সাবধান হোন এদের থেকে, প্রতিহত করুন এদের।

লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:২২:২১ রাত



কন্ঠ দিয়ে কুরআন হাদীস বিক্রি করে যে ওয়ায়েজরা টাকার পাহাড় গড়ে/গড়তে চায় তাদের পরিণতি খুবই ভয়ংকর হয়।

কেউ কেউ তো দুনিয়াতেও এর ভয়ংকর শাস্তি লাভ করে। দুনিয়াতেই পেয়ে যায় তাদের অপকর্মের কিছুটা ফল। আর আখেরাতে তো আছেই ভয়ংকর থেকে ভয়ংকর পরিণতি।

আমার দেখা এমন দুজন কুরআন হাদীস বিক্রেতা হুজুরের পরিণতি দেখেছি, এখনো দেখছি।

যে বক্তা টাকা ডিল করে প্রোগরামে আসতো, এডভান্সও রাখতো। সুন্দর কন্ঠের জন্য সারা দেশে যার পরিচিতি। যার সুন্দর কন্ঠের ওয়াজ শুনার জন্য মাহফিলে মানুষের ঢল নামে। প্রোগরাম কর্তৃপক্ষরা মানুষ জমানোর আশায় যাকে অনেক টাকার বিনিময়েও আনতো। সে আজ গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত। সব শেষ তার । এই তো ২দিন আগে শুনলাম তার ওয়াজ। অবাক হলাম কন্ঠ শুনে। কোথায় গেল তার অহংকারী সেই সুর !! তার কন্ঠ তো এখন বিকৃত হয়ে মেয়েদের মতো হয়ে গেছে। চিনাই যায় না এখন তাকে। আরো অবাক হলাম, যার কন্ঠে ওয়াজ শুনার জন্য, মাইকে যার কন্ঠ শুনে শত শত মানুষ এসে জড়ো হতো, আজ তার কন্ঠে ওয়াজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে মানুষ উঠে যেতে শুরু করেছে।

হায়রে দুনিয়া , হায়রে দুনিয়ার মানুষ !!! বড়ই অদ্ভুত তোরা।

আরেকজন প্রসিদ্ধ মাওলানা সাহেব, আমারই এলাকার। যিনি সুরেলা কন্ঠে কুরআন হাদীসের বাণী বিক্রি করে, চুক্তির চেয়ে কিছু টাকা কম পেলে মুখের উপর ছুড়ে মারতেন (নিজের দেখা) । সেই তিনি আজ প্রোগ্রাম করার সময়ই পান না। নিজের মেয়ে একটা পাগল । আরেকটা এক ছেলের সাথে প্রেম করে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। পাগল মেয়ের জন্য তো বাড়ী থেকে সরতেই পারেন না। আবার আরেকটা ঘর ছেড়ে পালিয়েছে । এখন তো ঘর থেকে মাথা নিচু করে বের হতে হয় লজ্জায়। আর প্রোগ্রাম তো পরের কথা ……। এখন ওয়াজ করতে গেলে জুতাও এসে পরতে পারে।

থু থু থু তোমাদের মতো কুরআন হাদীস বিক্রেতাদের মুখে। আল্লাহ তোমাকে সুন্দর কন্ঠ দান করেছে আর তুমি সেই কন্ঠ দিয়ে আল্লাহর কিতাব বিক্রি করো! ! ছি ছি ছি………

আমার জানা দুজন কাঠ মোল্লার কথা বললাম। কিন্তু এমন হাজার হাজার মোল্লা আজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের আনাচে কানাচে। যারা প্রতিনিয়ত বিক্রি করে যাচ্ছে কুরআন হাদীস। আর গড়ছে টাকার পাহাড়। এক রাতেই তাদের ইনকাম হয় লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রোগরাম একটা দুটা নয় করে ৪-৫টা বা তার চেয়েও বেশী।

ওদের জন্য অপেক্ষা করছে আখেরাতে ভয়ংকর শাস্তি। আর কয়েকজন তো দুনিয়াতেও হয় লাঞ্ছিত অপদস্থ। দুনিয়াতেও ভোগ করে তার কৃত অপকর্মের শাস্তি।

আল্লাহর লাআনত তাদের উপর। সময় থাকতে তওবা করো যদি বাঁচতে চাও ভয়ংকর পরিণতির কবল থেকে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৯৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303417
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৩৪
যা বলতে চাই লিখেছেন : আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ। ওয়াজ করে টাকা-পয়সা বা হাদিয়া গ্রহন উত্তম কাজ না হলেও দোষের নয়। সমস্যা হল এসমস্ত বক্তাদের বেশীরভাগেরই কুরআন ও হাদিসের বিষয়ে তেমন কোন জ্ঞান নেই। তারা নানা রকম কল্প-কাহীনি শুনিয়ে মানুষকে সম্মোহিত করে। সমাজের সবচেয়ে বদ লোকগুলোই এদের প্রিয় লোক, এরা ইসলামি আন্দোলন পছন্দ করেনা। আল্লাহ তাআলা এসমস্ত জাহিলদের বিভ্রান্তি থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করুন। আমিন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০৭
245417
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : চুক্তি করে টাকা নেয়ার কথা কই পাইছেন?
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:২৬
245472
যা বলতে চাই লিখেছেন : প্রিয় ভাই, চুক্তি করে টাকা নেয়ার কথা কই পাইছেন বলে আপনি অযথা একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। আপনার ভাষা প্রয়োগই আমাকে বলে দিচ্ছে এখানে যুক্তি-তর্ক শোভনীয় হবে না।
আপনার অবগতির জন্য শুধু আবার উল্লেখ করতে চাই- আমি টাকা বা হাদিয়া গ্রহন কে বৈধ বলেছি। আর আমাকে বলেছেন কৈ পাইছেন, তার উত্তর হল- আপনি কয়টা কইয়ের সন্ধান জনেন জানিনাতো,যদি জানাতেন বা কোনভাবে জানতে পারতাম, তবে হয়ত শতাধিক রেফারেন্স গ্রন্থের কখা আপনার সদয় অবগতির জন্য লিখে দিতাম।
সবশেষে বলব, আমরা আমদের ভাইদের নিকট থেকে আরেকটু দূরদর্শী, মার্জিত ও বিনয়ী মনোভাব এবং ভাষা কি আশা করতে পারি না!
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪৮
245495
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আমার কথায় কস্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে যারা এভাবে কুরআন হাদিস বিক্রি করে টাকা কামায় তাদের কখনো সহ্য করতে পারিনা। আর আমি আপনাকে কোন চ্যালেঞ্জ করিনি। সে যোগ্যতাও হয়তো নেই। কিন্তু চুক্তি করে টাকা নেয়াকে বৈধ বলতে পারবেন না। আবারো আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
303419
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৪৬
আফরা লিখেছেন : ওয়াজ করে টাকা-পয়সা বা হাদিয়া গ্রহন উত্তম কাজ না হলেও দোষের নয়।

যে বক্তা টাকা ডিল করে প্রোগরামে আসতো, এডভান্সও রাখতো। সুন্দর কন্ঠের জন্য সারা দেশে যার পরিচিতি। যার সুন্দর কন্ঠের ওয়াজ শুনার জন্য মাহফিলে মানুষের ঢল নামে। প্রোগরাম কর্তৃপক্ষরা মানুষ জমানোর আশায় যাকে অনেক টাকার বিনিময়েও আনতো। সে আজ গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত।

সে ওয়াজের বিনিময়ে টাকা নিত এজন্য এটা হয়েছে এমন বলা ঠিক না ।

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০৯
245418
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : হুম। তবে এদের খারাপ পরিণতিই বল্বো এটাকে। কারণ চুক্তি করে টাকা নেয়া, টাকা কম পেলে মুখে ছুড়ে মারা এসব হারাম।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:১৯
245435
আফরা লিখেছেন : নায়ক ভাইয়া আমি এটাই বলতে চেয়েছি এভাবে বলা ঠিক না হয়ত আমরা আমার ধরনা ঠিক হতে ও পারে নাও পারে ।সেটা আল্লাহ ভাল জানে ।

আল্লাহ কখন কাকে কোন অসুখ দিবেন সেটা আমি আপনি জানি না । অনেক ভাল মানুষের ও কিন্তু ক্যানসার হয় তাই না ভাইয়া ।

নায়ক ভাইয়া আমার কথায় কষ্ট নিয়েন না আমি কোন খারাপ কিছু মনে করে কথাটা বলি নাই ভাইয়া ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫২
245497
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আপ্নি কষ্ট নেয়ার মতো কিছু বলেননি। আমি হয়তো রাগের মাথায় আপনাদের উলটা পালটা বলেছি। সেজন্য দুঃখিত। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন
303423
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:১৭
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

সমস্যাটি গুরুতর হলেও পরিবেশনা সুন্দর হয়নি!

বিশ্লেষণটি এমনভাবে করেছেন যেন তাঁদের সমস্যার অন্তর্নিহিত কারণটি আপনি জেনে গেছেন


অথচ এর বিপরীতটাও হতে পারে বলে আমার মনে হয়!

অর্থাত তাঁদের অপরাধগুলো মুছে ফেলার জন্যই এ কষ্টকর পরীক্ষা, পরকালে তাঁরা পার পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ! কারণ তাঁদের কারণে অসংখ্য মানুষ দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হয়েছে এবং সামান্য হলেও শিখেছে!

রোগের চিকিতসা অবশ্যই জরুরী, তবে রোগীকে মেরে নয়!
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:২৪
245420
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।
নো, ব্যাবসায়ী বক্তার দ্বারা কেউ হিদায়াত হয় না। যে নিজের আমল ঠিক করতে পারেনা , অন্যজন তার কথায় কিভাবে করবে?
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:৫৭
246100
আবু সাইফ লিখেছেন : "লা তুযাক্কু আনফুসাকুম, বালিল্লাহু ইউযাক্কি মাইঁইয়াশাউ..."
303447
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৫:০৪
কাহাফ লিখেছেন :

একজন মেথরের কাছে থাকা 'আতর'ও সুবাস ছড়ায়!যদিও মেথরের শরীর থেকে দুর্গন্ধই আসে!
উপস্হাপনার সাথে পুর্ণ সহমত পোষণ করতে পারলাম না আমিও!!
আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেদায়েত দান করুন!
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫২
245498
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : হুম। আমিন
303463
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এভাবে অনেক তথাকথিত ওয়ায়েজিন এর হাতে ইসলাম নিয়মিত বিকৃত হচ্ছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৫২
245499
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : সহমত Good Luck Good Luck Good Luck
303464
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:১১
sarkar লিখেছেন : আপনার উপস্হাপনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।যখন জেমস কিংবা আয়ুব বাচ্চু একটা কনসার্ট করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তাতে কোন দোষ হয়না।আর হুজুর রা হাদিয়া নিলে এত সমস্যা কেন?আর কেউ যদি বেশি টাকা চায় তাকে আপনি দাওয়াত করবেননা।আর কিছু কিছু বক্তা হয়ত বেশি টাকা নেয় তাই বলে সবাই কে এক পাল্লায় মাপা ঠিক না।বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সব জায়গায় আপনার বোন,আমার বোন নির্যাতিত হয় শিহ্মক দ্বারা।কৈ?আপনার লিখনি তাদের কে বিষয় বস্তূ না করে কেন হুজুরদের কে করল সেটা গকেষনার দাবি রাখে।পরিশেষে বলব আলেম ওলামাদের বিরুধিতা বাদ দিন।কারণ তাদের কে নিয়ে কোরআনুল কারীমে আয়াত রয়েছে। আল ওলামাউ ওয়ারেসাতুল আম্বিয়া।আর কারো রোগ ব্যধি সিয়ে কথা বলা বিকৃত মানষিকতার পরিচয় নয়কি???

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
245500
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : আপনি কাদের সাথে কাদের তুলনা করছেন ! কিসের সাথে কি তুলনা করছেব ! জেমস কিংবা আয়ুব বাচ্চু কি কুরআন হাদিস বিক্রি করে? হাদিয়া এক জিনিস আর চুক্তি করে নেয়া অন্য জিনিস।

হাদিয়া দিবে যতো ইচ্ছা কিন্তু ওয়াজ করার জন্য চুক্তি করে আসবে !!

আর ওরা যখন এসব করে মানুষের কাছে হুজুরদের কালার করে তখন দোষ হয় না, আর আমি ওদের বিরুদ্ধে বললেই দোষ? আমি সব হুজুরকে উদ্দেশ্য করে বলিনি, বলেছি ব্যবসায়ী মোল্লাদের উদ্দেশ্য করে।

আল ওলামাউ ওয়ারেসাতুল আম্বিয়া। এ হাদিস সত্যিকারের আলেমদের জন্য প্রযোজ্য, সবার জন্য নয়।
303495
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আল্লাহর লাআনত তাদের উপর।

কথাটি এইভাবে বলা ঠিক হল? কাউকে অভিশাপ দেয়া কি ঠিক? তাছাড়া তারা বেশি নিক অথবা কম, তাদের নসিহত শোনে অনেকেইতো সঠিক পথে আসছে!

আপনি যেভাবে সমালোচনা করলে, তাতে করে আলেম ওলামাদের প্রতি মানুষের কি ধারণা জন্মাবে চিন্তা করেছেন?

আয়োজকরা নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিবে বলে যদি কম দেয় তাতে সে আপত্তি করলে কি সমস্যা? বরং এটা তার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পাওনা।

আপনি বলেছেন- যে বক্তা টাকা ডিল করে প্রোগরামে আসতো, এডভান্সও রাখতো। সুন্দর কন্ঠের জন্য সারা দেশে যার পরিচিতি। যার সুন্দর কন্ঠের ওয়াজ শুনার জন্য মাহফিলে মানুষের ঢল নামে। প্রোগরাম কর্তৃপক্ষরা মানুষ জমানোর আশায় যাকে অনেক টাকার বিনিময়েও আনতো। সে আজ গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত। সব শেষ তার । এই তো ২দিন আগে শুনলাম তার ওয়াজ। অবাক হলাম কন্ঠ শুনে। কোথায় গেল তার অহংকারী সেই সুর !! তার কন্ঠ তো এখন বিকৃত হয়ে মেয়েদের মতো হয়ে গেছে। চিনাই যায় না এখন তাকে। আরো অবাক হলাম, যার কন্ঠে ওয়াজ শুনার জন্য, মাইকে যার কন্ঠ শুনে শত শত মানুষ এসে জড়ো হতো, আজ তার কন্ঠে ওয়াজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে মানুষ উঠে যেতে শুরু করেছে।

আপনি কিভাবে জানলেন ওয়াজ করে টাকা নেওয়াতেই তার এই পরিণতি? গায়েবী আওয়াজে ফেরেশতারা জানিয়ে গেছে? অন্য কারণওতো থাকতে পারে!

ভাই সমালোচনা করুন, কিন্তু কাউকে আক্রমণ করে কথা বলবেন না প্লিজ!!!!! কাউকে আহত করে সমালোচনা করলে তার সংশোধন হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তার জন্য নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে পাকড়াও করবেন।

এখন আসি মূল কথায়। হাদিয়া নেয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হল তা কি চেয়ে নিচ্ছে, দরকষাকষি করে নিচ্ছে নাকি সম্মান করে যা দিচ্ছে তাই নিচ্ছে। এটাও নির্ভর করে উক্ত বক্তার সামাজিক স্ট্যাটাসের উপর, জীবন মানের দিকে লক্ষ রেখে। পাড়ার একজন মাওলানা কে ২০০০হাজার টাকা দিলে উনি খুশি হবেন, কেননা নিয়মিত পেশার বাহিরে এই টাকাটা তার জন্য সচ্চল্ভাবে চলার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু শহর থেকে কোন মাওলানা আসলে তাকে দশ হাজার টাকা দিলেও পোষাবে না। তার মান অনুযায়ী তাকে টাকা দিতে হবে।

বেশি জ্ঞান সম্মানের অধিকারীদের বেশি সম্মান দিলে বৈষম্য হয় না, কেননা বেশি সম্মান তার পাওনা। হজরত আয়েশা (রাঃ) এর নিকট একদিন ফকীর আসলে তিনি সাধারণ আসনে বসতে দেন, কিছু পরেই একজন সম্মানিত সাহাবী আসলে তাকে আরো বেশি সম্মানের জায়গায় বসান।

হাঁ, এটা ঠিক, কোরআন হাদিসের নসিহত করে টাকা পয়সা নিইয়ে দরকষাকষি করা বাঞ্চনীয় নয়। কিন্তু আয়োজকদেরও হাদিয়া দেয়ার সময় বক্তার প্রয়োজনের দিক লক্ষ রাখা উচিত।

সর্বশেষ কথা, আলেম ওলামাদের দোষ ত্রুটি নিইয়ে বেশি কটাক্ষ করলে ধর্মবিদ্বেষিরা বাম হাত ঢুকিয়ে দেয়ার মহা সুযোগ পেয়ে যায়।

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
245504
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : এখানে বেশি কিছু বলিনি। আমার কথাগুলী তাদের উদ্দেশ্যে যারা এসব কর্মকান্ড করে মানুষের কাছে হুজুরদের অসম্মা্ন করে। আর এটা বলে ভুল করিনি নিশ্চয়ই !!
303505
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:৫৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহ একটি আয়াতে বলছেন-যারা আল কুরআনের আয়াতকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রী করে,তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছুই ঢুকায় না।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
245505
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : হুম Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
303512
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:২৭
হতভাগা লিখেছেন : ভাই , আলেমরা কি রোগ শোক মুক্ত? এ

গুলো তো আল্লাহর তরফ থেকে বান্দার জন্য পরীক্ষা স্বরুপ !
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৮
245506
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : তা তো অবশ্যইGood Luck Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File