আমার রেজমিনা - আমার ভলোবাসা
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৪ জুন, ২০১৫, ১১:১৮:৪৫ সকাল
আজ শুরু হলো তোমার আমার নতুন জীবন। নতুন এক পথের যাত্রী হলাম আমরা। এখন থেকে তোমার দুঃখগুলীর ভাগিদার আমিও হতে পারবো। ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে আগলে রাখবো আমার বুকে বাকিটা জীবন।
আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে ঝড়িয়ে ধরে কথাগুলী আমাকে বলছিল আমার স্ত্রী রেজমিনা। আজই আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আজ আমাদের মধু চন্দ্রিমা। হাস্যজ্জ্বল সোনালী চেহারার অধীকারীনী রেজমিনাকে বধুর সাজে আরো সুন্দর লাগছিল। চোখ ফিরাতে পারছিলাম না ওর চেহারা থেকে। দেখে মনে হচ্ছিল আকাশের চাঁদ নেমে এসেছে বুকে। অনেক বাঁধা পেরিয়ে আমাদের প্রেমকে আজ বিয়েতে রুপান্তরিত করলাম । চির চেনা সেই রেজমিনাকে আজ নতুন রুপে দেখছি নিজের বুকে। একেবারে অন্য রকম লাগছে।
হঠাৎ খোঁচা দিয়ে বললো কি গো! এভাবে কি দেখছো ! আমি এতোক্ষণ কি বললাম কিছু শুনেছ?
আমি বললাম আরে দেখতে দাওনা তোমাকে ভালো করে আজ । এতোদিন প্রেম করেছো কিন্তু কোনদিন টাচও তো করতে দাওনি ভালো করে তোমাকে দেখতেও দাওনি। আজ তোমাকে দেখি একটু মন খুলে । তোমার কথাগুলী না হয় জমিয়েই রাখো। পরে শুনে নিব।
লজ্জা রাঙ্গা একটি মুচকি হাসি দিয়ে আমার বুকে ছোট্ট একটা কিল দিয়ে বললো আহ কি ঢং ! শোন তো আমার কথা…
হুম বলো। তার আগে শোন ! তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া নেই । শুধু একটি চাওয়া, আমার মা-বাবাকে কোনদিন কষ্ট দিওনা। ওদের শ্রদ্ধা দিয়ে নিজের মা-বাবার মতো আগলে রাখবে। এখন থেকে ওদের সবকিছু তুমি দেখবে। আমার মা-বাবাই আমার সব। ওদের কোন অবহেলা আমি বিন্দু মাত্রও সইতে পারিনা জানো। কি ? পারবে তো মা-বাবাকে খুশী রেখে চলতে?
এবার রেজমিনা আমার হাতটা ওর দু হাতের মুটে নিয়ে ভালো করে আঁকড়ে ধরে বললো, আমিও মা-বাবাকে নিয়েই বলতে যাচ্ছিলাম। আমি তো আগে থেকেই জানি তুমি মায়ের জন্য কিনা কি করেছ। দেখবে আমি তোমার চেয়েও বেশী মা-বাবার খেদমত করবো । সম্পূর্ণ পরিবারটাকে আগলে রাখবো। সুন্দর করে সাজিয়ে রাখবো। ইনশাআল্লাহ
এইতো লক্ষী সোনা আমার । আল্লাহ তোমাকে তৌফিক দান করুন। আমীন
রেজমিনাও আমার সাথে বলে উঠলো আমীন।
আমি বললাম, চলো এবার ঘুমাই।
আরে কি করছো, থামো তো । বাতিটা নিভাবে কে! একটু ছাড়ো বাতিটা নিভিয়ে দেই … tongue emoticon ……………
এখন কথা হলো, আসলে যা বলতে চাচ্ছিলাম ! পৃথীবির সমস্ত স্ত্রীদের মনোভাব যদি আমার রেজমিনার কথার মতো হয় এবং সেরকম ভাবে তারা চলে । শশুর শাশুড়ীকে নিজের মায়ের মতো ভাবে। তাহলে পৃথীবিতে কোন বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন পড়বেনা কখনো।
আমি আমার রেজমিনার কথায় দৃঢ়তা খুঁজে পেয়েছি কারণ সে “ইনশাআল্লাহ” এবং “আমীন” বলেছে কথার সাথে। আর এমন মনোভাবের মেয়েরা পারবে অবশ্যই।
মেয়েরা এমন মনোভাবের হলে , ছেলে বিয়ে করার পর কোন মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবেনা।
সেই সন্তান কলংকিত যে জীবত থাকা অবস্থায় তার মার আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
সেই মেয়ে কলংকিত যার বিয়ের পর শাশুড়ীকে যেতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
বিষয়: সাহিত্য
২১৪০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাধারনত বিয়ের পর মেয়েদের প্রথম মিশন হয় ছেলেকে তার বাবা মা হতে আলাদা করে ফেলা ।
এ ব্যাপারে কোন মেয়েকে ভিন্ন হতে দেখা যায় না ।
স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক । তবে সেখানে যদি কারও বাবা মা ভাই বোনকে নিয়ে কাহিনী করা হয় তাহলে সেটার প্রভাব সূদুর প্রসারী ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন