আহ ! হায়রে ............ !
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৩ জুন, ২০১৫, ১১:৫৩:৩২ রাত
এই শুনছিস ! অমুকের মাইয়া, তোর ক্লাসমেট যে সে এক পোলার লগে ভাইগ্গা গেছিল । তার বাপ আত্মহত্যা করেছে।
কস্কিরে? কেমতে কি! মাইয়াটা তো খুব ভালো ছিল । সহজ সরল মাইয়া ছিল।
আরে বেটা ! সত্যিই কইতাছি। হাঁচাই ভাইগ্গা গেছি।
ও… । তা কেমতে কি? কোন দিন গেছে? কার লগে গেছিল? আর গেছিল মানে? আবার আইছে নাকি? আর বাপ কেন মরলো?
এই তো কয়দিন আগে। ঐ চট্টগ্রামের এক পোলার লগে। গতকাল আইছে।
আরে কি কস এসব! !! কৈ চট্টগ্রাম আর কৈ হবিগন্জ !! ধ্যূর বেটা।
আরে কাহীনি হুনবি তো! …
হুম। ক হুনি।
এবার নাঈম বলতে শুরু করলো আমাকে । মেয়েটা ফেসবুক চালাতো। প্রথম প্রথম খুব কম আসতো ফেসবুকে। কিন্তু কিভাবে যেন সারওয়ার নামে চট্টগ্রামের এক ছেলের সাথে তার সম্পর্ক হয়। সম্পর্কটা ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। চলতে লাগলো তাদের প্রেম। একে অপরের জন্য পাগল। সুযোগ পেলেই তারা কথা বলতে মিস করেনা। ২-১বার ছেলেটা এসে দেখাও করে গেছে ।
তো একদিন ছেলেটা বললো, চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই। আমি যা বলবো তারা তাই মেনে নিবে। এভাবে বলে বলে একসময় মেয়েটাকে রাজী করালো। সিদ্ধান্ত হলো মেয়েটা পালিয়ে যাবে। আর যেহেতু মা-বাবার একমাত্র মেয়ে তাই তারাও কদিন পর মেনে নিবে সবকিছু। এসব চিন্তা করে ঠিক হলো ছেলেটা আসবে হবিগন্জ আর মেয়েকে নিয়ে যাবে।
অবশেষে আসলো সেই দিন। মেয়েটা প্রাইভেটের কথা বলে বাসা থেকে বের হলো। মিট করলো ছেলের সাথে। তারপর তারা রওয়ানা হলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। চট্টগ্রাম গিয়ে ছেলেটা বললো। আজ রাত হোটেলে কাটাই কাল বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেব তোমাকে। মেয়েটা দ্বিদাবোধ করলো কিন্তু তবুও রাজী হলো কারণ এছাড়া আর কোন পথ নেই। এক রুমই নিল। মেয়েটা এতে বাঁধা দিলে টাকার শর্ট দেখালো । তাই মেয়েটাও আর কিছু বললো না। তারপর যা হবার তাই হলো, সারা রাত মেয়েটাকে ভোগ করলো। বাঁধা দিতে গিয়েও পারলোনা মেয়েটা।
পরদিন বিকাল পর্যন্তও বিয়ের কোন প্রস্তুতি না দেখে মেয়েটা ছেলেকে বললো কি হলো! তোমার বন্ধুরা কখন আসবে? তখন ছেলেটা বললো সরি জান। আজও হবেনা , ওরা এক জামেলায় পড়ে গেছে। এসব বলে এ রাতও ভোগ করলো মেয়েটাকে। এভাবে হেনতেন বলে ৪দিন মেয়েটাকে নিয়ে রাত কাঁটালো। তারপর একদিন সকালে উঠে মেয়েটা দেখে যে ছেলেটা নেই। ভাবলো বাহিরে গেছে বোধহয় চলে আসবে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আসলোনা। ফোন দিয়ে দেখলো ফোন বন্ধ। অবশেষে সব ক্লিয়ার হয়ে গেল তার কাছে। তবুও সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করলো। না কোন খবর নেই।
শেষ পর্যন্ত সব লজ্জা রেখে বাসায় ফোন দিয়ে মেয়েটা তার বাবাকে সব বললো। সমস্ত পরিবারের উপর নেমে আসলো অন্ধকার। তবুও মায়ের কান্নাকাঁটি আর অনুনয় বিনয়ে গিয়ে নিয়ে আসলো মেয়েকে। বাসায় এসেই বাবা নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে ঝুলে গেল সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ধঁড়ি দিয়ে। ………………
এরকম কতো ঘটনা আজকাল ঘটছে কি জানি ! এ গল্পে হয়তো বাপ মরেছে , অনেক সময় হয়তো মেয়েই ঝুলে সিলিং ফ্যানে বা গাছের ডালে।
জানি এসব রুধ করা আর কোনভাবেই কারো পক্ষেই সম্ভব না।
তবুও সবার সচেতনতা দরকার। একটু সচেতন হোন না সবাই !
এখন প্রয়োজন শুধু আমাদের একটু সচেতনতা।…………
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঠকে গেলে মেয়েরা কাহিনী করে বেড়ায় বলে ঘটনা জানা যায় এভাবে- যে শুধু মেয়েরাই এখানে ভিকটিম ।
ছেলেদের ব্যাপারে এসব ঘটলেও ছেলেরা কাহিনী করে না , নিরবে সয়ে যায় । তাই সেগুলো কালে ভদ্রে শোনা যায় এবং শোনা গেলেও কেউ মেয়েটাকে দোষারোপ করে না যেমনটা করে ছেলেদের বিষয়ে।
ওখানে যাওয়া নিষেধ আছে আমি ছাড়া
ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষাটা সবার আগে গেঁথে দেয়া দরকার! শয়তান তো বিপথে নেয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তেই লেগে আছে! এই সব ক্ষেত্রে ধোকার স্বীকার হয় বিশেষ করে টিনেজ ছেলে মেয়েরা!
আমি দেখেছি একটা মেয়েকে কেউ একটু সুন্দর বললে, একটু গিফট দিলে মেয়েটি একেবারে বিগলিত হয়ে সব ভুলে যায়!
যাই ঘটুক না কেনো আত্নহত্যা করা কোনভাবেই সঠিক নয়!
এই জাহিলী পরিনাম থেকে আমাদের পরিবার ও সমাজ মুক্ত হোক এই দোআ কাম্য!
মন্তব্য করতে লগইন করুন