হিন্দুদের আতশবাজি আতংক, আমি অপমানিত।।
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৯:৪০:১১ রাত
হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজার পয়েন্ট। হেঁটে হেঁটে আসছি। রাত মাত্র ৮টা। ব্যস্ত রাস্তা। শহরের প্রাণকেন্দ্র এটা। হাঁটছি রাস্তার সাইড ধরে।
হঠাৎ করে ঠিক আমার ১/২ হাত সামনে বিকট শব্দ করে একসাথে ৪-৫টা আতশ ফেঁটে উঠলো। কিছু বুঝে উঠার আগেই কেঁপে উঠলাম। যতো সাহসী মানুষই হোক এই পরিস্থিতিতে কেঁপে উঠবেই। আর এখানে শুধু আমি না আরো অনেকেই কেঁপে উঠেছে। কিন্তু সবচেয়ে পাশে আমিই ছিলাম।
৩টা হিন্দু ছেলের অট্টহাসির শব্দে আমি নিস্তব্ধতা থেকে ফিরে আসলাম। তাদের হাসি সহ্য হয়নি তাই একটার গালে ঠাস করে বসিয়ে দিলাম। তারপর আরো কয়েকজন এসে ফিরিয়ে নিল। তাই আর জামেলা হয়নি।
এখন ভাবতেছি, এই ৯০% মুসলিমের দেশে আমি একজন মুসলিম হয়ে যদি ৫% হিন্দুর কাছে হাসির পাত্র হতে হয় তাহলে এই লজ্জা কোথায় রাখবো? এভাবে আতশবাজি করে সারাটা শহর কাঁপানো হচ্ছে। লোকজনের অসুবিধা হচ্ছে। এসব কি প্রশাসনের চোখে লাগেনা??
এই যে আমার সাথে ঘটলো ঘটনাটা এখানে যদি ঠিক উল্টো হতো ঘটনা! অর্থাৎ আমার জায়গায় ওরা আর ওদের জায়গায় যদি আমি অথবা আমার মতো পাঞ্জাবি পড়া একটা ছেলে থাকতো তাহলে কি হতো? নিঃসন্দেহে বলা যায় এতক্ষণে আমি লকাটে থাকতাম।
আবার তখন যদি আমি একা না থেকে সাথে আমার আরো ৩-৪ টা বন্ধু থাকতো তাহলে কি হতো? একটা রণক্ষেত্র হয়ে যেত সে জায়গা। তখন ঠিকই প্রশাসন আসতো এখানে।
ধর্মীয় উৎসব পালন করো ঠিক আছে কিন্তু এভাবে উগ্রভাবে কেন? কেন সারা শহর আতশবাজিতে কাঁপবে? কেন মানুষ আতংকিত হবে তোমাদের কারণে?
মানুষকে আতংকিত করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, অন্যদের নিয়ে রাস্তাঘাটে টাট্টা উপহাস করা, এসব কি উগ্রতা নয়?
তাদের আতশবাজিতে সারা শহর কাঁপছে বোম বোম আর ঠাস ঠাশ শব্দে। এখন যদি কোন সন্ত্রাসী বা আতংকবাদি জংগী বোমা ফাঁটায় তাহলে তো বুঝার উপায় নেই সেটা। কারণ মানুষ মনে করবে এটা আতশবাজি উৎসব চলছে। দেশের এই আতংকময় পরিবেশে এসব না করলে কি হয়না??
আমরা মুসলিমরা সামান্য পাদ দিলেও হয়ে যাই জংগী। আর ওরা আতশবাজিতে সারা শহর কাঁপিয়েও শান্ত মানুষ। এদেশে কেন এমন হবে? মুসলিম গরিষ্ঠ এই দেশে মুসলিমরা কেন রাস্তাঘাটে অপমানিত হবে তাদের কাছে??
আমরা মুসলিমরা কি এদেশে ধইঞ্চা??
বিষয়: বিবিধ
১০৬৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন তো হিন্দুদেরই সব...সহ্য করে যান
মন্তব্য করতে লগইন করুন