দেখা করে অাসলাম তিনজন প্রিয় ব্লগারের সঙ্গে।
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৫:১২ সন্ধ্যা
অামি,শাহীন ভাই,রাজু ভাই,সুমন
গতকাল ছিল অামার জীবনের শ্রেষ্ট অানন্দের দিন গুলির মধ্যে একটি দিন।
প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা করার অানন্দটাই অন্যরকম। অার সে দেখাটা যদি হয় প্রথম দেখা তাহলে তো কোন কথাই নেই। ব্লগার আব্দুল্লাহ আল শাহীন ভাই দেশে অাসছে অনেকদিন হলো, অাবার প্রবাসে ফিরে যাবার সময়ও হয়ে গেছে। কিন্তু এতোদিন দেখা করা হয়নি। অথচ অামরা একই বিভাগের মানুষ। ভাইয়ের ফিরে যাবার অার মাত্র কদিন বাকি শুনে কোন কাজেই শান্তি পাচ্ছিলাম না , প্রিয় বড় ভাইটির সাথে দেখা না হওয়ার অশান্তিতে।
তারপর ব্লগার নুর আল আমীন সুমন , তার সাথে অামার সম্পর্ক খুব গভীর, এতোই গভীর যে, অামরা একে অপরকে তুই বলে সম্বোধন করি। কিন্তু তার সাথেও দেখা হয়নি অাগে কখনো, একই বিভাগের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও। এটা অারেক অশান্তি।
তারপর ব্লগার গ্রাম থেকে (রাজু) ভাইও অামার প্রিয় মানুষ এবং একই বিভাগের , কিন্তু দেখা হয়নি অাগে কখনো। এ অারেক অশান্তি।
তিনজন প্রিয় মানুষের সাথে দেখা না করতে পারার অশান্তিতে ভোগছিলাম অামি। এদিকে শাহীন ভাইয়েরও ফিরে যাবার সময় হয়ে গেছে। অার থাকতে পারলাম না। শাহীন ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম, ভাই! দেখা করতে পারবেন কিনা সিলেট শহরে এসে। ভাই জানালেন পারবেন। তারপর ফোন দিলাম সুমনকে , বললাম তুই সিলেট শহরে চলে অায় অামি অাসছি। শেষে ফোন দিলাম রাজু ভাইকে। উনিও জানালেন দেখা করতে পারবেন।
অনেক দূরের পথ, সকাল ৮টায় হবিগন্জ থেকে রওয়ানা দিলাম সিলেটের উদ্দেশ্যে । ১১টার দিকে পৌছলাম সিলেট। সুমনকে ফোন দিয়ে হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর মাজারে দেখা করার স্থান নির্ধারন করলাম। ওখানে পৌছে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সুমন অাসল। ওকে দেখেই জড়িয়ে ধরলাম দুজন দুজনকে। দুজনেরই কিযে অানন্দ.......
অনেক সময় দুজন কথাবার্তা বললাম। তারপর জোহরের সময় হালকা নাস্তা করে দুজন গেলাম কুদরতুল্লাহ সুপার মার্কেট একটা বই কিনার জন্য।
বই কিনে রাজু ভাইকে ফোন দিলাম, ভাই বললেন জিন্দাবাজার চলে অাসেন। গেলাম। গিয়ে ভাইকে পেয়ে জড়িয়ে ধরলাম। তারপর ভাইয়ের সাথে গিয়ে তার বন্ধুর দোকানে বসলাম তিনজন। কথাবার্তা চললো। শাহীন ভাই অাসার কথা দুজনকে জানালাম। তারপর তিনজন শাহীন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অনেক্ষণ পর শাহীন ভাই ফোন দিল তো বললাম যে জায়গায় অাছি সে জায়গার কথা। অামরা যে দোকানে বসা ছিলাম সেটা মেইন রোড থেকে সামান্য ভিতরে। তো শাহীন ভাই অাবার ফোন দিলে অামিই গেলাম ভাইকে অানতে। ভাইকে পেয়েও জড়িয়ে ধরলাম। অামার অানন্দটা পরিপূর্ণ করলো শাহীন ভাই। কারণ ভাই অামার মনটা সিলেট পৌছার পর থেকে খারাপ করে রেখেছিল। ভাইই অাবার ভালো করলো।
অবশেষে নিজের চেষ্টায় তিনজনকে একত্রিত করতে পেরে অানন্দটা অারো দ্বিগুণ হলো। চারজন বসে কিছু কথাবার্তা বলার পর রাজু ভাই খেতে নিয়ে গেলেন হোটেলে। শাহীন ভাই ছাড়া সবাই ভাত খেলাম, কারণ শাহীন ভাই বাড়ি থেকে খেয়ে অাসছিল।
খাওয়ার পর কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেই শুরু হলো বিদায়ের পালা। প্রথমে সুমন সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর শাহীন ভাইও চলে গেল। অারো কিছু সময় পর অামিও রাজু ভাই থেকে বিদায় নিয়ে চলে অাসলাম। সে সময়টা ছিল খুবই অানন্দের কিন্তু বিদায়ের সময় ভিতরে ছিল তার দ্বিগুণ বেদনা।
খুব মিস করছি ভাইদের।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৯ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
কর্ম উপলক্ষে দির্ঘদিন সিলেটে ছিলাম। আবদুল্লাহশাহিন ভাই দেশে আইসা উধাও হয়ে গিয়েছিলেন!! খবর পেয়ে নিশ্চিত হলাম।
কিন্তু তোর সাথে যাবার মতো করে বলিসনি।
ব্লগারদের মাঝে ভ্রাত্বিত্তের এমন মধুর বন্ধন আজীবন বজায় থাকুক-এই কামনা খোদার কাছে!
;
মন্তব্য করতে লগইন করুন