুন্দর প্রস্তাব সেটা আসলে কি ?
হাত পা বেঁধে ------ সেই গল্পের মত অবস্থা,
এক সিংহ একটা নেকড়ে আর একটা শিয়াল সারাদিন পরিশ্রম করে ৩ টি শিকার ধরেছে।একটা খরগোশ,একটা হরিণ আর একটা বড় গরু।
এবার সিংহ বলল নেকড়ে কে এগুলু সমবন্টন করার জন্য।কারন সম বণ্টন ছাড়া সে আবার খেতে পারে না।
নেকড়ে বলল,হুজুর আপনি বড়,আপনি গরু আমি হরিণ আর শেয়াল খরগোশ টা খেয়ে নিক।
সিংহ খেপে গিয়ে বলল বেয়াদপ।এই অসম বণ্টন করেছিস তুই বলেই এক থাপ্পরে নেকড়ে কে মেরে ফেললো।
এবার সিংহ শেয়াল কে বলল তুই বণ্টন কর।
শেয়াল বলল,আপনি সকালে খরগোশ দিয়ে নাস্তা,দুপুরে হরিণ দিয়ে লাঞ্চ এবং রাতে গরু দিয়ে ডিনার করবেন , হুজুর।
সিংহ বেজায় খুশী !!
ওরে শেয়াল কে তোরে এই ধরনের সুষম বণ্টন নীতি শিখালো ?
শেয়াল নেকড়ের দিকে ইশারা করে বলল একটু আগে সেই জীবন দিয়ে আমাকে এটা শিখিয়ে গেছে। (দেলোয়ার হোসেন সাইদি সাহেবের বক্তৃতা থেকে সংগৃহীত)
এই হল আলোচনার অবস্থা ।
প্রধামন্ত্রি তাদের থাকবে,হরতাল আন্দোলন বাদ দিতে হবে,তাদের অধিনে নির্বাচনে যেতে হবে,জোট ভাঙতে হবে,তত্ত্বাবধায়ক দেয়া হবে না।
এসব মেনে ১৮ দলীয় জোটের সকল্কে আলচনায় যেতে হবে।
অথচ তারা যে দাবী করছে তা কোনভাবেই মানা হবে না বলে আওয়ামীলীগ ঘোষণা দিয়ে আলোচনা আলোচনা করছে যাতে মানুষ মনে করে আওয়ামীলীগ এর সহনশীলতা !!!!
অথচ এটা আলোচনা তো নয়ই বরং আমি বললাম,তুমি মানবা আর এসে বলবা আমরা খুশী ------কত পাইন (fine) !
ছোট্ট একটা কথা না বললেই নয়------- আলোচনা হয় ৩ টা কারনে
১. প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে
২. ছল করতে
৩. শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
তৃতীয় টি নয় কারন আমি বলছি না,অগ্নিদগ্ধ এক মহিলা হাসিনাকে সামনা সামনি-ই বলে দিয়েছেন আপনি-ই অশান্তির মুল।
প্রথমটি ও নয়।
কারন বিএনপি এক সময়ের প্রতাপশালী রাজনৈতিক দলের ছায়া এটা উভয়েই জানে।
একমাত্র কারন দ্বিতীয়টি।
ছোট্ট একটু দৃষ্টিপাত করেই লেখার ইতি টানবো।
আলোচনা নামক মধুর কথাটা এত তিক্ত কেন ?
উত্তর কোরিয়া তে আমেরিকা আক্রমন করবে---- কন্ডলিজা রাইস তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়ে দিলেন।
জবাবে উত্তর কোরিয়া বলল খালি আক্রমন করে দেখো----
দুইটা পারমানবিক তোমার পাছার নিছে দিয়া দিমু----
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে রাইসের হাসসোজ্যল চেহারার বক্তৃতা >
যুদ্ধ নয় আলচনাই সর্বোত্তম পন্থা------
আওয়ামীলীগের সেই রোগ ধরছে------
একটু সুজুগ পাইলেই----- হুঙ্কার---
আর পাছার নিচে গরম লাগলেই আলোচনার প্রস্তাব : ------- কি মজা !
তাই না ?
তাহলে ? উৎখাত উচ্ছেদ আর বিতাড়িত এই তিনটি-ই সমাধান।
বিষয়: বিবিধ
১০৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন