বাবার দরবার (মাজার) বলতে কিচ্ছু নেই, সবই গান্জা খাওয়ার ধাঁন্দা.

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ১৪ মার্চ, ২০১৫, ০১:১৩:২৩ রাত



যুগের সবচেয়ে বড় এবং জঘন্য একটি ফিৎনা হলো মাজার পূজা। আমি কোন একসময় কোন একজনের সাথে মাজারের বাৎসরিক ওরসে গিয়েছিলাম। শুধুই মেলা দেখার জন্য। এ যাওয়াই ছিল আমার জীবনের ফাস্ট এন্ড লাস্ট।

গিয়ে যা দেখেছিলাম, প্রথমত সেখানে বসে ওরসের মেলার নামে অশ্লীলতা , নাচ-গাণ, আর টাকার বাজী। চলে রাত ব্যাপি জোয়ারীদের জোয়া খেলা।

দ্বীতিয়ত, কবরের পাশে চলে গান্জা খাওয়া, আর পুরুষ মহিলার ঘষাঘষি। পূন্য মনে করে বাবার মাজারে সিজদা দিয়ে হারায় নিজের ঈমান। আল্লাহকে বাদ দিয়ে বাবার দরবারে নিজের আশা পূরণের প্রার্থনা জানায়। নাউযুবিল্লাহ…

দেশের অধিকাংশ মাজার দেখবেন কোন পাগল-ছাগলের । যে কিনা ভালো করে নিজের সতর ই ঢেকে রাখতো না। অর্ধ নগ্ন/পুরাই নগ্ন থাকতো।

এমনই, হবিগন্জের এক পাগল ছিল, নাম দূলা শাহ। আমার বাসার আশে পাশেই ছিল তার আস্তানা। সেই সুবাধে বহুবার দেখেছি তাকে। সম্পূর্ন একটা পাগল ব্যক্তি ছিল সে। নিজের লজ্জাস্থানটা শুধু ঢেকে রাখতো। সবসময় শুধু আবুল তাবুল বকতো আর একা একা হাঁটতো। আর সেই পাগলের কাছেই সপ্তাহে একদিন লেগে থাকতো মানুষের ভীড়। দুলা বাবা ডাকতো সবাই। বাবার কাছে গিয়েই লুটিয়ে পড়তো বাবার চরণে। তার মাঝে অধিকাংশ ছিল মহিলা। যারা বাবার শাগরীদদের কাছে নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিতেও হয়তো দ্বিদাবোধ করতো না। ভাবতো এতে বাবা খুশী হবেন আর আমার ভাগ্য খুলে যাবে !!

৩বছর আগে মারা গেছে সেই পাগল। আর তার কবরকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে বিশাল এক মাজার। দুলা বাবার মাজার। প্রতি বছর সেখানে ওরসের আয়োজন করা হয়। আমার বাসার পাশে মাঠ সেই মাঠে বসে মেলা। আর মাঠের পাশেই মাজার সেখানে চলে গান্জা খাওয়া আর ঈমান ধ্বংস করা। আর মেলায় কি হয় সেটা তো আর খুলে বলার প্রয়োজন নেই। ……

প্রতি বছর ২দিন ব্যাপী ওরসের কারণে যে অসুবিধাগুলী ভোগ করতে হয় আমাদের।

১। ২দিনের ঘুম হারাম।

২। শান্তিতে, শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করা অসম্ভব।

৩। মাইকে গাওয়া তাদের ঈমান বিদ্ধংষী গান শুনতে হয়।

৪। রাস্তায় দিয়ে হাঁটলে গান্জার দূর্গন্ধ।

৫। অশ্লীল কথা-বার্তা তাও মাইকে।

মাত্র ৫টা বললাম, বলে শেষ করার যাবেনা অসুবিধাগুলী।

লিখা আর লম্বা করতে চাই না, কারণ লম্বা লিখা পাব্লিক পড়তে চায় না। সংক্ষেপে লিখলাম কিছু।

এখন আসি অভিজ্ঞতায়ঃ-

এসব দেখে / শুনে যা বুঝলাম, কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এসব করে না। এসব গান্জাখোর আর পাগলদের কাজ।

মাজার বলে কিছু নেই, সবই গান্জা খাওয়া আর সহজে টাকা কামানোর ধাঁন্দা।

কোন মুসলিম এসব করার পর আর মুসলমান থাকে না।

কোন ভালো লোক এসব সাপোর্টও করেনা , করবেনা।


এসবই কুফুরী আর অশ্লীলতা।

বিষয়: বিবিধ

২৬৪১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308762
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৩:১৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। আল্লাহ এইসব ফিতনা থেকে সব মুসলিমদের হিফাজত করুন! আমীন!

শুকরিয়া আপনাকে! Good Luck
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
249808
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।

আমিনGood Luck Good Luck Good Luck
308829
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ভন্ডদের শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
249809
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : হুম ঠিক বলেছেন। কিনতু সেই শক্তি কি আছে?
308850
১৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০০
আবু জান্নাত লিখেছেন : ১০০% সহমত, আমি ২০০৫ সালে মাইজভান্ডার ও আমিরভান্ডার দেখতে গিয়েছিলাম ফটিকছড়ি ও পটিয়ায়। তাদের ঈমান বিধ্বংসী ব্যবসা দেখে মনে হচ্ছিল এরা মুসলিম দেশে খৃষ্টান মিশনারীর মত কোন ইমান বিধ্বংসী মিশন নিয়ে কাজ করছে। কোন মুসলমানের বাচ্চারা এসব করতে পারে না। আমার মনে হচ্ছিল আল্লাহর গজব এখনই তাদের উপর পড়বে। তারাতারি চলে এলাম যদি আমার উপরও পড়ে যায়!
এধরণের মিশনারীরা আজ বাংলার রাষ্টীয় ক্ষমতায়, যারা ভোটের জন্য কান ধরতেও রাজী। আল্লাহ তায়ালা এদের ফেৎনা থেকে দেশ ও জাতিকে হেফাজত করুক।
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৬
250409
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আমিন
308879
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৭
আফরা লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। আল্লাহ এইসব ফিতনা থেকে সব মুসলিমদের হিফাজত করুন! আমীন!ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৬
250410
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : : ওয়ালাইকুম আসসালাম।

আমিন
308996
১৫ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৫৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমরা কিছু মাজারের পেছনে লেগেছিলাম। তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোজ খবর নিলাম। মানুষকে সচেতন করার জন্য একটা সংগঠন দাড় করিয়েছিলাম অনেক আলেমদের সাথে আমরা কথা বলেছিলাম আমাদের সাহায্য করার জন্য। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক তাদের অধিকাংশই ভয় পাচ্ছিল। পরে ব্যাপারগুলো বুঝেছিলাম। এসব মাজারের প্রধান খুটি রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যাবসায়ীরা। এটা জাস্ট অন্ধবিশ্বাসে সীমাবদ্ধ না। আমরা যখন কাজ করছিলাম বেশ সাড়া পেয়েছিলাম কিন্তু যখন হুমকি শুরু হল অধিকাংশই সরে গেল।দাপটে আমরাও টিকতে পারিনি। সিস্টেম চেঞ্জ না হলে এসব বন্ধের কোন ওয়ে নেই।
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৮
250413
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : একদম সঠিক বলেছেন। অধিকাংশ মাজারই এখন সরকারের আওতাভুক্ত।
310214
২১ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৩২
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : মাজার বলে কিছু নেই, সবই গান্জা খাওয়া আর সহজে টাকা কামানোর ধাঁন্দা.....
বাংলাদেশে ভন্ড, প্রতারক, বেদাতি, কবর ও মাজার পুজারীরা বাংলাদেশের সহজ সরল মুসলিমদের প্রতিনিয়ত ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর কসম, এই মাজারগুলু মানুষের কোন উপকার করতে পারবেনা।
তাই বন্ধুরা আসুন, এই ভন্ড মাজার পুজারীদের হাত থেকে বাংলাদেশের মুসলিমদের বাঁচানোর জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করি। ধন্যবাদ
২২ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৩৬
251438
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File